বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিকে ভারত দেখছে রেডলাইন অতিক্রম হিসেবে। শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে বাংলাদেশের কার্যত কোনো পররাষ্ট্রনীতি ছিল না। এ সময় বাংলাদেশের অবস্থান শুধু ভারতের পক্ষপুটে ছিল না, দিল্লির পররাষ্ট্রনীতি পুরোপুরি অনুসরণ করেছে ঢাকা।
‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?’—নবকুমারের উদ্দেশে বলা কপালকুণ্ডলার এই উক্তি শোনেননি, এমন শিক্ষিত বাঙালি নেই। এর বহুবিধ ব্যবহার আমাদের কাছে অতিপরিচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের ফসল নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কাজ-কারবার দেখেও সেই পুরোনো প্রশ্নই মনে জাগে।
বিশ্ব অর্থনীতি আজ যে কটি বড় ও শক্তিশালী সেক্টরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার অন্যতম হলো কেমিক্যাল সেক্টর। বৈশ্বিক কেমিক্যাল বাজারের মাত্র দুই শতাংশ দখল করলেই বাংলাদেশ বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে এই সেক্টর থেকে। এই লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি মাস্টার প্ল্যান, যেখানে থাকবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন
নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘যেকোনো সমাজকে সত্যিকারভাবে চেনা যায় দুর্বল সদস্যদের প্রতি তাদের ব্যবহার দেখে।’ সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর বৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ভারতের প্রশংসা করেছে। কিন্তু এখন তাদের বাঁক ঘুরছে।
মন্তব্য প্রতিবেদন
এবারের পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন ফ্যাসিবাদী আমলের চাপিয়ে দেওয়া বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতির গণ্ডি থেকে বের হওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড পামার স্টোন (Lord Palmer Stone, 1784-1865 পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন, ‘Great Britain doesn’t have permanent friend or foe, but has got permanent interest.’ পররাষ্ট্রনীতি-বিশারদরা এ উক্তিকে রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক বিন্যাসের নিয়ামক মনে করেন।
সংকটকালে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারায় আমাদের জাতীয় জীবনে যেমন অনেক বিপর্যয় নেমে এসেছে, তেমনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষাও পেয়েছি। আবার শক্তির মদমত্ততা, রাগ ও প্রতিশোধের স্পৃহা থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো কতটা ভুল হতে পারে, তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী মত দমন, প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করাই হয়ে উঠেছিল শাসনব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য। অথচ গণতন্ত্রের প্রকৃত অর্থ হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও জনস্বার্থে নীতিনির্ধার
যেকোনো জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে গণিকাবৃত্তিকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। গণমানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে এমন প্রস্তাব উত্থা
বহুমাত্রিক রুপ নিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জে রূপ নিয়েছে। মিয়ানমার জান্তা সরকার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল এটা বাস্তবায়ন হবে কিভাবে। কোন পরিবেশে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরবে?
কিছুদিন ধরে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে হরদম একটা কথা খুবই চাউর হচ্ছে, যা আমি বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ঠাহর করলাম, এমনকি হট ও কোল্ড মিডিয়ায় এবং সাংবাদিকদের দেখি প্রশ্ন করতে বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের, এ সরকারের মেয়াদ কত দিন বা এ সরকারের বৈধতা কী? তখন মনে হলো যে এ বিষয়টা একটু ক্লিয়ার
বিশ্বের অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে গত এক দশকে সবচেয়ে আলোচিত ও গতিশীল ধারণাগুলোর একটি হলো ‘স্টার্টআপ’। এটি কেবল একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়, বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি দর্শন। এই দর্শনের মূল ভিত্তি হলো উদ্ভাবন, প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার, ঝুঁকি গ্রহণ ও বিদ্যমান সমস্যার সমাধান নতুন পন্থায় খোঁজা।
দেশের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। আওয়ামী লীগমুক্ত মাঠ রাজনীতির প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নতুন করে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের আভাস মিলছে। মধ্যম ও পেছনের সারির রাজনৈতিক দলগুলো নতুন করে অবহেলা-অনাদরের শঙ্কা ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অবশেষে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে – এমন একটা স্বস্তির আবহ যখন বাংলাদেশে বিরাজ করছে, তখন রোহিঙ্গারা এ নিয়ে কী ভাবছে? তারা কি আশ্বস্ত হয়েছে যে তারা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে? বিশেষ করে যারা মিয়ানমার সরকারের যোগ্যতার সূচকে দেশে ফেরার জন্য ‘যোগ্য’ বলে বিবেচিত হয়েছে
একাত্তর-পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরে আমরা একটি জনগোষ্ঠীকে জনগোষ্ঠী হয়ে উঠতে দিইনি। বরং বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করেছে।
এযাবৎ দেশে যত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের ৯৫ ভাগ নিজেদের স্ত্রী-সন্তানকে পরবর্তী এমপি বানাতে চেয়েছেন, অনেকেই এই প্রচেষ্টায় কামিয়াব হয়েছেন। দেশের ৯৮ ভাগ মন্ত্রী নিজেদের পোষ্যকে মন্ত্রী করার খায়েশ প্রকাশ করে গেছেন।