নিউইয়র্কে গোপনে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও কাতারের প্রতিনিধিরা। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, রোববার ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তির পর এটি দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। তবে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
অ্যাক্সিওস জানায়, বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু ছিল সম্পর্ক পুনর্গঠন ও গাজা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন। হোয়াইট হাউজের দূত স্টিভ উইটকফ এই বৈঠকের আয়োজন করেন। ইসরাইলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ইসরাইলের প্রতিনিধিত্ব করেন, আর কাতার থেকে অংশ নেন দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। হামাসের শীর্ষ নেতারা হামলা বেঁচে গেলেও নিহত হন ছয়জন।
এর প্রতিক্রিয়ায়, কাতার ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব থেকে হিসেবে পিছিয়ে যায় এবং আরব দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের নিন্দা জানায়। সেইসঙ্গে কাতারের সঙ্গে সংঘাত বন্ধে ইসরাইলকে চাপ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
একইমাসের শেষের দিকে, ট্রাম্পের অনুরোধে নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউজ থেকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানিকে ফোন করে হামলার জন্য ক্ষমা চান।
কাতারীরা তাদের মধ্যস্থতার ভূমিকা পুনরায় শুরু করে, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অংশীদার - ইসরাইল এবং কাতারের মধ্যে সম্পর্ক হিমশীতলই থেকে যায়।
দুই দেশের মধ্যে সংকট সমাধানের প্রচেষ্টা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক অভিযোগ সমাধান করা এবং হুমকি প্রতিরোধে একটি ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়া প্রস্তাব করে যুক্তরাষ্ট্র। রোববারের বৈঠকটি প্রচেষ্টার অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহু এরআগে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি কাতারের সমর্থন, আল জাজিরার ইসরাইলের প্রতি বৈরিতাপূর্ণ প্রতিবেদন এবং মার্কিন কলেজ ক্যাম্পাসে ইসরাইল-বিরোধী মনোভাবের প্রতি কাতারের কথিত সমর্থন সম্পর্কে অভিযোগ তোলেন।
আরএ


সিরিয়ার দখল করা ভূখণ্ড ছাড়বে না ইসরাইল: নেতানিয়াহু
৮৫ হাজার ইসরাইলি সেনার মানসিক চিকিৎসা গ্রহণ