মস্কো তেহরানের সঙ্গে থাকুক আর না থাকুন, ইরান ককেশাস অঞ্চলে মার্কিন করিডোর তৈরিতে বাধা দেবে। শনিবার ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সিনিয়র উপদেষ্টা আলি আকবর বেলায়াতি একথা জানান। খবর বার্তা সংস্থা তাসনিমের।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অংশ হিসেবে ককেশাস করিডোর বাস্তবায়ন করতে চায় ওয়াশিংটন। আর প্রকল্পটি বন্ধের হুমকি দিয়েছে তেহরান।
আজারবাইজানকে নাখচিভানের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য প্রস্তাবিত জাঙ্গেজুর করিডোর প্রকল্পের পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছেন বেলায়েতি।
ইরান-আর্মেনিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এই করিডোরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৯৯ বছরের উন্নয়ন ইজারা দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বেলায়াতি বলেন, এই ধরনের করিডোর মার্কিন প্রেসিডেন্টের মালিকানাধীন কোনো রুট নয়, বরং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাড়াটে সৈনিকদের কবরস্থানে পরিণত হবে।
ককেশাস বিশ্বের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইরান সর্বদা জাঙ্গেজুর করিডোর তৈরির বিরোধিতা করে আসছে। কারণ এটি এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি পরিবর্তন করবে, সীমানা পুনর্নির্মাণ করবে এবং আর্মেনিয়াকে ভাঙনের দিকে পরিচালিত করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, আর্মেনিয়ান জনগণও এই করিডোর পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছে। কারণ এটি তাদের দেশে বিচ্ছিন্নতা তৈরি করবে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ইরানে পূর্ববর্তী সফরে ঘোষণা করেছিলেন, করিডোরের পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট ক্ষতি রয়েছে এবং ইরানের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে করিডোর তৈরির বিরোধিতা করেছিলেন।
জাঙ্গেজুর করিডোর কেবল একটি বাণিজ্য পথ নয়, বরং ইরান এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেও সতর্ক করেন খামেনেয়ির এই সিনিয়র উপদেষ্টা। বলেন, ‘তুরস্ক ছাড়াও অন্যান্য ন্যাটো দেশগুলো এই অঞ্চলে উপস্থিত থাকতে চায়, কিন্তু ইরান তা করতে দেবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলের যে কোনো ব্যবস্থা কেবল আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই অঞ্চলে একটি ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ইরানকেও প্রভাবিত করে। অতএব, আমাদের স্বার্থকে বেশ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে।
এদিকে, আর্মেনিয়ার ঐতিহ্যগত মিত্র রাশিয়া বলেছে, সমস্যা সমাধানে আঞ্চলিক দেশগুলো মিলে বাস্তবায়ন করা উচিত, যাতে পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মতো ব্যর্থ প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি না হয়।
আরএ


লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থি ব্যাপক বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৪৪৭
বিশ্বমঞ্চে ভারতের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ শুল্কযুদ্ধে