যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড । শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানান দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। উভয় পক্ষই কোনো চলাচল ছাড়াই বর্তমান সেনা মোতায়েন বজায় রাখতে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিক নাগরিকদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দিতেও সম্মত হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতির ৭২ ঘন্টা পর, থাইল্যান্ডের হাতে আটক ১৮ জন কম্বোডিয়ান সেনাকে মুক্তি দেয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় সীমান্ত সংঘাত শুক্রবার ১৯তম দিন পার করে। সংঘাতে উভয়পক্ষের ৯৬ জন প্রাণ হারান। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কাম্পুচিয়া প্রেস কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে থাই সেনাবাহিনী বান্তে মিঞ্চে প্রদেশের একটি গ্রামে কামানের গোলাবর্ষণ করে। এতে নিহত হন কম্বোডিয়ার বেসামরিক এক নাগরিক।
সংবাদ সংস্থার মতে, কম্বোডিয়ার জাতীয় পরিষদ থাইল্যান্ডের এই হামলাকে ‘নৃশংস ও অমানবিক’ হিসেবে বর্ণনা করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের সা কায়েও প্রদেশে অবস্থিত একটি গ্রামে বিএম-২১ রকেট নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সংঘাতে ২৩ থাই সেনা এবং একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। আর বেসামরিক নাগরিক নিহত হন ৪১ জন।
আরএ
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


হিন্দুত্ববাদী ভারতের কপট মাইনরিটি কার্ড
সেনেগাল উপকূলে নৌকাডুবি, ১৫০ অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা