গাজায় শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউ নিরাপদ নয়। পানি আনতে গিয়েও প্রাণ হারাতে হচ্ছে পিপার্স ফিলিস্তিনিদের। আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পানির খোঁজে গিয়ে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনই শিশু। এতে আহত হয়েছেন আরো ১৭ জন।
মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থীশিবিরে একটি পানি সরবরাহকেন্দ্রে পানি আনতে গিয়েছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিরা। এসময় ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হন তারা। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে প্রায় ১০ বার পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালালো ইসরাইল।
গাজার চিকিৎসা সূত্র থেকে জানা গেছে, পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ১০ জনসহ রোববার ইসরাইলের হামলায় উপত্যকাটিতে ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। আর আগের দিন শনিবার নিহত হয়েছেন অন্তত ১১০ জন। এর মধ্যে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের আশায় গিয়ে হামলায় নিহত হন ৩৪ জন।
সংস্থাটির ত্রাণকেন্দ্রে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন আট শতাধিক ফিলিস্তিনি। জিএইচএফের ত্রাণ সরবরাহের পদ্ধতি ও খাবারের মান নিয়ে সমালোচনা করে আসছে জাতিসংঘও।
রোববার গাজা সিটির একটি ব্যস্ত বাজারে হামলায় নিহত হন ১৭ জন। নিহতদের মধ্যে একজন বিখ্যাত চিকিৎসক আহমেদ কান্দিল।
গাজার বাজারে হামলার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। তবে নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে এক হামাস যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলের হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছে কমপক্ষে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরাইলের অব্যাহত হামলা ও অবরোধের ফলে গাজার ২১ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
আরএ


গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৫৮ হাজার ছাড়ালো মৃতের সংখ্যা
পশ্চিম তীরে মার্কিন যুবককে হত্যার তদন্ত দাবি