Ad T1

দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করলো সরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ৪১
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ০৩
সারা দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি এবং পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে।
রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’- এর ওপরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিডা ও বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) মাত্র শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। বিদেশে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশি যদি বিনিয়োগকারীদের দেশে নিয়ে আসেন সেসব বাংলাদেশিকে এফডিআইর বিপরীতে প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
বেজার অধীনে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে চৌধুরী আশিক জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোববারের বৈঠকে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। সোনাদিয়ার কথা অনেক শুনেছেন, সুন্দরবনে ইকোট্যুরিজম পার্ক করার কথা ছিল এরকম ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটি সরকারি, আর পাঁচটি বেসরকারি রয়েছে।
সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে— কক্সবাজারের সোনাদিয়া ইকোট্যুরিজম পার্ক, বাগেরহাটের সুন্দরবন ইকোট্যুরিজম পার্ক, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, ময়মনসিংহের ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- মুন্সীগঞ্জের গার্মেন্টস শিল্পপার্ক (বিজিএমইএ), সুনামগঞ্জের ছাতক ইকোনমিক জোন, বাগেরহাটের ফমকম ইকোনমিক জোন, ঢাকার সিটি স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল।
কেন এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে এর ব্যাখ্যায় চৌধুরী আশিক বলেন, আমরা মনে করি না এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো কাজ করবে সেগুলো প্রক্রিয়াধীন করা প্রচণ্ড বিষয়ভিত্তিক হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার পর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া যায় না। আমরা মনে করি এক্ষেত্রে আন্ত:মন্ত্রণালয় কনসালটেশন হওয়া উচিত।
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত