সাম্প্রতিক হামলার জন্য ইসরাইল সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করতে ইরানের বিচার বিভাগের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বুধবার তেহরানে ইরানের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। খবর বার্তা সংস্থা মেহের নিউজের।
খামেনি বলেন, ইরানে হামলার অপরাধে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় আদালতেই আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। তার মতে, আইনী পদক্ষেপ নেওয়া এখন সবচেয়ে জরুরি।
তিনি বলেন, এতে যদি বিশ বছরও সময় লাগে, তাতে কিছু যায় আসে না। অপরাধীকে জবাবদিহি করতে হবে।
খামেনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১২ দিনের এই যুদ্ধ কেবল ইরানের সামরিক ও কৌশলগত শক্তিই নয়, বরং ইরানি জনগণের স্থিতিস্থাপকতা, সচেতনতা এবং জাতীয় ঐক্যেরও প্রকাশ ঘটায়।
খামেনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধে জনগণের মহান অর্জন হলো তাদের দৃঢ় সংকল্প, ইচ্ছাশক্তি এবং জাতীয় আত্মবিশ্বাস। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার আজ্ঞাবহ ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার মতো শক্তির মুখোমুখি হওয়ার মনোভাব এবং প্রস্তুতি থাকা অত্যন্ত মূল্যবান।’
ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতার মতে, এখন তার দেশ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা আর যুক্তরাষ্ট্রকে ভয় পায় না। বরং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভয় জাগিয়ে তোলে।
তার মতে, এই চেতনা এবং জাতীয় ইচ্ছাশক্তিই ইরানকে গর্বিত করে এবং তাদের মহান আকাঙ্ক্ষা অর্জনে নেতৃত্ব দেয়।
এরআগে, ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি কমিশনের সদস্য আলাউদ্দিন বোরুজেরদি বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা চাপের কাছে মাথা নত করবে না তেহরান। বুধবার বার্তা সংস্থা মেহের নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে ইউরোপীয় দেশগুলোর হুমকির জবাবে, বোরুজেরদি বলেন, ইরান পশ্চিমা পদক্ষেপের সমুচিত জবাব দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।
আরএ

