থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগই মারা গেছেন আকস্মিক বন্যা, পানিতে ডুবে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। দেশটির নয়টি প্রদেশ বন্যা কবলিত হয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ সোংখলা প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে থাই সরকার। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
গত সপ্তাহের শেষের দিক থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পর্যটন কেন্দ্র হাট ইয়ে এবং দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
থাই সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাতটি প্রদেশে ৩৩ জন মারা গেছেন। বেশিরভাগই মারা গেছেন আকস্মিক বন্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং পানিতে ডুবে।’
তিনি আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে পানিরস্তর কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণের সাতটি প্রদেশে তীব্র বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে কয়েক মিলিয়ন মানুষের বসবাস।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বন্যায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকরা তাদের বাড়িঘর এবং হোটেলে আটকা পড়েছেন। নৌকা, জেট স্কি এবং সামরিক ট্রাক ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া দিনি দিন বৈরি হচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়ায় আটটি রাজ্যে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
আরএ


পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ‘ভারতের মদদপুষ্ট’ ২২ সন্ত্রাসী নিহত