রানা প্লাজা নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি একটা হত্যাকাণ্ড ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আহত শ্রমিক ও বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি এ ঘটনার মামলার বিচারের অগ্রগতিতে বিচারকার্য আদৌ শেষ হবে কি-না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন, ক্ষতিপূরণ, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, পুনর্বাসন এবং শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি আইন সহায়তা সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত ‘রানা প্লাজা ধস: বিচারের অপেক্ষায় এক যুগ’ এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানানো হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, শ্রম সংস্কার কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম নাসিম, রাজেকুজ্জামান রতন এবং তাসলিমা আক্তার প্রমুখ।
রানাপ্লাজা ভবন ধসের ভুক্তভোগী নিলুফা ইয়াসমিন তার অভিজ্ঞতা এবং দাবির কথা বলতে গিয়ে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান। তিনি রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এদিকে, ২৪ এপ্রিল কে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের ঘটনাটি কী হত্যাকাণ্ড নাকি দুর্ঘটনা তা নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও ঘটনা পর্যবেক্ষণে একে হত্যাকাণ্ড বললে ভুল বলা হবে না। এক যুগ পরেও নিহত শ্রমিকের পরিবার এবং আহত শ্রমিক এখনও আইনানুগ ক্ষতিপূরণ পায়নি। এক্ষেত্রে তাদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের দায়িত্বসমূহ নিয়ে সকলের সচেতনতা এবং সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান তারা।

