শাটডাউনে দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে, বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিপর্যয়

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৫
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৭
ছবি সংগৃহিত

ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের বিরোধে রাজনৈতিক টানাপড়েনে এক জটিল আকার ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার স্মরণকালের দীর্ঘতম শাটডাউনে মুখোমুখি হয়েছে । চলমান শাটডাউনের কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, চিকিৎসা, ব‍্যাবসা- বাণিজ্যের পাশাপাশি এবার দেশটির বিমানবন্দরগুলোর ফ্লাইটগুলোতে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, দেশজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল ও হাজারো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে । ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার–এর তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ হাজার ৭০০টির বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে এবং ২ হাজার ২৮২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এমনকি সোমবারও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শিকাগো ও’হেয়ার, ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ, ডেনভার ও নিউয়ার্কসহ বড় শহরগুলোর বিমানবন্দরে আরও ৪ হাজার ফ্লাইট দেরিতে ছাড়ে এবং ৬০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।

এফএএ জানায়, সরকারের শাটডাউনে কারণে তাদের ৩০টি বড় বিমানবন্দরে এখন অর্ধেক জনবল ঘাটতিতে রয়েছে। নিউইয়র্ক অঞ্চলের বিমানবন্দরগুলোতে স্টাফ বা কর্মী অনুপস্থিতির হার পৌঁছেছে ৮০ শতাংশে। অর্থাৎ ১০০ জন কর্মীর ৮০ জনই কাজে আসছেন না।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ১৩ হাজার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার আছেন, যারা ‘অপরিহার্য কর্মী’ হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু গত ১ অক্টোবর থেকে বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। তবে এফএএ আরো বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিমান চলাচলের সংখ্যা কমাতে হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি গত রোববার সিবিএস নিউজকে বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্লাইট চলাচলে এমন বিলম্ব অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ওভারটাইম কাজ করছি যেন সিস্টেম নিরাপদ থাকে এবং প্রয়োজনে আমরা ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত করব।’

এদিকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা টানা ৩৫তম দিনে গড়িয়েছে। এর মাধ্যমে এটিই দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন। এর আগে ২০১৮-২০১৯ সালের শাটডাউন বর্তমান সময়ের মতো দীর্ঘ হয়েছিল। বর্তমান এই অচলাবস্থায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬ লাখ ৭০ হাজার বেসামরিক ফেডারেল কর্মী বাধ্যতামূলক ছুটিতে রয়েছেন এবং প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার কর্মী বেতন ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত