
লিমন ইসলাম, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা পাচ্ছেন আড়াই হাজারের বেশি জবি ছাত্রছাত্রী। নির্বাচন কমিশন গঠনের দুদিনের মাথায় আচরণবিধি প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এতে বলা হয়েছে, যাদের বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে এবং এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অভ্যন্তরীণ’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
কিন্তু বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় অনেক নিয়মিত শিক্ষার্থীই এখন সেই বৈধ পরিচয়পত্র থেকে বঞ্চিত। যে কারণে তারা আচরণবিধি অনুযায়ী ‘বহিরাগত’ হিসেবে গণ্য হওয়াসহ ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি নিয়মিত শিক্ষার্থী। স্নাতক শেষ করে তারা নিয়মিতভাবে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন, ক্লাস করছেন, পরীক্ষা দিচ্ছেন, তবুও অনেক শিক্ষার্থীকেই নতুন পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আইডি কার্ডের কপি পাওয়া গেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ এর ডিসেম্বরে। অর্থাৎ বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অনলাইন আইডি কার্ডেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ এ । তাদের অধিকাংশই মাস্টার্স কোর্স শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ফলে একাডেমিকভাবে তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী হলেও প্রশাসনিক নথিতে তাদের পরিচয়পত্র এখন মেয়াদোত্তীর্ণ।
নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী এসব শিক্ষার্থী বহিরাগত হিসেবে পরিগণিত হলে, তারা নির্বাচনি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। সে অনুযায়ী ভোটার তালিকায় নাম থাকবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবার নাম থাকলেও নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশ না করতে পারলে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রুবাইয়া জান্নাত বলেন, আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা, সবকিছুই চলছে। কিন্তু আইডি কার্ড না থাকার কারণে আচরণবিধি অনুযায়ী আমি এখন বহিরাগত হয়ে যাচ্ছি। এতে নির্বাচনের সময় ভোট দিতে পারব কি না, সেই আশঙ্কায় আছি।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইডি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া অনিয়মিত। কেউ ভর্তি হওয়ার পর কার্ড পেতে সময় লাগে কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত। আবার কার্ড হারিয়ে গেলে নতুন করে পেতেও দীর্ঘদিন ঘুরতে হয় প্রশাসনের দপ্তরে। এই অব্যবস্থাপনার কারণে তারা শুধু নির্বাচনের সময় নয়, বরং নিয়মিত নানা কাজে সমস্যায় পড়ছেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, আইডি কার্ড বিতরণে দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতা রয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, যদি আচরণবিধি হুবহু অনুসরণ করা হয়, তাহলে বৈধ আইডি না থাকা অবস্থায় তারা নির্বাচনের দিনে ভোট দিতে পারবেন না। ফলে একদিকে তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী, অন্যদিকে প্রশাসনিক ত্রুটিতে ‘বহিরাগত’ তকমা পেতে পারেন। যা তাদের জন্য চরম অবমাননাকর।
অন্যদিকে, শিক্ষকরাও মনে করছেন, এই পরিস্থিতি আচরণবিধির কোনো ত্রুটি নয়, বরং প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার ফল। একজন শিক্ষক বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইডি কার্ড ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। এখন সেই পুরোনো সমস্যাই নির্বাচনের সময় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি স্পষ্টতই প্রশাসনিক ব্যর্থতা।
জকসুর নির্বাচন কমিশনার ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান আমার দেশকে বলেন, এটা আমাদের খসড়া আচরণবিধি। আজ (রোববার) সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসব। আচরণবিধিতে ভাষাগত ত্রুটি ও অন্যান্য বিষয় আমরা অনেকগুলো বিষয় শুনেছি, সেগুলো সমাধান করা হবে। চূড়ান্তভাবে আগামী সোম অথবা মঙ্গলবারের মধ্যে সংশোধন করে প্রকাশ করা হবে।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, এটা নিঃসন্দেহে একটি বড় সমস্যা। তবে বিভাগ থেকে যাদের ছাত্রত্ব রয়েছে, তারা কোনোভাবেই বহিরাগত হতে পারে না। প্রয়োজন হলে তাদের জন্য আইডি কার্ডের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা পাচ্ছেন আড়াই হাজারের বেশি জবি ছাত্রছাত্রী। নির্বাচন কমিশন গঠনের দুদিনের মাথায় আচরণবিধি প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এতে বলা হয়েছে, যাদের বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে এবং এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অভ্যন্তরীণ’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
কিন্তু বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় অনেক নিয়মিত শিক্ষার্থীই এখন সেই বৈধ পরিচয়পত্র থেকে বঞ্চিত। যে কারণে তারা আচরণবিধি অনুযায়ী ‘বহিরাগত’ হিসেবে গণ্য হওয়াসহ ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি নিয়মিত শিক্ষার্থী। স্নাতক শেষ করে তারা নিয়মিতভাবে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন, ক্লাস করছেন, পরীক্ষা দিচ্ছেন, তবুও অনেক শিক্ষার্থীকেই নতুন পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আইডি কার্ডের কপি পাওয়া গেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ এর ডিসেম্বরে। অর্থাৎ বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অনলাইন আইডি কার্ডেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ এ । তাদের অধিকাংশই মাস্টার্স কোর্স শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ফলে একাডেমিকভাবে তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী হলেও প্রশাসনিক নথিতে তাদের পরিচয়পত্র এখন মেয়াদোত্তীর্ণ।
নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী এসব শিক্ষার্থী বহিরাগত হিসেবে পরিগণিত হলে, তারা নির্বাচনি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। সে অনুযায়ী ভোটার তালিকায় নাম থাকবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবার নাম থাকলেও নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশ না করতে পারলে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রুবাইয়া জান্নাত বলেন, আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা, সবকিছুই চলছে। কিন্তু আইডি কার্ড না থাকার কারণে আচরণবিধি অনুযায়ী আমি এখন বহিরাগত হয়ে যাচ্ছি। এতে নির্বাচনের সময় ভোট দিতে পারব কি না, সেই আশঙ্কায় আছি।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইডি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া অনিয়মিত। কেউ ভর্তি হওয়ার পর কার্ড পেতে সময় লাগে কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত। আবার কার্ড হারিয়ে গেলে নতুন করে পেতেও দীর্ঘদিন ঘুরতে হয় প্রশাসনের দপ্তরে। এই অব্যবস্থাপনার কারণে তারা শুধু নির্বাচনের সময় নয়, বরং নিয়মিত নানা কাজে সমস্যায় পড়ছেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, আইডি কার্ড বিতরণে দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতা রয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, যদি আচরণবিধি হুবহু অনুসরণ করা হয়, তাহলে বৈধ আইডি না থাকা অবস্থায় তারা নির্বাচনের দিনে ভোট দিতে পারবেন না। ফলে একদিকে তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী, অন্যদিকে প্রশাসনিক ত্রুটিতে ‘বহিরাগত’ তকমা পেতে পারেন। যা তাদের জন্য চরম অবমাননাকর।
অন্যদিকে, শিক্ষকরাও মনে করছেন, এই পরিস্থিতি আচরণবিধির কোনো ত্রুটি নয়, বরং প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার ফল। একজন শিক্ষক বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইডি কার্ড ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। এখন সেই পুরোনো সমস্যাই নির্বাচনের সময় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি স্পষ্টতই প্রশাসনিক ব্যর্থতা।
জকসুর নির্বাচন কমিশনার ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান আমার দেশকে বলেন, এটা আমাদের খসড়া আচরণবিধি। আজ (রোববার) সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসব। আচরণবিধিতে ভাষাগত ত্রুটি ও অন্যান্য বিষয় আমরা অনেকগুলো বিষয় শুনেছি, সেগুলো সমাধান করা হবে। চূড়ান্তভাবে আগামী সোম অথবা মঙ্গলবারের মধ্যে সংশোধন করে প্রকাশ করা হবে।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, এটা নিঃসন্দেহে একটি বড় সমস্যা। তবে বিভাগ থেকে যাদের ছাত্রত্ব রয়েছে, তারা কোনোভাবেই বহিরাগত হতে পারে না। প্রয়োজন হলে তাদের জন্য আইডি কার্ডের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে 'চিকেনস নেক' হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর ঘিরে সম্প্রতি ভারতের কিছু সামরিক তৎপরতার খবর নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। সীমান্তের কাছে আসাম ও উত্তর দিনাজপুরে দুটি আর্মি স্টেশন বা সেনা ঘাঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে ভারত।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি তদারককারী সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট-২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
আয়োজক কমিটি জানায়, বছরব্যাপী উৎসবের প্রতিটি মাসে নির্দিষ্ট থিম ধরে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরকে যথাক্রমে ‘উদ্বোধন ও নেতৃত্ব’ এবং ‘উদ্ভাবন ও গবেষণা’ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
এডুকেশনাল সাইকোলজি এবং কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিষয়ে এম এস এবং এম ফিল ডিগ্রি সম্পন্ন করায় চারজনকে মনোবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি সোসাইটি (বিইসিপিএস)।
১৯ ঘণ্টা আগে