আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

জাতিসংঘ

মিয়ানমারে জনগণকে ভোটদানে বাধ্য করতে ‘নৃশংসতা’ চালাচ্ছে জান্তা

আমার দেশ অনলাইন

মিয়ানমারে জনগণকে ভোটদানে বাধ্য করতে ‘নৃশংসতা’ চালাচ্ছে জান্তা
জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের জান্তা আসন্ন নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে সহিংসতা চালাচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অন্যদিকে মানুষকে ভোট থেকে বিরত রাখতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও একই ধরনের কৌশল ব্যবহার করছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষকে ভোট দিতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে জনগণের প্রতি নৃশংস সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি ভিন্নমত প্রকাশের কারণে মানুষকে গ্রেপ্তার থামাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের জান্তা আগামী রোববার থেকে ভোট আয়োজন করতে যাচ্ছে। তারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন হিসেবে প্রচার করছে। দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ও গৃহযুদ্ধ শুরুর পাঁচ বছর পর নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সাবেক বেসামরিক নেতা নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি এখনো কারাগারে রয়েছেন এবং তার জনপ্রিয় দলটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ধাপে ধাপে এক মাসব্যাপী এই ভোটকে সামরিক শাসনের নতুন রূপ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ভলকার তুর্ক গত মাসে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে নির্বাচন আয়োজন ‘অকল্পনীয়’।

মঙ্গলবার তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সাধারণ মানুষ সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠী—উভয়ের হুমকির মুখে পড়ছে। ‘নির্বাচন সুরক্ষা আইন’-এর অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগের কারণে বহু মানুষকে আটক করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অনেককে ‘অত্যন্ত কঠোর সাজা’ দেওয়া হয়েছে। ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের হ্লাইংহায়া টাউনশিপের তিন যুবককে নির্বাচনবিরোধী পোস্টার টাঙানোর কারণে ৪২ থেকে ৪৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, তারা ম্যান্ডালে অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়েছে। তাদের সতর্ক করা হয়েছে, ভোট দিতে না গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হবে বা তাদের বাড়িঘর দখল করা হবে।

ভলকার তুর্ক জোর দিয়ে বলেন, বাস্তুচ্যুত মানুষকে অনিরাপদ অবস্থায় ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করা মানবাধিকার লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, মানুষ সামরিক বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছ থেকেও ‘মারাত্মক হুমকির’ মুখে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছেন ৯ জন নারী শিক্ষক, যাদের গত মাসে কিয়াইকতো থেকে অপহরণ করা হয়। তখন তারা ব্যালট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, পরে তাদের অপরাধীদের পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তাসহ মুক্তি দেওয়া হয়।

তুর্ক বলেন, এই নির্বাচন স্পষ্টতই সহিংসতা ও দমন-পীড়নের পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশ, সংগঠন বা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। সূত্র : বাসস

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন