গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে তিন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
তদন্তকারীরা বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
নিহত তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। তারা হচ্ছেন- ২১ বছর বয়সী স্টাফ সার্জেন্ট শোহাম মেনাহেম, ২০ বছর বয়সী সার্জেন্ট শ্লোমো ইয়াকির শ্রেম এবং ১৯ বছর বয়সী সার্জেন্ট ইউলি ফ্যাক্টর। আহত কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, সেনারা একটি ট্যাঙ্কে ছিলেন। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরের দিকে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় তারা বিস্ফোরণের শিকার হন।
আইডিএফ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করেছিল ট্যাঙ্কটি হামাসের রকেট হামলা শিকার হয়েছে। তবে পরবর্তীতে সামরিক বাহিনী ধারণা করে, বিস্ফোরণটি সম্ভবত টাওয়ারের ভিতরে বিস্ফোরিত একটি ত্রুটিপূর্ণ শেলের কারণে ঘটে থাকতে পারে। অন্য সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরাইলে দুটি রকেট নিক্ষেপের কিছুক্ষণ আগে সেনাদের মৃত্যুর ঘোষণা আসে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও গাজায় থামছে না ইসরাইলের বর্বর সামরিক অভিযান। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় একদিনে কমপক্ষে ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রে হামলায় এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩৮ জনে পৌঁছেছে।
আরএ


গাজায় একদিনে আরো ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরাইলি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত