মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিচালনা করবে ইসরাইল। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান। সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ ইসরাইলি দখলদারিত্বকে আরো দৃঢ় করবে এবং সাহায্যপ্রার্থীদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, হামাস গাজায় বিতরণ করা খাদ্য সহায়তা চুরি করে। তবে তার এই দাবি বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক জিনিস চুরি হয়ে গেছে। তারা টাকা পাঠায়। তারা খাবার পাঠায়। আর হামাস তা চুরি করে। এটি ছলচাতুরীর খেলা।’
ত্রাণ কেন্দ্রে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেনারা গুলি চালালেও তেলআবিবের ওপরই আস্থা রাখছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের সঙ্গে কাজ করবো। আমরা মনে করি তারা এটি ভালোভাবে করতে পারবে। তারা খাদ্য কেন্দ্রগুলোর নেতৃত্ব দিতে চায় যাতে বিতরণ সঠিকভাবে হয়।’
কোথায় ও কখন এসব কেন্দ্র তৈরি হবে, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসরাইল সেগুলো সরাসরি চালাবে, নাকি জিএইচএফ নামের বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করবে, তা–ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল–সমর্থিত জিএইচএফের বিরুদ্ধে গাজায় অনিরাপদ কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ আছে।
ট্রাম্পের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, জাতিসংঘ এবং তার অংশীদারদের মাধ্যমে গাজায় সাহায্য বিতরণ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়।
ইসরাইল গত মে মাস থেকে গাজায় অবরোধ আরো কঠোর করেছে। প্রায় একচেটিয়াভাবে জিএফএইচের মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় খাদ্য সরবরাহ করছে। উপত্যকার দক্ষিণে এদের মাত্র চারটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে।
আরএ


সুনামি আঘাত হানতে পারে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে
সুনামির আশঙ্কায় মার্কিনিদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ ট্রাম্পের