গাজার ভবিষ্যত কী হবে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৩২
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৩৩
ছবি: সংগৃহীত

দুই বছর পর গাজা থেকে বাড়ি ফিরেছেন ইসরাইলের সব জীবিত জিম্মি। ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিও মুক্তি পেয়েছেন। দিনটিকে ‘অসাধারণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইসরাইলের হোস্টেজেস স্কয়ারে, আবেগআপ্লুত জনতা ইসরাইল ও মার্কিন পতাকা এবং জিম্মিদের ছবি উড়িয়ে বন্দিদের প্রত্যাবর্তন উদযাপন করেছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি বন্দিরা ঘরে ফেরায় আনন্দের বন্যা বয়ে যায় গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে।

মিশরে বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে কী হবে এবং এই পরিকল্পনাটি প্রকৃতপক্ষেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।

আল জাজিরার রোজিল্যান্ড জর্ডান বলেন, ট্রাম্প ভবিষ্যতে কী ঘটবে সে সম্পর্কে কোনো বাস্তব প্রতিশ্রুতি দেননি।

বর্তমান ইসরাইল সরকার এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং গাজার হামাস এরা কী কখনো এমন একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে, যেখানে দুটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে: একটি ইসরাইল আরেকটি ফিলিস্তিন।

সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, প্রথম পদক্ষেপটি সবেমাত্র নেয়া হয়েছে। বন্দিরা ঘরে ফিরেছেন। তাদের এখন গাজা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করা উচিত, মানুষকে তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনা উচিত।

আল জাজিরার আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ দফা শান্তি দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরো অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রথমত, তাদের খুঁজে বের করতে হবে কে গাজা উপত্যকা পরিচালনা করবে। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় টেকনোক্র্যাটদের কথা বলা হয়েছে।

তাদের একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীও গঠন করতে হবে। কারণ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নির্দিষ্ট সীমানায় ফিরে যাবে যখন এই নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি সুরক্ষিত করতে সক্ষম হবে।

সেইসঙ্গে পুনর্নির্মাণের বিষয়টিও রয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘শান্তি বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান হবেন যা পরবর্তী পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করবে।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত