আইআরআইয়ের প্রতিবেদন

আমার দেশ অনলাইন

২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক। নির্বাচনের আগে আরো সহিংসতার শঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
গত ২০-২৪ অক্টোবর সংস্থাটি বাংলাদেশের নির্বাচনি পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন করতে মিশন পরিচালনা করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আট দফা সুপারিশ প্রদান করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইআরআই ।
তাদের মিশনটি নির্বাচন কমিশন, সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য নির্বাচনি স্টেকহোল্ডারদের জন্য এসব সুপারিশ দিয়েছে।
এই সুপারিশগুলো যদি নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়কাল এবং পরবর্তীতে কার্যকর করা হয়, তবে তা বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে বলে রিপোর্টে দাবি করেছে তারা।
সুপারিশগুলো হলো- জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চূড়ান্ত করা, নাগরিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার সমর্থন করা, নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা, প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা, নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সমন্বয় বৃদ্ধি, নাগরিক নির্বাচনি পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক তহবিলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনের সময় স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পরিবেশ প্রচার করা।
জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন চূড়ান্ত করা: রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় চার্টার চূড়ান্তকরণ এবং তা কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেয়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে সময়সীমা নির্ধারণ, নির্দিষ্ট ধারার বিষয়ে বাকি থাকা মতবিরোধ সমাধান এবং গণপরিষদের সামনে তাদের উদ্দেশ্য ঘোষণা করা যে তারা গণতান্ত্রিক সংস্কারগুলোকে সমর্থন করবে। অস্থায়ী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে জুলাই চার্টারের গণভোট পরিচালনার জন্য একটি সুস্পষ্ট এবং বৈধ কাঠামো স্থাপন করা উচিত। গণভোটের ক্রম এবং সময় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত স্বচ্ছ আইনগত ব্যাখ্যা এবং বিস্তৃত রাজনৈতিক সম্মেলনের ভিত্তিতে গ্রহণ করা উচিত। গণভোটের উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া এবং প্রভাব সম্পর্কে জনগণের সঙ্গে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ রক্ষা করা অপরিহার্য, যা সংস্কার এজেন্ডা এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা নিশ্চিত করবে।
নাগরিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার সমর্থন করা: জুলাই চার্টারের বিষয়বস্তু বোঝার জন্য দৃঢ় নাগরিক শিক্ষার উদ্যোগ অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, মিডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় স্তরে ভোটারদের শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর মধ্যে থাকবে সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং প্রস্তাবিত সংস্কারের প্রভাবের ব্যাখ্যা। নাগরিক শিক্ষার প্রচেষ্টা সর্বজনীন, সহজলভ্য এবং প্রথমবার ভোটার, যুবক, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে তৈরি হতে হবে।
নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা: রাজনৈতিক জীবনের সব স্তরে নারীরা এখনও অপ্রতিনিধিত্বমূলক। রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীদের অধিকার সুরক্ষা এবং নেতৃত্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত-নারী প্রার্থী নিয়োগ, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সংরক্ষিত আসনের বাইরে অংশগ্রহণ সমর্থন করা। দলগুলোকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নারী ভোটার এবং প্রার্থী উভয়ের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা: রাজনৈতিক দলগুলোকে অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অনুশীলন শক্তিশালী করতে হবে। প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, নিয়মিত এবং পক্ষপাত বা জোরপূর্বক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। প্রার্থী মনোনয়নকালে স্থানীয় স্তরের সহিংসতা কমানো এবং নারীদের প্রার্থী ও প্রচারক হিসাবে অংশগ্রহণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত।
নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সমন্বয় বৃদ্ধি: নির্বাচন কমিশনকে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে, স্থানীয় উত্তেজনা কমাতে এবং নির্বাচনের সময় সহিংসতা প্রতিরোধ করতে। যৌথ পরিকল্পনা, পরিষ্কার যোগাযোগ প্রোটোকল এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা জনসাধারণের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং ভোটার আস্থা শক্তিশালী করতে অপরিহার্য।

২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক। নির্বাচনের আগে আরো সহিংসতার শঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
গত ২০-২৪ অক্টোবর সংস্থাটি বাংলাদেশের নির্বাচনি পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন করতে মিশন পরিচালনা করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আট দফা সুপারিশ প্রদান করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইআরআই ।
তাদের মিশনটি নির্বাচন কমিশন, সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য নির্বাচনি স্টেকহোল্ডারদের জন্য এসব সুপারিশ দিয়েছে।
এই সুপারিশগুলো যদি নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়কাল এবং পরবর্তীতে কার্যকর করা হয়, তবে তা বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে বলে রিপোর্টে দাবি করেছে তারা।
সুপারিশগুলো হলো- জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চূড়ান্ত করা, নাগরিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার সমর্থন করা, নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা, প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা, নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সমন্বয় বৃদ্ধি, নাগরিক নির্বাচনি পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক তহবিলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনের সময় স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পরিবেশ প্রচার করা।
জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন চূড়ান্ত করা: রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় চার্টার চূড়ান্তকরণ এবং তা কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেয়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে সময়সীমা নির্ধারণ, নির্দিষ্ট ধারার বিষয়ে বাকি থাকা মতবিরোধ সমাধান এবং গণপরিষদের সামনে তাদের উদ্দেশ্য ঘোষণা করা যে তারা গণতান্ত্রিক সংস্কারগুলোকে সমর্থন করবে। অস্থায়ী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে জুলাই চার্টারের গণভোট পরিচালনার জন্য একটি সুস্পষ্ট এবং বৈধ কাঠামো স্থাপন করা উচিত। গণভোটের ক্রম এবং সময় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত স্বচ্ছ আইনগত ব্যাখ্যা এবং বিস্তৃত রাজনৈতিক সম্মেলনের ভিত্তিতে গ্রহণ করা উচিত। গণভোটের উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া এবং প্রভাব সম্পর্কে জনগণের সঙ্গে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ রক্ষা করা অপরিহার্য, যা সংস্কার এজেন্ডা এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা নিশ্চিত করবে।
নাগরিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার সমর্থন করা: জুলাই চার্টারের বিষয়বস্তু বোঝার জন্য দৃঢ় নাগরিক শিক্ষার উদ্যোগ অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, মিডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় স্তরে ভোটারদের শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর মধ্যে থাকবে সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং প্রস্তাবিত সংস্কারের প্রভাবের ব্যাখ্যা। নাগরিক শিক্ষার প্রচেষ্টা সর্বজনীন, সহজলভ্য এবং প্রথমবার ভোটার, যুবক, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে তৈরি হতে হবে।
নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা: রাজনৈতিক জীবনের সব স্তরে নারীরা এখনও অপ্রতিনিধিত্বমূলক। রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীদের অধিকার সুরক্ষা এবং নেতৃত্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত-নারী প্রার্থী নিয়োগ, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সংরক্ষিত আসনের বাইরে অংশগ্রহণ সমর্থন করা। দলগুলোকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নারী ভোটার এবং প্রার্থী উভয়ের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা: রাজনৈতিক দলগুলোকে অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অনুশীলন শক্তিশালী করতে হবে। প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, নিয়মিত এবং পক্ষপাত বা জোরপূর্বক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। প্রার্থী মনোনয়নকালে স্থানীয় স্তরের সহিংসতা কমানো এবং নারীদের প্রার্থী ও প্রচারক হিসাবে অংশগ্রহণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত।
নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সমন্বয় বৃদ্ধি: নির্বাচন কমিশনকে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে, স্থানীয় উত্তেজনা কমাতে এবং নির্বাচনের সময় সহিংসতা প্রতিরোধ করতে। যৌথ পরিকল্পনা, পরিষ্কার যোগাযোগ প্রোটোকল এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা জনসাধারণের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং ভোটার আস্থা শক্তিশালী করতে অপরিহার্য।

মো. আসাদুজ্জামান জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারি কোনো কর্মচারী নন। তিনি সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী। এটি সরকারি কোনো কর্মচারীর পদ নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করে অথবা না করেও নির্বাচন করতে পারেন, এটি প্রতিষ্ঠিত। ‘আমার দায়িত্ব পালনের সময় আমি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল,’ যোগ করে
৩৬ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৮৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭১ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে)
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান থেকে দুটি কনটেইনারে আসা ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি বা ছয় কোটি ৫০ লাখ টাকার আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে এবার ছুটি কমেছে। মোট ছুটি ২৮টি। এর মধ্যে ৯ দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় মূল ছুটি হবে ১৭ দিন।
২ ঘণ্টা আগে