
আমার দেশ অনলাইন

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন জোরালো করার মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার তিন দেশের পক্ষ থেকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সোমবার থেকে নিউ ইয়র্কে শুরু হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ঠিক একদিন আগে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেন তিন দেশের সরকারপ্রধান। এছাড়া সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে পর্তুগাল। ফ্রান্সও শিগগির একই পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। ব্রিটেনের এই পদক্ষেপ ঐতিহাসিক মিত্র ইসরাইলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই চলমান টানাপোড়েন সম্পর্ককে আরো খারাপ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মূলত ফিলিস্তিনে ইহুদিদের বসতি স্থাপনের বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। কারণ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি জনগণের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আর্থার বালফুর একটি ঘোষণাপত্রে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ফিলিস্তিনে একটি জাতীয় আবাস প্রতিষ্ঠাকে’ সমর্থন করেছিলেন। এটি ছিল ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঐতিহাসিক ভুল। ফলে এই বালফুর ঘোষণাপত্রটি একটি ভুলের সূচনা। ওই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী সে সময়ে ব্রিটিশ শাসনাধীনে থাকা ফিলিস্তিনে প্রথমবারের মতো ইহুদিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হয়। তবে এর কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। এই সিদ্ধান্ত মূলত ইউরোপীয় শক্তির রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ইহুদি জনগণের প্রতি সমর্থনের অংশ ছিল।
ওই ঘোষণাপত্রের ফলে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। চরম মূল্য দিতে হয় ফিলিস্তিনিদের, যা এখনো চলছে। ৬৭ শব্দের একটি নথি ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ পরিষ্কার করে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসকে চিরতরে বদলে দেয়। বিশ্বে জন্ম দেয় কঠিন এক বৈরিতার, যা আধুনিক এই সময়ে এসেও সমাধান করতে পারেননি বিশ্বনেতারা। যেহেতু ফিলিস্তিন অঞ্চলটি ছিল ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে, ফলে তাদের সেই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে আরব জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষের জন্ম দেয়।
বালফোর ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের একটি অংশে ‘ইসরাইল’ নামে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ইহুদিরা। তারপর থেকেই নিজস্ব ভূমি হারাতে থাকে ফিলিস্তিনিরা, বিপন্ন হয়ে পড়ে তাদের স্বাধীনতা। শরণার্থী হয় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইহুদিদের হামলায় ধ্বংস হয় বহু গ্রাম, শহর। আর এই চিত্র চলতে থাকে বছরের পর বছর। কিন্তু শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।
গত মাসে ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়Ñ ব্রিটেন ‘১৯৬৭ সালের লাইনের ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’-এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয় না, যার মধ্যে রয়েছে পূর্ব জেরুসালেম।’ স্মারকলিপিতে ঘোষণা করা হয়, পূর্ব জেরুসালেম এবং গাজাসহ পশ্চিম তীরকে অবশ্যই একক কর্তৃত্বের অধীনে আনতে হবে। এতে আরো বলা হয়েছে, ‘ব্রিটেন ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে নিশ্চিত করে, যার মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রও অন্তর্ভুক্ত’।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি ব্রিটিশ সমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, ‘গাজার পরবর্তী পর্যায়ে শাসন, নিরাপত্তা এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে পিএর কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকা উচিত’। কারণ, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা আগে দাবি করেছেন হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা উচিত এবং গাজায় তাদের শাসনের অবসান ঘটাতে হবে।
বালফোরের ঘোণষাপত্রের মাধ্যমে দেওয়া সেই সমর্থনের ১০০ বছর পর এবং ফিলিস্তিনের ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের মাধ্যমে ইসরাইল সৃষ্টির ৭৭ বছর পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এই সিদ্ধান্ত ছিল বালফুর ঘোষণার ১০৮ বছর পর ব্রিটিশদের একটি বড় সিদ্ধান্ত। যেটিকে তাদের অতীতের ভুল সংশোধনের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন জোরালো করার মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার তিন দেশের পক্ষ থেকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সোমবার থেকে নিউ ইয়র্কে শুরু হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ঠিক একদিন আগে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেন তিন দেশের সরকারপ্রধান। এছাড়া সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে পর্তুগাল। ফ্রান্সও শিগগির একই পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। ব্রিটেনের এই পদক্ষেপ ঐতিহাসিক মিত্র ইসরাইলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই চলমান টানাপোড়েন সম্পর্ককে আরো খারাপ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মূলত ফিলিস্তিনে ইহুদিদের বসতি স্থাপনের বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। কারণ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি জনগণের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আর্থার বালফুর একটি ঘোষণাপত্রে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ফিলিস্তিনে একটি জাতীয় আবাস প্রতিষ্ঠাকে’ সমর্থন করেছিলেন। এটি ছিল ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঐতিহাসিক ভুল। ফলে এই বালফুর ঘোষণাপত্রটি একটি ভুলের সূচনা। ওই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী সে সময়ে ব্রিটিশ শাসনাধীনে থাকা ফিলিস্তিনে প্রথমবারের মতো ইহুদিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হয়। তবে এর কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। এই সিদ্ধান্ত মূলত ইউরোপীয় শক্তির রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ইহুদি জনগণের প্রতি সমর্থনের অংশ ছিল।
ওই ঘোষণাপত্রের ফলে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। চরম মূল্য দিতে হয় ফিলিস্তিনিদের, যা এখনো চলছে। ৬৭ শব্দের একটি নথি ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ পরিষ্কার করে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসকে চিরতরে বদলে দেয়। বিশ্বে জন্ম দেয় কঠিন এক বৈরিতার, যা আধুনিক এই সময়ে এসেও সমাধান করতে পারেননি বিশ্বনেতারা। যেহেতু ফিলিস্তিন অঞ্চলটি ছিল ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে, ফলে তাদের সেই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে আরব জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষের জন্ম দেয়।
বালফোর ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের একটি অংশে ‘ইসরাইল’ নামে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ইহুদিরা। তারপর থেকেই নিজস্ব ভূমি হারাতে থাকে ফিলিস্তিনিরা, বিপন্ন হয়ে পড়ে তাদের স্বাধীনতা। শরণার্থী হয় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইহুদিদের হামলায় ধ্বংস হয় বহু গ্রাম, শহর। আর এই চিত্র চলতে থাকে বছরের পর বছর। কিন্তু শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।
গত মাসে ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়Ñ ব্রিটেন ‘১৯৬৭ সালের লাইনের ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’-এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয় না, যার মধ্যে রয়েছে পূর্ব জেরুসালেম।’ স্মারকলিপিতে ঘোষণা করা হয়, পূর্ব জেরুসালেম এবং গাজাসহ পশ্চিম তীরকে অবশ্যই একক কর্তৃত্বের অধীনে আনতে হবে। এতে আরো বলা হয়েছে, ‘ব্রিটেন ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে নিশ্চিত করে, যার মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রও অন্তর্ভুক্ত’।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি ব্রিটিশ সমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, ‘গাজার পরবর্তী পর্যায়ে শাসন, নিরাপত্তা এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে পিএর কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকা উচিত’। কারণ, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা আগে দাবি করেছেন হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা উচিত এবং গাজায় তাদের শাসনের অবসান ঘটাতে হবে।
বালফোরের ঘোণষাপত্রের মাধ্যমে দেওয়া সেই সমর্থনের ১০০ বছর পর এবং ফিলিস্তিনের ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের মাধ্যমে ইসরাইল সৃষ্টির ৭৭ বছর পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এই সিদ্ধান্ত ছিল বালফুর ঘোষণার ১০৮ বছর পর ব্রিটিশদের একটি বড় সিদ্ধান্ত। যেটিকে তাদের অতীতের ভুল সংশোধনের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে দাবিদার ভারতের মুসলমানরা প্রতিনিয়তই তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনমূলক আইন কিংবা তুচ্ছ অভিযোগে মুসলিম পিটিয়ে হত্যা, ভারতের গণতন্ত্রকে ক্রমাগতভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে। এমতাবস্থায় ভারতকে ভন্ডামি গণতন্ত্র থেকে বের করে প্রকৃত গণ
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩,৬৫২ জন বাসস্থান আইন লঙ্ঘনকারী, ৪,৩৯৪ জন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিলেন। এবং ৪,৫৬৭ জন শ্রম আইন সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দোহায় অনুষ্ঠিত প্রথম দফা আলোচনার ধারাবাহিকতায় ইস্তাম্বুলে আজকের এই সংলাপে বসেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। দোহারের আলোচনা কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়
১ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে মিশরীয় দূতাবাসে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কায়রো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে তারা গাজা উপত্যকার অবরোধে ইসরাইলকে সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে মিশর সরকার এই ঘটনাগুলিকে “গাজায় ইসরাইলি অপরাধ থেকে মনোযোগ সরানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত দূষিত কর্মকাণ্ড
১ ঘণ্টা আগে