আমার দেশ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকার
আবু দারদা যোবায়ের
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পূর্ণ বিশ্বাসী। নবযাত্রায় ‘আমার দেশ’গণমানুষের পক্ষে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসররা বাংলাদেশবিরোধী যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা রুখে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সচিবালয়ে ‘আমার দেশ’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর নিজ দপ্তরে এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অপপ্রচারের জবাব রুখে দিতে হলে আসল সত্যটা লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের কাছে তুলে ধরার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা দেশবাসী প্রত্যাশা করছে। গত ১৫ বছর দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষের স্বাধীনতা তথা সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমার দেশ’-এর একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ছিল বলে শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়েছিল। পতিত সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন তথা ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সব সময়ই সোচ্চার ছিল আমার দেশ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরতে আপস করেনি কখনো দৈনিকটি। তাই পাঠকের কাছে সমাদৃত ছিল ‘আমার দেশ’।
পাঠক তথা দেশের জনগণের সামনে সত্য তুলে ধরতে গিয়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন। জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। শুধু তা-ই নয়, সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে একাধিকবার জেলে ভরে নির্যাতন করেছিল। কিন্তু আমার দেশ মাথানত করেনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মুক্ত পরিবেশে আমার দেশ পুনঃপ্রকাশ হচ্ছে জেনে তথ্য উপদেষ্টা নবযাত্রায় ‘আমার দেশ’-এর সাফল্য কামনা করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, আমার দেশ সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পক্ষে অতীতের মতো অবিচল থাকবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রশ্নে ভবিষ্যতেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না ।
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে মানুষের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়নীতি ও ন্যায্যতা এবং সমতার বাংলাদেশ। যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবে, মতপ্রকাশ করতে পারবে। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, পতিত সরকারের দোসররা এখনো থেমে নেই। তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত করে যাচ্ছে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পালটা কাউন্টার, জবাব দিতে হবে; অর্থাৎ প্রকৃত সত্যটা দেশের জনগণের সামনে ও বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে যথাযথ ভূমিকা রাখতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি দেশের জনগণ গণমাধ্যমের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা।
বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের কথা ছিল না। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছি। তিনি বলেন, ভারত আমাদের স্বাধীনতায় সহযোগিতা করেছিল। আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস আমাদেরই। ভূ-রাজনৈতিক কারণে ভারত ১৯৭১ সালে তার স্বার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল। সুতরাং বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে অস্বীকার করে কেউ বক্তব্য দিলে সেটা শিষ্টাচারবহির্ভূত হবে। দেশের মানুষ এ ধরনের বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তীতে গণমাধ্যমের কাছে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা কি জানতে চাইলে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ৭১ সালে ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের সুফল, জনগণের আকাঙ্ক্ষা এখনো আমরা পূরণ করতে পারিনি। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি, তার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে এবং দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে অবশ্যই সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষের চাওয়া-পাওয়া হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ; মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ লেখনী সরকারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা করে ।
দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, হাসিনা সরকারের আমলে দেশের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম সরকারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
কোন নিউজ কতটুকু প্রচার হবে, কোন নিউজ পত্রিকায় ছাপা হবে না, টেলিভিশনে প্রচার করা যাবে না- তা বলে দেওয়া হতো। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশের সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এখন পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এখন সংবাদকর্মীরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন, কথা বলতে পারছেন। সরকারের ভুল-ত্রুটিসহ নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পুরোপুরি বিশ্বাসী বলেই সংবাদপত্র, সংবাদমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তথ্য উপদেষ্টা দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় এক বড় বাধা।
এছাড়াও ছাত্র-জনতার যে আকাঙ্ক্ষা, হাজারো শহীদের যে স্বপ্নের নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে তা হবে অন্তরায়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সব সময়ই সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চায়। একইসঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন নাহিদ ইসলাম।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পূর্ণ বিশ্বাসী। নবযাত্রায় ‘আমার দেশ’গণমানুষের পক্ষে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসররা বাংলাদেশবিরোধী যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা রুখে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সচিবালয়ে ‘আমার দেশ’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর নিজ দপ্তরে এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অপপ্রচারের জবাব রুখে দিতে হলে আসল সত্যটা লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের কাছে তুলে ধরার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা দেশবাসী প্রত্যাশা করছে। গত ১৫ বছর দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষের স্বাধীনতা তথা সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমার দেশ’-এর একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ছিল বলে শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়েছিল। পতিত সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন তথা ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সব সময়ই সোচ্চার ছিল আমার দেশ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরতে আপস করেনি কখনো দৈনিকটি। তাই পাঠকের কাছে সমাদৃত ছিল ‘আমার দেশ’।
পাঠক তথা দেশের জনগণের সামনে সত্য তুলে ধরতে গিয়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন। জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। শুধু তা-ই নয়, সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে একাধিকবার জেলে ভরে নির্যাতন করেছিল। কিন্তু আমার দেশ মাথানত করেনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মুক্ত পরিবেশে আমার দেশ পুনঃপ্রকাশ হচ্ছে জেনে তথ্য উপদেষ্টা নবযাত্রায় ‘আমার দেশ’-এর সাফল্য কামনা করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, আমার দেশ সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পক্ষে অতীতের মতো অবিচল থাকবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রশ্নে ভবিষ্যতেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না ।
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে মানুষের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়নীতি ও ন্যায্যতা এবং সমতার বাংলাদেশ। যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবে, মতপ্রকাশ করতে পারবে। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, পতিত সরকারের দোসররা এখনো থেমে নেই। তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত করে যাচ্ছে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পালটা কাউন্টার, জবাব দিতে হবে; অর্থাৎ প্রকৃত সত্যটা দেশের জনগণের সামনে ও বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে যথাযথ ভূমিকা রাখতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি দেশের জনগণ গণমাধ্যমের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা।
বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের কথা ছিল না। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছি। তিনি বলেন, ভারত আমাদের স্বাধীনতায় সহযোগিতা করেছিল। আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস আমাদেরই। ভূ-রাজনৈতিক কারণে ভারত ১৯৭১ সালে তার স্বার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল। সুতরাং বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে অস্বীকার করে কেউ বক্তব্য দিলে সেটা শিষ্টাচারবহির্ভূত হবে। দেশের মানুষ এ ধরনের বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তীতে গণমাধ্যমের কাছে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা কি জানতে চাইলে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ৭১ সালে ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের সুফল, জনগণের আকাঙ্ক্ষা এখনো আমরা পূরণ করতে পারিনি। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি, তার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে এবং দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে অবশ্যই সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষের চাওয়া-পাওয়া হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ; মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ লেখনী সরকারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা করে ।
দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, হাসিনা সরকারের আমলে দেশের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম সরকারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
কোন নিউজ কতটুকু প্রচার হবে, কোন নিউজ পত্রিকায় ছাপা হবে না, টেলিভিশনে প্রচার করা যাবে না- তা বলে দেওয়া হতো। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশের সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এখন পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এখন সংবাদকর্মীরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন, কথা বলতে পারছেন। সরকারের ভুল-ত্রুটিসহ নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পুরোপুরি বিশ্বাসী বলেই সংবাদপত্র, সংবাদমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তথ্য উপদেষ্টা দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় এক বড় বাধা।
এছাড়াও ছাত্র-জনতার যে আকাঙ্ক্ষা, হাজারো শহীদের যে স্বপ্নের নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে তা হবে অন্তরায়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সব সময়ই সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চায়। একইসঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন নাহিদ ইসলাম।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাবকে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, র্যাব ‘গুরুতর মানবাধিকার’ লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। এরপর থেকেই মূলত সরকার নড়েচড়ে বসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে বাংলাদেশ নিয়ে একটি আলোচনা সভায় শেখ হাসিনার সমালোচনা করলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক অর্ক দেব। তিনি দিনকয়েক আগে ড. ইউনূসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে হাজির ছিলেন বাংলাদেশে।
১২ ঘণ্টা আগে২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর দরবার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ৪৪ ব্যাটালিয়নের সদস্য সিপাহি মঈন একটি অস্ত্র নিয়ে মঞ্চে উঠে বিডিআরের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিলের মাথায় তাক করেছিলেন। একজন অফিসার তাকে নিরস্ত্র করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের করাল গ্রাসে ধ্বংস হয়ে গেছে দেশের প্রতিটি খাত। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাত ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। অবৈধ আর্থিক লেনদেন, স্বজনপ্রীতি করে প্রয়োজনের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি লোকবল নিয়োগ দিয়েছে ইডিসিএল।
১৪ ঘণ্টা আগে