সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে ইসরাইলের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়া জার্মান মালিকানাধীন পণ্যবাহী জাহাজ আটকে দিতে বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, সামরিক সরঞ্জামের এই চালানটি গাজায় গণহত্যা ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের ঝুঁকি তৈরি করছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
পর্তুগিজ পতাকাবাহী জাহাজটিতে, প্রায় ৪৪০ টন মর্টার বোমার যন্ত্রাংশ, প্রজেক্টাইল এবং সামরিক-গ্রেড ইস্পাত বহন করা হচ্ছে। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, তারা যাচাই করে দেখেছে, জাহাজটি আর্টিলারি শেলে ব্যবহৃত ধাতব সংকর ধাতু, সেইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন উপকরণও পরিবহন করছে।
জাহাজটি ১৬ নভেম্বর ভারত থেকে যাত্রা করে এবং ইসরাইলি বন্দর হাইফায় পৌঁছানোর পথে রয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা, অ্যাডভোকেসি, নীতি এবং প্রচারণা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এরিকা গুয়েভারা রোসাস বলেছেন: ‘হোলগার জি জাহাজে থাকা শত শত টন প্রাণঘাতী সরঞ্জাম ইসরাইলে পৌঁছানো উচিত নয়। এই বিশাল চালান ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং অন্যান্য অপরাধ সংঘটনে ব্যবহারের স্পষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসরাইল গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে তাদের অবৈধ দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। যেসব রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধে জড়িত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
আরএ
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


তোশাখানা মামলায় ইমরান-বুশরার ১৭ বছরের কারাদণ্ড
৮৫০টি কামিকাজি ড্রোন কিনছে ভারত