• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> বিশ্ব

ফরেন অ্যাফেয়ার্সের নিবন্ধ

দক্ষিণ এশিয়ার স্বৈরশাসকদের নিয়ে ভারতের আহাম্মকি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৫
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৭
logo
দক্ষিণ এশিয়ার স্বৈরশাসকদের নিয়ে ভারতের আহাম্মকি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৫

হাজার হাজার তরুণ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে আসে এবং নেপালের সংসদ ভবনে হামলা চালায়। তারা ক্ষুব্ধ ছিল দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেও তারা প্রতিবাদ করেছিল।

কর্তৃপক্ষ বহু বিক্ষোভকারীকে হত্যা করলেও এই গণঅভ্যুত্থান শেষ পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগ এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিষ্ঠা ঘটায়। নেপাল দক্ষিণ এশিয়ায় সরকার পতনের সর্বশেষ উদাহরণ মাত্র।

এর আগে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটায় তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া গণআন্দোলন। শ্রীলঙ্কাতেও ২০২২ সালে ব্যাপক ও নাটকীয় গণবিক্ষোভের ঢেউ দেখা যায়। যার ফলে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়। আর মালদ্বীপে দুর্নীতি, গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং বিদেশি শক্তির প্রভাব নিয়ে গভীর অসন্তোষ একইভাবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

এই অঞ্চলের গণঅভ্যুত্থানগুলোর মূল উৎস অবশ্যই অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও অভিযোগ, কিন্তু গল্পটি সেখানেই শেষ নয়। বহু বছর ধরে ভারত নিজেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে তুলে ধরেছে। ভারত উদার মূল্যবোধের পক্ষ সমর্থক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র যেই দায়িত্ব দিয়েছে—ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গণতান্ত্রিক ভিত্তি হয়ে ওঠার তা সগৌরবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে ভারত প্রায়ই সম্পূর্ণ উল্টো রূপে দেখা দিয়েছে, স্বৈরশাসক সরকারগুলোকে সমর্থন করেছে এবং অন্য সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ বিপন্ন হলেই নয়াদিল্লি গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মানবাধিকারের প্রশ্নকে তুচ্ছ বলে গণ্য করেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তার গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারকে বিরক্ত না করতে চেয়ে খুব কমই ভারতের আঞ্চলিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছে। ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ঘোষণা করেছিলেন যে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকেই অগ্রাধিকার দেবে। পরবর্তী প্রতিটি মার্কিন প্রশাসনই এই ‘ভারতকেন্দ্রিক নীতির’ পুনরাবৃত্তি করেছে। নয়াদিল্লি বিভিন্ন প্রতিবেশী সরকারকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে তাদের হয়ে লবিং করে, কিংবা নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে টিকিয়ে রেখেছে। এর বিনিময়ে ওয়াশিংটন প্রায়ই ভারতের ভুলত্রুটিগুলোর প্রতি চোখ বুজে থেকেছে, এমনকি গণতন্ত্র প্রচারের নীতিও শিথিল করেছে, যদি তা ভারতের পছন্দের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়।

ফলস্বরূপ, দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশগুলো ভারতের দিকে তাকায় এক আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তি হিসেবে—যে দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সম্মতিতে তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে ভারত সম্পর্কে ক্ষোভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবিশ্বাস উভয়ই বাড়ছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাদেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সহিংস গণবিদ্রোহের পেছনে প্ররোচক হিসেবে কাজ করছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের নেপালি আন্দোলনে প্রতিবাদকারীরা ভারতীয় টিভি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, কারণ তারা ভারতের মিডিয়াকে তাদের রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে সম্পৃক্ত মনে করেছিল। এই ক্ষোভ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়, বরং এটি চীনের প্রভাব বিস্তারের জন্যও এক উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ যখন নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ মিত্র সরকারগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে, তখন বেইজিং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নতুন সরকারগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ক্রমে চীনের দিকে ঝুঁকছে, আর এর প্রকৃত প্রভাব পড়ছে ওয়াশিংটনের ওপর। এই অস্থিতিশীল মুহূর্তটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ—নয়াদিল্লির সঙ্গে তার সম্পর্ক নতুনভাবে মূল্যায়ন করার এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি আরো ভারসাম্যপূর্ণ নীতি অনুসরণের।

‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। নয়াদিল্লির এই সমর্থন হাসিনাকে স্বৈরাচার হয়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনের মতে, হাসিনার শাসনামলে লাখ লাখ বাংলাদেশি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

এর ফলে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে ভারতের প্রতি ক্ষোভ তীব্রভাবে বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের শুরুতে ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন গড়ে ওঠে। ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন এক গণঅভ্যুত্থানকে সরকারের নির্মমভাবে দমন জনগণের ক্ষোভকে আরো উসকে দেয়। যার কারণে হাসিনা পালাতে বাধ্য হন। তিনি দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন, যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ককে আরো তিক্ত করে তোলে।

হাসিনার পতনের আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয় ঠেকাতে তেমন কিছুই করেনি। বরাবরের মতো, তারা ভারতের অগ্রাধিকারকেই প্রাধান্য দিয়েছিল। অন্যদিকে হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চীন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

হাজার হাজার তরুণ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে আসে এবং নেপালের সংসদ ভবনে হামলা চালায়। তারা ক্ষুব্ধ ছিল দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেও তারা প্রতিবাদ করেছিল।

কর্তৃপক্ষ বহু বিক্ষোভকারীকে হত্যা করলেও এই গণঅভ্যুত্থান শেষ পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগ এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিষ্ঠা ঘটায়। নেপাল দক্ষিণ এশিয়ায় সরকার পতনের সর্বশেষ উদাহরণ মাত্র।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটায় তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া গণআন্দোলন। শ্রীলঙ্কাতেও ২০২২ সালে ব্যাপক ও নাটকীয় গণবিক্ষোভের ঢেউ দেখা যায়। যার ফলে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়। আর মালদ্বীপে দুর্নীতি, গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং বিদেশি শক্তির প্রভাব নিয়ে গভীর অসন্তোষ একইভাবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

এই অঞ্চলের গণঅভ্যুত্থানগুলোর মূল উৎস অবশ্যই অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও অভিযোগ, কিন্তু গল্পটি সেখানেই শেষ নয়। বহু বছর ধরে ভারত নিজেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে তুলে ধরেছে। ভারত উদার মূল্যবোধের পক্ষ সমর্থক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র যেই দায়িত্ব দিয়েছে—ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গণতান্ত্রিক ভিত্তি হয়ে ওঠার তা সগৌরবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে ভারত প্রায়ই সম্পূর্ণ উল্টো রূপে দেখা দিয়েছে, স্বৈরশাসক সরকারগুলোকে সমর্থন করেছে এবং অন্য সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ বিপন্ন হলেই নয়াদিল্লি গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মানবাধিকারের প্রশ্নকে তুচ্ছ বলে গণ্য করেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তার গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারকে বিরক্ত না করতে চেয়ে খুব কমই ভারতের আঞ্চলিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছে। ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ঘোষণা করেছিলেন যে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকেই অগ্রাধিকার দেবে। পরবর্তী প্রতিটি মার্কিন প্রশাসনই এই ‘ভারতকেন্দ্রিক নীতির’ পুনরাবৃত্তি করেছে। নয়াদিল্লি বিভিন্ন প্রতিবেশী সরকারকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে তাদের হয়ে লবিং করে, কিংবা নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে টিকিয়ে রেখেছে। এর বিনিময়ে ওয়াশিংটন প্রায়ই ভারতের ভুলত্রুটিগুলোর প্রতি চোখ বুজে থেকেছে, এমনকি গণতন্ত্র প্রচারের নীতিও শিথিল করেছে, যদি তা ভারতের পছন্দের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়।

ফলস্বরূপ, দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশগুলো ভারতের দিকে তাকায় এক আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তি হিসেবে—যে দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সম্মতিতে তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে ভারত সম্পর্কে ক্ষোভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবিশ্বাস উভয়ই বাড়ছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাদেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সহিংস গণবিদ্রোহের পেছনে প্ররোচক হিসেবে কাজ করছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের নেপালি আন্দোলনে প্রতিবাদকারীরা ভারতীয় টিভি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, কারণ তারা ভারতের মিডিয়াকে তাদের রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে সম্পৃক্ত মনে করেছিল। এই ক্ষোভ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়, বরং এটি চীনের প্রভাব বিস্তারের জন্যও এক উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ যখন নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ মিত্র সরকারগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে, তখন বেইজিং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নতুন সরকারগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ক্রমে চীনের দিকে ঝুঁকছে, আর এর প্রকৃত প্রভাব পড়ছে ওয়াশিংটনের ওপর। এই অস্থিতিশীল মুহূর্তটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ—নয়াদিল্লির সঙ্গে তার সম্পর্ক নতুনভাবে মূল্যায়ন করার এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি আরো ভারসাম্যপূর্ণ নীতি অনুসরণের।

‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। নয়াদিল্লির এই সমর্থন হাসিনাকে স্বৈরাচার হয়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনের মতে, হাসিনার শাসনামলে লাখ লাখ বাংলাদেশি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

এর ফলে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে ভারতের প্রতি ক্ষোভ তীব্রভাবে বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের শুরুতে ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন গড়ে ওঠে। ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন এক গণঅভ্যুত্থানকে সরকারের নির্মমভাবে দমন জনগণের ক্ষোভকে আরো উসকে দেয়। যার কারণে হাসিনা পালাতে বাধ্য হন। তিনি দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন, যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ককে আরো তিক্ত করে তোলে।

হাসিনার পতনের আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয় ঠেকাতে তেমন কিছুই করেনি। বরাবরের মতো, তারা ভারতের অগ্রাধিকারকেই প্রাধান্য দিয়েছিল। অন্যদিকে হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চীন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশনরেন্দ্র মোদিফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা
সর্বশেষ
১

জামায়াতসহ ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ সোমবার

২

ঝড়ো সেঞ্চুরিতে সোহানের কীর্তি

৩

নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব: ডিএসসিসি প্রশাসক

৪

রংপুরে দাঁড়িপাল্লার শোভাযাত্রায় সমর্থকের মৃত্যু, আহত ৩

৫

যারা আল্লাহর রাসুলকে মানে না তারা মুসলিম হতে পারে না

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

মিয়ানমারে ৩৫ বছর পর কারেন বিদ্রোহীদের দখলে মডং শহর

মিয়ানমার–থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মডং শহর ৩৫ বছর পর দখলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মিয়ানমারের কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)-এর সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং তাদের মিত্ররা।

৩১ মিনিট আগে

তেহরানে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে ইরান। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার উত্তর তেহরানের একটি মসজিদে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন শত শত মানুষ। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানী তেহরানে এই বছর বৃষ্টিপাত ১০০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে।

১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে?

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে 'চিকেনস নেক' হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর ঘিরে সম্প্রতি ভারতের কিছু সামরিক তৎপরতার খবর নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। সীমান্তের কাছে আসাম ও উত্তর দিনাজপুরে দুটি আর্মি স্টেশন বা সেনা ঘাঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে ভারত।

২ ঘণ্টা আগে

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে যে শর্ত দিলো পাকিস্তান

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আফগান সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় এবং সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কাবুলের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়।

২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে ৩৫ বছর পর কারেন বিদ্রোহীদের দখলে মডং শহর

মিয়ানমারে ৩৫ বছর পর কারেন বিদ্রোহীদের দখলে মডং শহর

তেহরানে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

তেহরানে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে?

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে?

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে যে শর্ত দিলো পাকিস্তান

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে যে শর্ত দিলো পাকিস্তান