গাজায় ‘গণহত্যা বন্ধ’ কেবল গণমাধ্যমেই

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৫
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৫
ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় গাজায় চলছে যুদ্ধবিরতি। সেই যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পরিবর্তন ঘটেনি ফিলিস্তিনিদের জীবনে। তাদেরই একজন গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া। যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ১১ অক্টোবর, কিন্তু এখনো বাস্তুচ্যুত তিনি। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।

জেন্দিয়া বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও তার এলাকা শুজাইয়ার বেশিরভাগ অংশ এখনো ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তিনি আরো বলেন, চুক্তির দুই সপ্তাহ পরই তাদের আশ্রয়স্থলে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। সেই হামলায় প্রাণ হারান তার বোন। বোনের স্বামী যুদ্ধের আগেই নিহত হন। তাই একাই সন্তানদের দেখভাল করতে হয় তাকে। জেন্দিয়া আরো বলেন, গাজা সিটিতে যখন হামলা বেড়ে যায়, তখন সন্তানদের নিয়ে সেন্ট্রাল গাজায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেন তার বোন। কিন্তু সেখানেই মারা যান তিনি। এখন তার সন্তানদের মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই। গাজায় ‘গণহত্যা’ কেবল বিশ্ব গণমাধ্যমেই শেষ হয়েছে; কিন্তু তাদের জন্য এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। গণমাধ্যম এ সম্পর্কে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে; কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি এখনো চলছে। মিডল ইস্ট আইকে এমনটাই জানান ফিলিস্তিনি এই নারী।

বিজ্ঞাপন

জেন্দিয়ার মতো অভিজ্ঞতা বেঁচে যাওয়া অনেক ফিলিস্তিনির। তাদের মতে, গত দুবছরেও এখানকার গণহত্যা শেষ হয়নি। যুদ্ধবিরতির সময়টাতেও তা চলমান রয়েছে। একদিকে স্থলভাগে আক্রমণ, অন্যদিকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইলি বাধাÑএ দুইয়ে মিলে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকাই এখন সংকটময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় এখনো ইসরাইলি বাহিনীর হামলা চলছে। প্রায় প্রতিদিন উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ধ্বংস হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪২ জন। আহত হয়েছেন ৬২০ জন। আকাশে ড্রোন ঘুরছে, বাজছে আতঙ্ক ছড়ানো শব্দ। ইসরাইলি অবরোধের কারণে খাদ্য ও ওষুধ সংকটও আগের মতোই রয়েছে। দিনে গড়ে মাত্র ১৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, যেখানে চুক্তিতে ছিল ৬০০টি। তার বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ, জরুরি জিনিসপত্র এখনো মজুত ঘাটতিতে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত