ইফতেখারুল ইসলাম
সারা দুনিয়ায় ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। কথা বলার স্বাধীনতা, চিন্তা করার স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা, বাকস্বাধীনতা—কত কী! কিন্তু মুক্তচিন্তার নামে সংবাদমাধ্যম অনেক সময় নৈরাজ্য-সহিংসতাও উসকে দেয়। নিখিল বিশ্বে এরকম অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে। আলজাজিরা এ-সংক্রান্ত একাধিক লেখা প্রকাশ করেছে। গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত একটি লেখার শিরোনামও ছিল বেশ নজরকাড়া—‘হাউ আমেরিকান মিডিয়া ইনসাইটেড জেনোসাইড’। নিবন্ধে গ্রেগরি শুপাক উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতা চালানোর আদর্শিক ভিত্তি তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। সম্প্রতি আল জাজিরায় গাজা বিষয়ে পাশ্চাত্য মিডিয়ার এ রকম বহু লেখা নজর কেড়েছে, যেখানে স্পষ্টত তাদের অবস্থান গণহত্যার পক্ষে।
এক.
২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর আল জাজিরা ‘ফেইলিং গাজা : প্রো-ইসরাইল বায়াস আনকাভারড বিহাইন্ড দ্য লেন্স অব ওয়েস্টার্ন মিডিয়া’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছিল। এতে সিএনএন ও বিবিসির নিউজ রুমে কীভাবে সাংবাদিকরা ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডের পক্ষ নিয়েছে, তা উদোম হয়ে পড়েছিল। প্রতিবেদনে কয়েকজন প্রতিবেদক নেপথ্য তৎপরতা তুলে ধরেছেন। এতে কীভাবে ‘পদ্ধতিগতভাবে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডস’ ভিত্তিতে প্রায়ই সাংবাদিকতানীতি লঙ্ঘিত হয়, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বিদ্যা কৃষ্ণান গত বছর নভেম্বরে আল জাজিরায় প্রকাশিত এক লেখায় গাজার বিষয়ে পাশ্চাত্য মিডিয়ার ভূমিকা ‘ঔপনিবেশিক প্রভুদের সাংবাদিকতা’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এতে তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলি তৎপরতা তুলে ধরতে গিয়ে পাশ্চাত্য সাংবাদিকরা (মিডিয়া) সাংবাদিকতার প্রাথমিক নীতি পরিহার করছেন।’ তার মতে, ‘পাশ্চাত্য সাংবাদিকতার এই ব্যর্থতা ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব ও সহিংসতা চালিয়ে যেতে ইসরাইলকে বৈধতা দিয়েছে।’
দুই.
দীর্ঘদিন ধরে বিশেষত পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউরোপ মুক্তচিন্তা এবং স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো ও বিস্তৃত বয়ান তৈরি করেছে। অপরাপর বিশ্ব এগুলোর অনেক ভাষ্যই নিজেদের করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ওয়ান-ইলেভেন কেন্দ্র করে বিশ্বে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বা ‘ওয়ার অন টেরর’ ঘোষণা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই তৎপরতার পক্ষে পশ্চিমা মিডিয়ার প্রচারণা ছিল অবাধ ও বিস্তৃত।
শুধু পশ্চিমা বিশ্ব কেন, বাংলাদেশ, ভারতসহ অনেক দেশে সংবাদমাধ্যমগুলোয় ভিন্নমতের জায়গা দেওয়ার নামে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, সাংস্কৃতিক নৈরাজ্য ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ দেড় দশক ‘শিবির’, ‘জঙ্গি’, ‘আগুনসন্ত্রাস’, ‘রাজাকার’, ‘হেফাজতে ইসলাম’, ‘হিজবুত তাহরীর’, ‘মৌলবাদী’ প্রভৃতি অপরায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। বিশেষত রাজনৈতিক দলগুলোকে কোণঠাসা করতে এসব ট্যাগিং প্রয়োগ করে। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশকে নিজেদের বলয়ে রাখতে আওয়ামী লীগকে দিয়ে সুকৌশলে ‘মৌলবাদবিরোধী তৎপরতা’র পক্ষে প্রচার চালিয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের ওপর সওয়ার করে ভারত নিজেদের আধিপত্য জোরদার করতে চেয়েছে। একদিকে আমেরিকার ‘ওয়ার অন টেরর’ পলিসি, অন্যদিকে ‘মৌলবাদবিরোধী তৎপরতা’, যা ভিন্নমত দমিয়ে রাখা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন পাকাপোক্ত করার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের এসব প্রচার ও সিদ্ধান্তের বৈধতা আদায় ও ভাষ্য তৈরিতে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত জোরালো। যেমন ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের গুম ও হত্যা। এসবের বৈধতার পক্ষে এরই মধ্যে দলটির রাজনৈতিক ভাষ্য হাজির ছিল। একদিকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ার অন টেরর পলিসি; অন্যদিকে মৌলবাদবিরোধী পদক্ষেপ। এই ভাষ্য প্রতিষ্ঠা করতে নাগরিক সমাজ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’, ‘প্রগতিশীলতা’, ‘আধুনিকতা’ প্রভৃতি নিজেদের মতো করে প্রচার করেছে। এসব বয়ান ও বিবৃতি মিডিয়া প্রশ্নাতীতভাবে প্রচার করে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো শাপলা চত্বরে যখন পুলিশ ও র্যাব কর্তৃক ভয়াবহ সহিংসতা ও হত্যাযজ্ঞ চলছিল, তখন নাগরিক সমাজ ও মিডিয়ার অবস্থান আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তকে আরো শক্তিশালী করে। শুধু তা-ই নয়, আন্দোলনকারীদের তৎপরতা হটিয়ে দেওয়ার এই ‘সফলতা’ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বৈধতার পক্ষে শক্ত খুঁটি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। শাহবাগ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে নাগরিক সমাজ সেই বৈধতা শক্তিশালী করে। মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে এই অবস্থান তৈরি করা মোটেও সম্ভব ছিল না।
তিন.
বর্তমানে আমরা যে পুঁজিবাদী বলয়ে ঢুকে পড়েছি, তাতে সারাবিশ্বে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে দুটি প্রেক্ষিতে বিষয়টি খোলাসা করা যায়—এক. মিডিয়ার মালিকানা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকাঠামো; দুই. মিডিয়ার বুনিয়াদগত সমস্যার পর্যালোচনা।
সংবাদমাধ্যমের বুনিয়াদ হিসেবে ‘মতপ্রকাশ কিংবা মুক্তচিন্তা’কে প্রধান খুঁটি হিসেবে ভাবা হয়। শুধু সংবাদমাধ্যম কেন, উন্নত প্রযুক্তির বদৌলতে মত প্রকাশের পরিসর যেমন বিস্তৃতি পেয়েছে, একইভাবে নৈরাজ্য ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার সুযোগও অবারিত হয়েছে। মিডিয়ার এরকম অবস্থানের প্রধান সমস্যা মূলত ভাবাদর্শগত।
যুক্তরাষ্ট্র ও অপরাপর দেশগুলো ওয়ার অন টেরর পলিসি, মৌলবাদী, জঙ্গি প্রভৃতি বলে নিজেদের ক্ষেত্রে মুক্তচিন্তার পরিসর অবাধ রেখেছে। অন্যদিকে অপরায়িত গোষ্ঠীগুলোর কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করেছে। এক্ষেত্রে মিডিয়া নিজেদের অবস্থান প্রশ্নাতীত রাখতে ‘মুক্তচিন্তা’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, যা মূলত নৈরাজ্য ও সহিংসতার পক্ষে ভাষ্য তৈরি করেছে। গাজা ও শাপলা চত্বর নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল সেরকমই।
চার.
‘মুক্তচিন্তা’র জায়গায় ‘ন্যায্যতা’র বুনিয়াদ নির্ধারিত হলে মিডিয়ার দায় ও জবাবদিহি কিছুটা বেড়ে যায়। গণহত্যার প্রশ্নে আমরা সহজেই ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’—নৈতিক দিক থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। কিন্তু ভাবনাচিন্তায় অনেক জটিল তর্ক রয়েছে, যে ব্যাপারে এত সহজে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আইনি কাঠামোও বেশ দুরূহ। ফলে ন্যায্যতার ওপর নির্ভর করলে নৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্ঞানগত চ্যালেঞ্জ আরো বেড়ে যায়।
মুক্তচিন্তা বুনিয়াদ হিসেবে ধর্তব্যে নিলে নৈরাজ্য উসকে দেয়, এমন চিন্তাও মিডিয়ার মাধ্যমে জনপরিসরে প্রচারলাভের আশঙ্কা থাকে। ন্যায্যতা এখানে বুনিয়াদ হলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার অন টেরর’ ভাবাদর্শের পক্ষে বিশ্বের শক্তিশালী মিডিয়াগুলো চোখ বন্ধ করে দাঁড়াতে পারত না। এখানে দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার প্রশ্ন ওঠে। এ কারণে ইউরোপীয় ও মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বাছবিচার না করে গণহত্যা উসকে দিয়েছে, অন্যদিকে আলজাজিরা এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়েছে।
একইভাবে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমগুলো এই জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধ থাকলে এবং বুনিয়াদ হিসেবে ন্যায্যতা বিবেচনায় নিলে ‘শিবির’, ‘জঙ্গি’, ‘আগুনসন্ত্রাস’, ‘হিজবুত তাহরীর’ প্রভৃতি প্রচার করে মিডিয়ার আওয়ামী বয়ানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া কঠিন ছিল। ‘মুক্তচিন্তা’ মিডিয়ার বুনিয়াদ হওয়ায় ‘প্রগতিশীল’ ও ‘সেক্যুলার’-এর নামে সংবাদমাধ্যমগুলো আওয়ামী ন্যারেটিভের পক্ষে সহজেই প্রচারণা চালাতে পেরেছে। মিডিয়া ও নাগরিক সমাজ মুক্তচিন্তাকে স্বাধীনতার অবারিত মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করেছে, যা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদকে নিরঙ্কুশ ভাবে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার নিরঙ্কুশ চর্চা সমাজে নৈরাজ্য বিস্তারের পাটাতন তৈরি করে। ‘ন্যায্যতা’ বুনিয়াদ হলে মিডিয়ার ভূমিকার আরো বেশি স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাভিত্তিক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এটা যেমন সত্য, ক্ষমতা সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে, একইভাবে বুনিয়াদগত দুর্বলতা থাকার কারণেও এ ঘটনা ঘটেছে। মুক্তচিন্তাকে ন্যায্যতার প্রশ্নে বিচার করে দেখলে মিডিয়ার অবস্থান আরো শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এতে মুক্তচিন্তার পরিসর আরো সুগঠিত ও সুচিন্তিত হয়। শুধু তা-ই নয়, ন্যায্যতা চিন্তার কেন্দ্রে রাখলে মুক্তচিন্তা তত্ত্বীয় দিক থেকেও শক্তিশালী হয়। তাই বুনিয়াদ হিসেবে ন্যায্যতাকে সামনে রাখলে সংবাদমাধ্যমের পাটাতন আরো মজবুত হবে।
পাঁচ.
বর্তমান বিশ্বে সংবাদমাধ্যমের এই সমস্যা প্রকট। ভিন্নমত ও মুক্তচিন্তার নামে সংবাদমাধ্যমগুলো বাছবিচার না করে যে পরিসর অবারিত করেছে, তাতেই সাংস্কৃতিক সংকট আরো জটিল রূপ নিয়েছে। যেমন সেক্যুলার ও উদারবাদের নামে ইসলামে চার্লি হেবডোর অবস্থান ইসলামবিদ্বেষই প্রধান করে তুলেছে। এই বুনিয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ভাষ্যই শক্তিশালী করে এবং বিশ্বে ইসলামবিদ্বেষ উসকে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও ইরাক, ইরান, আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব অঞ্চলে এরই মধ্যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তার পক্ষে বিশেষত পাশ্চাত্য মিডিয়ার উসকানি ছিল। শুধু তা-ই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ—এই ভাষ্য ব্যবহার করে অপরাপর দেশগুলোয় রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্নভাবে ফায়দা লুটেছে এবং সমাজকাঠামো প্রায় ভেঙে পড়ছে।
বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোয় মিডিয়া রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে সংবাদমাধ্যম নিজেদের অবস্থান স্বাধীন রাখতে পারে না। এখানে মিডিয়া হয়ে পড়ে নিপীড়ন ও নৈরাজ্য চালাতে ভাবাদর্শ সৃজনের শক্তিশালী মাধ্যম। অন্তত বুনিয়াদ ন্যায্যতা পেলে মিডিয়া তত্ত্বীয় দিক থেকে হলেও আরো বেশি স্বাধীনতা ভোগ করার সুযোগ পায়। মুক্তচিন্তার কাছে ন্যায্যতা যতটুকু রক্ষিত, তার চেয়ে ন্যায্যতার কাছে মুক্তচিন্তাই বেশি সুরক্ষিত।
ইফতেখারুল ইসলাম : লেখক ও গবেষক
iftekarulbd@gmail.com
দুদিন আগে একটি সংবাদপত্রের তিন কলামে শিরোনাম ছিল ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন নিয়েও এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। আবার সামনে আমের বাম্পার ফলনের আশাবাদ নিয়েও খবর হয়।
৯ ঘণ্টা আগেপতিত ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনা অতীব জরুরি। তবে বিচার হতে হবে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। বিচারিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার জন্য ন্যূনতম সময়টুকু বিচার বিভাগকে দিতে হবে।
৯ ঘণ্টা আগেষাট দশকের মাঝামাঝি সময়ে শাহবাগে অবস্থিত ঢাকা রেডিওতে সকালে কিশোর-কিশোরীদের জন্য সংগীত শিক্ষার আসর প্রচারিত হতো। ‘এখন শুরু হচ্ছে সংগীত শিক্ষার আসর, গান শেখাবেন সংগীত পরিচালক আব্দুল আহাদ’- এমন ঘোষণার পর ওস্তাদ ইয়াসিন খান ও বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী লায়লা আর্জুমান্দ বানুর দ্বৈতকণ্ঠে সা-রে-গা-মা’র উচ্চাঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগেজনৈকা এনজিও নেত্রী ও বর্তমান সরকারের এক শক্তিশালী উপদেষ্টা সব রাজনীতিবিদের প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘গত ৫৩ বছরে আপনারা কী করেছেন?’ তার এই স্পর্ধা দেখে স্তম্ভিত হলাম! ভাবতে লাগলাম, এই প্রশ্ন করার সাহস ও সুযোগটি তারা কেন পেলেন, কীভাবে পেলেন?
১ দিন আগে