ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৭ সালের নভেম্বরের মধ্যে রাশিয়া থেকে সব ধরনের গ্যাস আমদানি বন্ধ করার একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
বুধবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট এ সংক্রান্ত একটি অস্থায়ী চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
যদিও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও কিছু সদস্য রাষ্ট্রের চাওয়া ছিল যে গ্যাস আমদানি বন্ধের চুক্তির সময়সীমা যাতে বাড়ানো হয়।
চুক্তির অধীনে সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ করবে। আর ২০২৭ সালের নভেম্বরের মধ্যে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
রুশ জ্বালানির ওপর ইইউয়ের অনেক সদস্য রাষ্ট্রের নির্ভরতার কারণে গত চার বছর ধরে আমদানি বন্ধের প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার রুশ আগ্রাসন শুরু করার আগ পর্যন্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোর ৫০ শতাংশ জ্বালানির চাহিদা মিটত রাশিয়ার গ্যাস দিয়ে।
ইউরোপীয় কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা শেষ করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লিয়েন বলেছেন, ‘ইউরোপ রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি চিরতরে বন্ধ করে দিচ্ছে। জ্বালানি স্বাধীনতা এখনই শুরু হচ্ছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা রুশ গ্যাস আমদানি বন্ধের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তির বিষয়ে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জ্বালানি কমিশনার ড্যান জর্গেনসেন বলেছেন, ‘আমরা ইউরোপের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা বেছে নিয়েছি। আর ব্ল্যাকমেইল নয়। পুতিনের আর বাজার কারসাজি নয়। আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আছি।’
চুক্তির আওতায় দীর্ঘমেয়াদি পাইপলাইন চুক্তি ২০২৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে নিষিদ্ধ হবে, যদি পর্যাপ্ত মজুদ থাকে। তবে কোনোভাবেই তা ২০২৭ সালের ১ নভেম্বর অতিক্রম করবে না। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি চুক্তি ২০২৬ সালের ১৭ জুনের মধ্যে নিষিদ্ধ হবে।
এদিকে ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এলএনজির ওপর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি নিষিদ্ধ হবে এবং ২০২৬ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে স্বল্পমেয়াদি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে।
জ্বালানি আমদানি বন্ধের সময়সীমা নিয়ে এখনো ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিল চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি।
তবে এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাধা রয়েছে। বিশেষ করে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো যেসব দেশ ইউরোপীয় দেশ রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করে থাকে, তারা ইইউয়ের এই প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো বুধবার ইইউয়ের সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বুদাপেস্ট এটি গ্রহণ বা বাস্তবায়ন করতে পারে না এবং তারা ইইউয়ের বিচার আদালতে এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জের পরিকল্পনা করছে।


সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীর
সজিব ওয়াজেদ জয়সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন