আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

ঝুঁকি জেনেও ট্রাম্পের ওপর কেন আস্থা রাখছে হামাস

আমার দেশ অনলাইন
ঝুঁকি জেনেও ট্রাম্পের ওপর কেন আস্থা রাখছে হামাস
ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বর্ণবাদী, বিশৃঙ্খলাকারী এবং গাজা নিয়ে অযৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ বলে অভিহিত করতো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে পরিস্থিতি এখন পাল্টে গেছে।

খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে (সেপ্টেম্বর) একটি ফোন কল হামাসকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, যদি ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরাইলকে শান্তি চুক্তিতে রাজি করাতে পারবেন। শুক্রবার দুই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প গত মাসে হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকের পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে দোহায় হামলার জন্য কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। তার কথামতো ফোন করে ক্ষমা চান নেতানিয়াহু।

কাতারে বোমা হামলার ঘটনা ট্রাম্প সেভাবে সামাল দিয়েছিলেন, তাতে তার প্রতি হামাসের আস্থা বেড়ে যায়। হামাস বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সক্ষম এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে তিনি গুরুত্ব সহকারে কাজ করছেন।

বুধবার ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর হয়। হামাস এমন একজন ব্যক্তির কথার ওপর আস্থা রাখছে, যিনি এই বছরই গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করা এবং পুরো উপত্যকাকে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসাবে পুনর্নির্মাণের প্রস্তাব করেছিলেন।

শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, হামাস ইসরাইলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার ছাড়াই জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। হামাসের আরো দুই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর নির্ভর করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ ‘জুয়া’। তবে হামাসের আশা, ট্রাম্প চুক্তিতে এতোটাই জড়িয়ে গেছেন যে তিনি এটিকে ব্যর্থ হতে দেবেন না।

হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, হামাস নেতারা ভালোভাবেই জানেন যে তারা যে ঝুঁকি নিয়েছেন তা উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে। জিম্মিদের মুক্তি দিলে, ইসরাইল আবার হামলা শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে হামাসের। যেমনটি জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতির পর ঘটেছিল।

এবার লোহিত সাগরের পাড়ের একটি অবকাশযাপন কেন্দ্রে ইসরাইলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা করেছে হামাস। সেখানে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ প্রতিনিধিরা এবং আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।

দুই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা এবং আলোচনার বিষয়ে অবহিত আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, কাতারের হামলা এবং জুন মাসে ইরানের সাথে ইসরাইলের ১২ দিনের যুদ্ধ ট্রাম্প যেভাবে বন্ধ করেন, তাতে হামাসের আলোচকরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন যে বন্দিরা মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরাইলকে আবার যুদ্ধ শুরু করতে দেবেন না।

গাজার একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা আলোচনা এবং মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে বলেন, কাতারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইসরাইলি আক্রমণ হবে না বলে ট্রাম্পের প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি, হামাসের কাছে তাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।

আরএ

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন