মিডল ইস্ট মনিটরের বিশ্লেষণ

আমার দেশ অনলাইন

মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্নির্মাণ কূটনৈতিক ও অধিকার গোষ্ঠীর কাছে যথেষ্ট আপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে। ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের মধ্যে দশ লাখ ফিলিস্তিনিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি নতুন আবাসিক এলাকায় স্থানান্তরিত করা হতে পারে। এরমাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের গাজার সামরিক অধিকৃত অঞ্চলে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য করা হবে।
প্রস্তাবটির কথা উল্লেখ করে একজন আরব কূটনীতিক বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা হয়তো হামাসের শাসনের অধীনে থাকতে চাইবে না, কিন্তু তারা ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস করতে এবং তাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যার জন্য দায়ী দলটির নিয়ন্ত্রণে থাকতে ইচ্ছুক হবে, এই ধারণাটি কল্পনাপ্রসূত।’
যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইহুদি উপনিবেশকারীদের কাছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা এখন গাজার ফিলিস্তিনিদের সামরিক দখলদারিত্বের অধীনে বসবাসের সম্ভাবনা নিয়ে আপত্তি তুলছে। হয়তো এই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, যারা এই পরিকল্পনার অংশ, তারা ভুলে গেছে যে গাজার ফিলিস্তিনিরা, দখলকৃত পশ্চিম তীরের মতোই এরইমধ্যে সামরিক দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস করেছে। ইসরাইলি গণহত্যার কারণেই শুধু কূটনীতিকরা এই মার্কিন পরিকল্পনাকে কাল্পনিক বলছেন তা নয়, বরং এটি ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়া যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রশ্ন করতে চায় না।
গণহত্যা অবশ্যই গাজায় সামরিক দখলদারিত্বকে সহজতর করতে পারে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় রয়ে গেছে এবং এই ভূখণ্ডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু গাজার ফিলিস্তিনিরা যদি গণহত্যার কারণে সামরিক দখলদারিত্বের অধীনে থাকতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কি পশ্চিম তীরের সামরিক দখলদারিত্বকে স্বাভাবিক করার জন্য আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে? যা ইতোমধ্যেই বিদেশী দাতাদের ‘অলীক ফিলিস্তিন’ রাষ্ট্র গঠনে অর্থ প্রদানের কারণে আড়াল হয়ে গেছে?
পশ্চিম তীর ইসরাইলের সামরিক দখলদারিত্বে রয়েছে এবং এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো প্রশ্ন নেই। তাহলে গাজায় সামরিক দখলদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন কেন? যদি গণহত্যাই কারণ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত গণহত্যার বিষয়টি সমাধান করা এবং ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় আনা। যদি গণহত্যাই কারণ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে পশ্চিম তীরে সামরিক দখলদারিত্বকে অনুমোদন করছে?
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে যখন ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়, তখন অসংখ্য ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হন, নিহত হন অনেকে। তবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন বা আপত্তি নেই।
যদি গাজায় সামরিক দখলদারিত্বের বিরোধিতা থাকে এবং পশ্চিম তীরে না থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গাজায় সামরিক দখলদারিত্বকে স্বাভাবিক করা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেমনটি তারা আগেও করেছিল, পশ্চিম তীরের ক্ষেত্রে।
আরএ

মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্নির্মাণ কূটনৈতিক ও অধিকার গোষ্ঠীর কাছে যথেষ্ট আপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে। ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের মধ্যে দশ লাখ ফিলিস্তিনিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি নতুন আবাসিক এলাকায় স্থানান্তরিত করা হতে পারে। এরমাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের গাজার সামরিক অধিকৃত অঞ্চলে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য করা হবে।
প্রস্তাবটির কথা উল্লেখ করে একজন আরব কূটনীতিক বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা হয়তো হামাসের শাসনের অধীনে থাকতে চাইবে না, কিন্তু তারা ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস করতে এবং তাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যার জন্য দায়ী দলটির নিয়ন্ত্রণে থাকতে ইচ্ছুক হবে, এই ধারণাটি কল্পনাপ্রসূত।’
যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইহুদি উপনিবেশকারীদের কাছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা এখন গাজার ফিলিস্তিনিদের সামরিক দখলদারিত্বের অধীনে বসবাসের সম্ভাবনা নিয়ে আপত্তি তুলছে। হয়তো এই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, যারা এই পরিকল্পনার অংশ, তারা ভুলে গেছে যে গাজার ফিলিস্তিনিরা, দখলকৃত পশ্চিম তীরের মতোই এরইমধ্যে সামরিক দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস করেছে। ইসরাইলি গণহত্যার কারণেই শুধু কূটনীতিকরা এই মার্কিন পরিকল্পনাকে কাল্পনিক বলছেন তা নয়, বরং এটি ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়া যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রশ্ন করতে চায় না।
গণহত্যা অবশ্যই গাজায় সামরিক দখলদারিত্বকে সহজতর করতে পারে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় রয়ে গেছে এবং এই ভূখণ্ডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু গাজার ফিলিস্তিনিরা যদি গণহত্যার কারণে সামরিক দখলদারিত্বের অধীনে থাকতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কি পশ্চিম তীরের সামরিক দখলদারিত্বকে স্বাভাবিক করার জন্য আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে? যা ইতোমধ্যেই বিদেশী দাতাদের ‘অলীক ফিলিস্তিন’ রাষ্ট্র গঠনে অর্থ প্রদানের কারণে আড়াল হয়ে গেছে?
পশ্চিম তীর ইসরাইলের সামরিক দখলদারিত্বে রয়েছে এবং এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো প্রশ্ন নেই। তাহলে গাজায় সামরিক দখলদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন কেন? যদি গণহত্যাই কারণ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত গণহত্যার বিষয়টি সমাধান করা এবং ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় আনা। যদি গণহত্যাই কারণ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে পশ্চিম তীরে সামরিক দখলদারিত্বকে অনুমোদন করছে?
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে যখন ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়, তখন অসংখ্য ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হন, নিহত হন অনেকে। তবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন বা আপত্তি নেই।
যদি গাজায় সামরিক দখলদারিত্বের বিরোধিতা থাকে এবং পশ্চিম তীরে না থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গাজায় সামরিক দখলদারিত্বকে স্বাভাবিক করা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেমনটি তারা আগেও করেছিল, পশ্চিম তীরের ক্ষেত্রে।
আরএ

বিভিন্ন কারণে ভারতে এপর্যন্ত অনেকগুলো হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। ধর্মীয়, ব্যক্তিগত অথবা রাজনৈতিক কারণে হলেও এসব হামলায় মারা যান নেহায়েত নিরাপরাধ সাধারণ কিছু মানুষ। বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। আসুন দেখে নেই ভারতের ভয়বাহ কিছু হামলার চিত্র
২৬ মিনিট আগে
ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির মধ্যেই বিচারমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কোকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর বরাত দিয়ে বুধবার কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, "দেশের অভ্যন্তরে যখন সেনাবাহিনীর মদতে সাংবিধানিক কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার এবং ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চলছে, তা থেকে তাদের নিজেদের জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা আখ্যান তৈরি করা পাকিস্তানের পরিচিত কৌশল। আন্তর্জাতিক মহল ভালো করেই জানে বাস্তবটা কী এবং পাকিস্তান মরিয়া হয়ে নজর ঘ
১ ঘণ্টা আগে
কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী আমাজন অঞ্চলে মাদক পাচারকারী এক গেরিলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৯ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে