জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেমে দ্বীন, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপি শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বিবৃতি দিয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। ২০১৬ সালের ১০ মে রাতে মাওলানা নিজামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। সেই রাতকে স্মরণ করেই এই বিবৃতি দেন জামায়াত আমির

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, মাওলানা নিজামী বাংলাদেশের জনগণের নিকট অতি পরিচিত একটি নাম, একজন আলেমে দ্বীন ও ইসলামী চিন্তাবিদ। সততা, যোগ্যতা, উদারতা, বিনয় ও নম্রতা তাকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। মহান আল্লাহ প্রদত্ত যোগ্যতা বলে বাল্যকাল থেকেই তিনি তাঁর সমসাময়িক প্রতিটি স্তরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি তার ছাত্র জীবনের শুরু থেকে ইসলামী আদর্শ প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

জামায়াত আমির বলেন, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে মানুষের কল্যাণের জন্য মতিউর রহমান নিজামী আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

তিনি তার নিজ এলাকা থেকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে তার গঠনমূলক ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় সংসদে তার বক্তব্য ছিল দিক-নির্দেশনামূলক। ইসলামী শিক্ষার প্রসারে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল স্মরণীয়।

তিনি সততা, যোগ্যতা, দক্ষতার সাথে কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তার কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিল্পখাত একটি লাভজনক খাতে পরিণত হয়।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ছিল। ২০০৬ সালে এক বৈশ্বিক জরিপে বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির মধ্যে মাওলানা নিজামীকে তালিকাভূক্ত করা হয়। ২০০৯ সালে অপর এক বৈশ্বিক জরিপে বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০ মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে তিনি অন্যতম বলে বিবেচিত হন। তাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়। ২০১৬ সালের ১০ মে দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

তিনি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে মাওলানা নিজামীর অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। মহান আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করছি তিনি তার শাহাদাতকে কবুল করুন এবং তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করুন।

মাওলানা নিজামীর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশকে একটি ইসলামী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াতের আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।