রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ মঙ্গলবার সাইমুমের গান পরিবেশনার মাধ্যমে সকাল ১১:২০ মিনিটে শুরু হয়েছে ‘৩৬ জুলাই’ উদযাপন। এই অনুষ্ঠান দেখতে স্ত্রী, সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে ছুটে আসছে মানুষ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে থাকছে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার নাখালপাড়া থেকে "৩৬ জুলাই" উৎযাপন দেখতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে এসেছেন হাফেজ ইব্রাহিম। তিনি আমার দেশের প্রতিবেদককে বলেন, আমরা গত বছর আন্দোলনে রাজপথে থেকে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার খুনী হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। আজ আবারও পরিবারে সবাইকে নিয়ে এসেছি এই বিজয়ের এক বছর উদযাপন করতে।
মিরপুর থেকে আসা আব্দুল্লাহ আমার দেশকে বলেন, ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মিরপুরে পরিবার নিয়ে হাসিনার পতন আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে প্রতিদিনই রাজপথে নেমেছি। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করতেই আজকে পরিবার নিয়ে সরকারের এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে এসেছি।
আরো অনেককেই দেখা গেছে" ৩৬ জুলাই" উৎযাপনে পরিবারকে নিয়ে এসেছেন যেন, পরবর্তী প্রজন্ম এই ইতিহাস ভুলে না যায়। অনুষ্ঠান আয়োজকরা জানান, এই উৎসব শুধু সংগীত কিংবা মঞ্চ নয়, এটি ইতিহাস ও মুক্তির আহ্বান। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের প্রেরণা।
এদিকে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট, স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এদিকে, ঐতিহাসিক ‘৩৬ জুলাই’ স্মরণে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবে বৃষ্টি মধ্যেই দলে দলে যোগ দিচ্ছেন মানুষ। মঞ্চের চারপাশ ঘিরে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। লাল রঙে সজ্জিত বিশাল মঞ্চকে ঘিরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভিড়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১২ টায় জনপ্রিয় ইসলামী শিল্পী-গোষ্ঠী সাইমুম এর পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ এরপর কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় মুখর হয়ে ওঠে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। দুপুরের পর আরও জমে ওঠে পরিবেশ। বেলা ১ টার পর পরই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই এ আয়োজনে মিছিলে মিছিলে যোগ দিচ্ছে শত শত ছাত্র-জনতা৷
জুলাই স্মরণের এই আয়োজনে তরুণদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তারা কেউ এসেছে সংগীতের টানে, কেউ বা এসেছে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে অনেককেই দেখা গেছে মিছিল আকারে প্রবেশ করতে।

