বিশ্জুড়ে আমদানি পণ্যে নতুন শুল্ক ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্বাক্ষর করা এ আদেশ কার্যকর হবে আগামী ৭ আগস্ট থেকে। খবর বার্তা সংস্থা এপি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছুক্ষণ পরেই এই আদেশ জারি করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে শুল্ক সম্পর্কিত তৎপরতার পর এটি জারি করা হলো। কারণ নতুন শুল্কের বিষয়ে ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরআগে বিভিন্ন দেশ এবং ব্লকের সঙ্গে চুক্তি ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউজ।
মার্কিন আমদানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত পারস্পরিক শুল্ক পুনর্বহালের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়াও ট্রাম্প বৃহস্পতিবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে কিছু কানাডিয়ান পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে।
বৃহস্পতিবার ‘পারস্পরিক শুল্ক হার সংশোধন’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৬৯টি বাণিজ্যিক অংশীদার এবং তাদের নিজ নিজ সমন্বিত শুল্ক হার তালিকাভুক্ত করেছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যসহ ওয়াশিংটনের কয়েকটি প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের ওপর; যার মধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং তাইওয়ানের ওপর ২০ শতাংশ উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
আফ্রিকান দেশ লেসোথোকে প্রথমে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়া হলেও এখন দেশটির পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। পাকিস্তানে ১৯ শতাংশ এবং ইসরাইল, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, ফিজি, ঘানা, গায়ানা এবং ইকুয়েডরের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। সুইজারল্যান্ডে ৩৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে শুল্ক পুনর্বহালের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার অভাব রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, নির্দিষ্ট কিছু বাণিজ্যিক অংশীদারের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত মূল্য শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশের জাতীয় জরুরি অবস্থঅ মোকাবেলা করা প্রয়োজন।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফিরে আসার পরপরই, ট্রাম্প আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের অধীনে একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন; যেখানে কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফেন্টানাইল এবং অবৈধ ওষুধের কারণে সৃষ্ট জনস্বাস্থ্য সংকট’ তৈরির কথা উল্লেখ করা হয়।
নতুন আদেশে ৬৮টি দেশ এবং ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শুল্ক হার নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরএ


ট্রাম্পের হুমকিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করলো ভারত