বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টকে দূষণমুক্ত রাখতে চালু করা ‘ডিপোজিট স্কিম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। প্রকল্পটি চালুর ১১ বছর পরও প্রত্যাশিত সুফল না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই স্কিমের আওতায় এভারেস্টে আরোহণের আগে পর্বতারোহীদের একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা দিতে হতো। শর্ত ছিল, অভিযান শেষে অন্তত আট কেজি বর্জ্য নিচে নামিয়ে আনলে সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তবে নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অধিকাংশ আরোহীই জামানতের অর্থ ফেরত পেলেও এভারেস্টের সার্বিক দূষণ পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
নেপাল পর্যটন বিভাগের পরিচালক হিমালা গৌতম বলেন, প্রকল্পটি পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এটি প্রশাসনিক জটিলতা বাড়িয়েছে। তিনি জানান, আরোহীরা সাধারণত নিচের দিকের ক্যাম্পগুলো থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে আনতেন; কিন্তু এভারেস্টের উচ্চ ক্যাম্পগুলোতে জমে থাকা বর্জ্য থেকে যেত অবহেলিত।
সাগরমাথা দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির প্রধান নির্বাহী শেরিং শেরপা জানান, দূষণের সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা এভারেস্টের ওপরের ক্যাম্পগুলোতে। সেখানে তাঁবু, প্লাস্টিকের ক্যান, খাবারের প্যাকেট এবং ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেলে যাওয়ার প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পর্বতারোহী একটি অভিযানে গড়ে প্রায় ১২ কেজি বর্জ্য তৈরি করেন। সেখানে মাত্র আট কেজি বর্জ্য ফেরত আনার শর্ত থাকায় নিয়মটির ফাঁকফোকর থেকেই গেছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত তদারকির অভাবও প্রকল্পটির ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এভারেস্টের পরিবেশ সুরক্ষায় আরো কার্যকর ও বাস্তবসম্মত নীতিমালা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদ ও পর্বতারোহণ-সংশ্লিষ্টরা।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


ইসরাইলকে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কম্বোডিয়ার ১৮ সেনাকে মুক্তি দিলো থাইল্যান্ড