চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ডে একসময় নাম ছিল শুধু ‘শিবির’ নাছিরের। বন্দুক, চাঁদাবাজি, খুন—সবকিছুর কেন্দ্রে ছিল তার বাহিনী। সে সাম্রাজ্য যখন ক্রসফায়ার, দলাদলি আর পুলিশি অভিযানে ধসে পড়ে, তখনই ধুলা-ধোঁয়ার ভেতর থেকে উঠে আসে নতুন এক নাম—সাজ্জাদ আলী খান ওরফে বড় সাজ্জাদ। বয়স কম, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস বেশি আর সবচেয়ে বড় সম্পদ ছিল মাঠের ক্যাডারদের ওপর তার দখল। নাছিরের ছায়া থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সে।
আগে যেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো অস্ত্র, টেন্ডারবাজি বা গ্যাংভিত্তিক শক্তির ওপর নির্ভর করত, এখন সেখানে ‘জামিননির্ভর কিলার রিক্রুটিং মডেল’ হয়ে উঠেছে সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র। এ মডেলের কারিগর সেই সাজ্জাদ আলী খান ওরফে বড় সাজ্জাদ।
আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নতুন এ ভয়াবহ চিত্র।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, সাজ্জাদ বাহিনীর বর্তমান যেসব সদস্য পেশাদার খুনি হিসেবে পরিচিত, তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই একসময় ছিল চুরি, ছিনতাই বা চাঁদাবাজির মতো সাধারণ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর তাদের জামিনের প্রক্রিয়া দ্রুত করে দেয় সাজ্জাদ বা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা। জামিনে বের হওয়ার পরই তাদের জীবনে শুরু হয় দ্বিতীয় অধ্যায়, যা মূলত সাজ্জাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অপরাধচক্রে প্রবেশের পথ।
তদন্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্য, জামিনপ্রাপ্তদের শুরুতে নজরদারি, মোটরসাইকেল চালানো বা অস্ত্র পরিবহনের মতো অপেক্ষাকৃত ‘লো রিস্ক’ কাজ দেওয়া হয়। কয়েক মাসে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হলে শুরু হয় আরো কঠোর প্রশিক্ষণ। অস্ত্র চালানো, পালানোর রুট মুখস্থ করা, টার্গেট শনাক্তকরণ—সবকিছুই ধাপে ধাপে শেখানো হয়। এর পরই তাদের ব্যবহার করা হয় লক্ষ্যভিত্তিক হামলা বা খুনের মতো উচ্চঝুঁকির কাজে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশিদ আমার দেশকে বলেন, ছোটখাটো অপরাধে যারা জেলে যায়, মুক্তির পর তাদের ওপর নজরদারি আরো জোরদার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী সাজ্জাদের হয়ে কারা কাজ করছে, পুরো নেটওয়ার্কই আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। সাজ্জাদ যাদের টার্গেট করে দলে টানছে, তাদের বিষয়েও আমরা আলাদা করে খতিয়ে দেখছি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশরাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করে, চার্জশিটে অনেক সময় তাদের নাম সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই তারা বেরিয়ে আসে। দুর্বল মামলা দেওয়ার কারণে জেল থেকে বের হয়ে একই সন্ত্রাসীরা আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, জেল থেকেই সাজ্জাদের নেটওয়ার্কে নতুন সদস্য ভেড়ানোর কাজটি এখন পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘সাঙ্গু ওয়ার্ডে’ থাকা রাউজানের খোরশেদ এবং অক্সিজেন এলাকার হাসান। দুজনই বাকলিয়ার ডাবল মার্ডারসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছে।
বর্তমানে সাজ্জাদের হয়ে আলোচিত কয়েকজন ‘হিটম্যান’ হলো—রায়হান আলম, মোবারক (ইমন), বোরহান, ছোট সাজ্জাদ এবং শহিদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যা; যারা একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধচক্রে ঢুকে পড়ে। এমনকি সম্প্রতি গুলিতে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলাও একই ভাবে কারাগারে থাকা চক্রের প্রভাবে ধীরে ধীরে এ জগতে পা রাখেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
হাসিনার আমলে সাজ্জাদের হয়ে কাজ করেছেন ম্যাক্সন ও সরওয়ার বাবলা। তবে নিজেদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হওয়ায় পরে দুজন মূল গ্রুপ ছাড়তে বাধ্য হন। এর মধ্যে ম্যাক্সন ২০২২ সালে কলকাতায় মারা যান আর সরওয়ার বাবলাকে গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদের চালিতাতলী এলাকায় সাজ্জাদের অনুসারীরা গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ছোট সাজ্জাদ কার্যত বড় সাজ্জাদ গ্রুপের নেতৃত্ব পাওয়া শুরু করে। হাটহাজারীর শিকারপুর এলাকার জামালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মাত্র চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে স্থানীয় একটি মুরগির দোকানে কাজ শুরু করে।
বড় সাজ্জাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর বর্ণনায় উঠে এসেছে—ছোট সাজ্জাদের অপরাধ জগতের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয় জেল থেকেই। ছিনতাইয়ের অভিযোগে জেলে যাওয়ার পর কারাগারে থাকা বড় সাজ্জাদের লোকজন তাকে দলে ভেড়ানোর প্রস্তাব দেয়। গত বছরের ২৯ আগস্ট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষ বাবলার সহযোগী মো. আনিস ও কায়সারকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অনন্যা আবাসিকে গুলি করে হত্যা করে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায়ই সে প্রধান আসামি। একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁদা না পেয়ে অক্সিজেন কালারপুল এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ে সে। কারাগারে গিয়েও সাজ্জাদ আলোচনায় থাকে বাকলিয়ায় জোড়া খুন, ঢাকাইয়া আকবর খুন এবং সর্বশেষ বাবলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
ছোট সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় তিনজন—রাউজানের রায়হান আলম, মোবারক ইমন এবং শহিদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যা। এদের মধ্যে রায়হান সবচেয়ে সংগঠিত ও প্রভাবশালী। রায়হানের অপরাধজীবন শুরু মদ বিক্রি দিয়ে। পরে আওয়ামী আমলে রাউজানের কুখ্যাত আজিজ বাহিনীর হয়ে কাজ করে। এখান থেকেই তার পরিচয় ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে। ছোট সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বড় সাজ্জাদ তাকে নিজের ডানহাতে পরিণত করে।
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, রায়হানের বিরুদ্ধে খুন, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত বছরের ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে আটটি হত্যা মামলা। গত ৫ নভেম্বর বাবলাকে খুন করার আগেই ফোনে সরাসরি হুমকি দেয় রায়হান—এমন অডিও তদন্তকারীদের হাতে রয়েছে। মোবারক ইমন ও বুইস্যা বর্তমানে বড় সাজ্জাদের ডানহাত হিসেবে কাজ করছে। এর মধ্যে মোবারক ইমন সাজ্জাদের অস্ত্রভান্ডার এবং অস্ত্র পরিবহনের দায়িত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অক্সিজেন এলাকার সোসাইটি পাড়া থেকে পুরো অপারেশন পরিচালনা করে হাসান। রাউজানের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে রায়হান ও মোরশেদ। বায়েজিদের ২ নম্বর সাইট এলাকায় ‘ফিল্ড কমান্ডার’ হিসেবে পরিচিত বোরহান, যে মূল হ্যান্ডলারদের একজন। রাউজানের সাতিরকাটি এলাকার ইমন দীর্ঘদিন ধরে সাজ্জাদের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সহকারী হিসেবে কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
নগরীর বায়েজিদের সোসাইটি পাড়ার তপু, সলারপুল-বাদামতল এলাকার আজম, ফালারপুলের মনির এবং ওয়াজদিয়া মোড়ের চেয়ারম্যানবাড়ির আজাদ—এ চারজন মাঠপর্যায়ের কর্মী হলেও গোপন অভিযানগুলোয় নিয়মিত অংশ নেয় বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। চান্দগাঁওয়ের হাজীরপুল এলাকার হেলালও বহুদিন ধরে এই বাহিনীর হয়ে কাজ করছে আর বায়েজিদের চালিতাতলীর ওসমান ও সেগুনকে ‘কোর গ্রুপ’-এর সদস্য হিসেবে চেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের তথ্যানুযায়ী, শুধু গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে জোড়া খুনসহ অন্তত ১০ হত্যাকাণ্ডে উঠে এসেছে সাজ্জাদ বাহিনীর সদস্যদের নাম। হাটহাজারী, রাউজান, বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও—এই পাঁচ থানার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে জীবনযাপন করছেন।
মোবারক ইমন বায়েজিদের বাসিন্দা। আগে চাঁদা তোলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে ‘কাজের খোঁজে’ সাজ্জাদের কাছে গেলে অল্প সময়েই তার হাতে চলে আসে বিদেশি পিস্তল। এর পর থেকেই তাকে সামনে রেখে পরিচালিত হয় বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনা। বোরহান পেশায় ছিল গ্যারেজ মেকানিক। ২০১৮ সালে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যায়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সে সাজ্জাদের গাড়িচালক হিসেবে কাজে যোগ দেয়। গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে চলতে চলতেই পরিচয় হয় বাহিনীর খুন-দমন চক্রের সঙ্গে। পরে একাধিক হত্যাকাণ্ডে ‘সহকারী শুটার’ হিসেবেও নাম আসে তার।
যেভাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রক হলো সাজ্জাদ
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড ছিল নাছিরের দখলে। তার বাহিনীর অন্যতম তরুণ সদস্য হিসেবে উঠে আসে সাজ্জাদ আলী খান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধু নাছির বাহিনীর ফিল্ড অপারেটরই নয়, পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক প্রভাবশালী নাম হয়ে ওঠে সাজ্জাদ। নাছিরের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বিশাল নেটওয়ার্কে সাজ্জাদের চারপাশে ছিল ভয়ংকর সব সহযোগী—গিট্টু নাছির, হাবিব খান, আহমুদুল হক, হুমায়ুন, ইয়াকুব, বাইট্টা আলমগীর, দেলওয়ার ওরফে আজরাইল দেলওয়ার, ফাইভ স্টার জসিম, ছোট্ট সাইফুল, বাইট্টা ইউসুফ, বিলাই সাইফুল, বিডিআর সেলিম, ভাগিনা রমজান, তসলিম উদ্দিন মন্টু, মনজুর আলম ও সারওয়ার আলম। ধীরে ধীরে নাছিরের দল ভেঙে পড়তে থাকলেও সাজ্জাদ টিকে যায় এবং প্রভাব বাড়াতে থাকে।
১৯৯১ থেকে ২০০৪—এই ১৩ বছরে ক্রসফায়ার, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও পাল্টা হামলায় নাছির বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। কেউ মারা যায়, কেউ দেশ ছাড়ে, কেউ জেলে যায়। কিন্তু সাজ্জাদ প্রতিটি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায়। ওই সময়ে সাজ্জাদের নাম জড়িয়ে পড়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে। ১৯৯১ সালে যুবলীগকর্মী শ্যামল, জাফর ও দিদার হত্যা; ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্রলীগ নেতাদের টার্গেট কিলিং; ১৯৯৯ সালে ওয়ার্ড কমিশনার লিয়াকত আলী খান খুন; ২০০০ সালের ১২ জুলাইয় এইট মার্ডার। একই বছরের ছাত্রলীগ নেতা আবুল কাশেম ও আবু তাহেরকে হত্যা—সব ক্ষেত্রেই উঠে আসে তার ভূমিকা। সবচেয়ে আলোচিত ২০০৪ সালের দুই বড় ঘটনা হলো বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম রাব্বানী হত্যাকাণ্ড এবং কালুরঘাট শিল্প এলাকায় ৫৬ লাখ টাকা লুটের ঘটনা।
২০০৪ সালের ৩০ জুন বালুচরা এলাকায় নিজেদের গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ছোট্ট সাইফুল, তার ভাই আলমগীর ও বোন মনোয়ারা বেগম খুনের শিকার হয়। কার্যত ওই সংঘর্ষের পর থেকেই পুরোনো বাহিনী ভেঙে পড়ে। ঠিক ওই সময়টিতেই ভয়, প্রভাব ও টিকে থাকার ক্ষমতায় অন্যদের ছাপিয়ে উঠে আসে সাজ্জাদ আলী খান। নাছিরের বদলে সে হয়ে যায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক, যে অবস্থান আজও বহু এলাকায় তার অনুসারীরা ধরে রেখেছে।
সাজ্জাদ আলী খানের সঙ্গে একাধিক মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত রায়হান আলম আমার দেশকে বলেন, আমাকে যেসব মামলায় জড়ানো হচ্ছে, সেগুলোর বেশিরভাগই মিথ্যা। বিশেষ করে ঢাকাইয়া আকবর, সরোয়ার বাবলা হত্যাকাণ্ডে আমাকে জড়ানো হয়েছে, যেসব ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গে রায়হান আলম বলেন, এখন যদি আত্মসমর্পণ করি, পুলিশ আমার নামে আরো কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে দেবে। এ কারণেই আপাতত আত্মসমর্পণ করছি না।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বলেন, যারা কারাগারে থেকে সন্ত্রাসী সাজ্জাদের হয়ে কাজ করছে তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াব। যদিও কাজটি কঠিন।


ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান
ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কৃষক নিহত