এম আবদুল্লাহ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান শুক্রবার বলেছেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে লোডশেডিং কম হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। যদি লোডশেডিং হয় তাহলে প্রথমে ঢাকা শহরেই হবে, এরপর দেশের অন্য কোথাও হবে। আগের মতো প্রথমে গ্রামে লোডশেডিং হবে না।
পবিত্র রমজান মাসে লোডশেডিং না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বেশ কিছু ফ্যাক্টরের ওপর লোডশেডিং হওয়া-না হওয়া নির্ভর করে। বিশেষ করে তাপমাত্রা বাড়লে চাহিদা বাড়বে। তবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখলে এক থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে; কিন্তু অনেকেই এটি করছেন না। জনগণকে সচেতন হতে হবে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে এদেশের মানুষ সম্ভবত প্রথমবারের মতো স্বস্তি প্রকাশ করেছে বিগত রমজানে। এক বছর আগের রমজান মাসেই বিদ্যুৎ-ভোগান্তি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ-অসন্তোষ ছিল প্রচণ্ড। ইফতার ও সাহরির সময় বিদ্যুতের ভেলকি দেখতে হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দিন-রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকত না। বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে মানুষ ক্ষোভ জানালে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ধমকের সুরে বলতেন, বেশি কথা বললে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে বসে থাকব। বলার চেষ্টা করতেন যে, তিনি দয়া করে নিজের জমিদারির অর্থে মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন। যা দিচ্ছেন, যতক্ষণ দিচ্ছেন, তাতেই মানুষ কেন সন্তুষ্ট থাকত না, সেটাই ছিল তার ক্ষোভের কেন্দ্রে।
শেখ হাসিনার দীর্ঘ লুটেরা শাসনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে যে কেবল লুটের রাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল তা নয়, বরং গোটা খাতকে ভারতনির্ভর করা হয়েছে। চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বেশি উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও গরম এলেই লোডশেডিংয়ের শঙ্কায় থাকতে হচ্ছে। দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎ আমদানিকারক দেশে পরিণত করা হলো তার কোনো সদুত্তর মেলেনি।
বস্তুত ভ্রান্ত নীতি, পরিকল্পনায় গলদ ও লুটপাটকে প্রাধান্য দেওয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতকে। এবারে গরমের মৌসুম শুরু হওয়ার আগে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের সরবরাহ পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সময় দফায় দফায় পেছাচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরুর কথা ছিল। এটি পিছিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নেওয়া হয়েছিল। আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এটি পিছিয়ে ২০২৫ সালে নেওয়া হয়। এখন বলা হচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে ২০২৭ সালে।
বারবার পিছিয়ে সর্বশেষ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঞ্চালন লাইন চলতি এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার কথা জানিয়েছিল পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি। লাইনটি চালু করার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে অন্তত দুই মাস সময় লাগার কথা। সে অনুযায়ী জুলাইয়ে শুরু হতে পারত পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হতে পারত।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সান্ধ্য পিক আওয়ারে (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়) বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহ সমান ছিল, কোনো লোডশেডিং ছিল না। তথ্য পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, ১৩ হাজার ৫৮৫ মেগাওয়াট চাহিদার সমান উৎপাদন ও সরবরাহ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সরবরাহকৃত বিদ্যুতের মধ্যে ভারতের আদানি থেকে পাওয়া গেছে ৭৫৪ মেগাওয়াট। ভারতের অন্যান্য কেন্দ্র মিলিয়ে মোট আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট।
কাগুজে হিসেবে বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াটের মতো। এর মধ্যে ৫৮টি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা উৎপাদনের ৪৪ শতাংশ, তথা ১২ হাজার মেগাওয়াট। সাতটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা ২৬ শতাংশ তথা সাত হাজার মেগাওয়াট। ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাওয়ার কথা সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। এ ছাড়া সৌর-জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা।
পিডিবি বরাতে প্রকাশিত সংবাদে জানানো হয়, গরমে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ১৮ হাজার ২৩২ মেগাওয়াট। এই চাহিদা মেটাতে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে ৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট, কয়লা থেকে ৫ হাজার ৫৫৮ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ১৪৯ মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ আমদানি করে ২ হাজার ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। যদি চাহিদা অনুসারে জ্বালানি মেলে, তা হলে এ হিসাব ঠিক থাকবে; কিন্তু বাস্তবে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের সম্ভাবনা কম।
বহুল আলোচিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আদানির ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ক্রমবর্ধমান ক্যাপাসিটি চার্জ দেশের জন্য মারাত্মক আর্থিক বোঝায় পরিণত হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সক্ষমতার ৬২ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে গত অর্থবছর। বিদ্যুৎ সরবরাহ না নিয়েও বাংলাদেশকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে ৫ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা, যা মোট ক্যাপাসিটি চার্জের ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ১৪ টাকা শূন্য ২ পয়সা, যেখানে দেশে বিদ্যুতের গড় দাম ৮ টাকা ৭৭ পয়সা। নানা প্রশ্ন-বিতর্কের পর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আদানি পাওয়ার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছে ১২ টাকা। এ ছাড়া ভারতীয় কোম্পানির মালিকানায় রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মেঘনাঘাট এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বাংলাদেশের জন্যে গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে।
চলতি গরমের মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। পিডিবি’র হিসাব অনুযায়ী গরমে বিদ্যুতের চাহিদা যদি ১৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়, তাহলে বর্তমানের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট বাড়তি উৎপাদন প্রয়োজন হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিশ্রুত গ্যাস দিতে পারছে না পেট্রোবাংলা। ফলে গরমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে না বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে পিডিবি যে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা করেছে, তাও ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, পেট্রোবাংলা মাসওয়ারি গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা জানানোর পর এখন গ্যাস দিতে পারছে না। ফলে গ্যাসভিত্তিক বড় সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি গ্যাস না পাওয়ার কারণে তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
পিডিবি বলছে, পেট্রোবাংলা তাদের সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তারা এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পাচ্ছে। গ্যাসের অভাবে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। প্রতিশ্রুত গ্যাস দিতে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়েছে পিডিবি।
বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার ৬৭৭ মেগাওয়াট। অথচ গ্যাস থেকে ক্ষমতার অর্ধেক সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। গরমে গ্যাস থেকে ৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদনে পেট্রোবাংলার ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এর বিপরীতে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।
জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মোটামুটি সফলতা দেখিয়েছেন। জ্বালানি খাতের সবকিছু তার নখদর্পণে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি এ খাত সম্পর্কে লেখালেখি করেছেন বিস্তর। বিগত সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচকদের একজন তিনি। তার হাত ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সময়ে জ্বালানি খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে, এ প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবাই করছেন।
বিগত রমজান মাসের মতোই চলতি গরমের মৌসুমে মানুষকে স্বস্তি দিতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ করে জ্বালানি উপদেষ্টা যে প্রশংসায় ভাসবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখার পাশাপাশি গ্যাস সরবরাহে যে নানামুখী সংকট চলছে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। লুটেরা হাসিনা সরকার গোষ্ঠীবিশেষকে সুবিধা দিতে দেশের জ্বালানি খাততে নাজুক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে কতিপয় লুটেরা ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করেছে। অথচ এ খাতে গ্যাসের চাহিদা খুবই নগণ্য। সিলিন্ডার গ্যাস আমদানিতে দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের চাপ কমানো সম্ভব পাইপলাইনে অনুল্লেখযোগ্য আবাসিক গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে।
সিলিন্ডার গ্যাস কিনে রান্নার চুলা জ্বালাতে গিয়ে বহু নিম্ন আয়ের পরিবার নিদারুণ ভোগান্তি ও আর্থিক টানাপড়েনের মধ্যে পড়েছে। আবাসিক সংযোগ চালু হলে কতটুকু বাড়তি গ্যাস লাগবে, তা সঠিকভাবে নিরূপণ করে দেখতে পারেন জ্বালানি উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহ খাতে যতটুকু চাপ বাড়বে, তার চেয়ে মানুষের স্বস্তি ও কষ্ট লাঘবের বিষয়টি অবশ্যই প্রাধান্য পেতে পারে।
শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ খাতকেও শোষণের হাতিয়ার করেছিল। নানা ধরনের চার্জ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পকেট কাটছে, যা শেখ হাসিনা সরকারের আগে ছিল না। এখন প্রিপেইড মিটারে এক হাজার টাকা রিচার্জ করলে মাত্র ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয় নানা চার্জ হিসেবে। এ নিয়েও গ্রাহকদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজমান। যতটা মনে পড়ে বর্তমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা এ নিয়ে লেখালেখি করেছিলেন। এখন সুযোগ এসেছে জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার। লোডশেডিংমুক্ত গ্রীষ্মকাল আর লুটেরা সরকারের শোষণমুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে সরকার ভোক্তাদের অধিকতর স্বস্তি দেবে—এমন প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। ঢাকা শহর বা গ্রাম কোথাও লোডশেডিং চাই না।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট
বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিকে ভারত দেখছে রেডলাইন অতিক্রম হিসেবে। শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে বাংলাদেশের কার্যত কোনো পররাষ্ট্রনীতি ছিল না। এ সময় বাংলাদেশের অবস্থান শুধু ভারতের পক্ষপুটে ছিল না, দিল্লির পররাষ্ট্রনীতি পুরোপুরি অনুসরণ করেছে ঢাকা।
৩ ঘণ্টা আগে‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?’—নবকুমারের উদ্দেশে বলা কপালকুণ্ডলার এই উক্তি শোনেননি, এমন শিক্ষিত বাঙালি নেই। এর বহুবিধ ব্যবহার আমাদের কাছে অতিপরিচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের ফসল নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কাজ-কারবার দেখেও সেই পুরোনো প্রশ্নই মনে জাগে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ব অর্থনীতি আজ যে কটি বড় ও শক্তিশালী সেক্টরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার অন্যতম হলো কেমিক্যাল সেক্টর। বৈশ্বিক কেমিক্যাল বাজারের মাত্র দুই শতাংশ দখল করলেই বাংলাদেশ বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে এই সেক্টর থেকে। এই লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি মাস্টার প্ল্যান, যেখানে থাকবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন
৪ ঘণ্টা আগেনেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘যেকোনো সমাজকে সত্যিকারভাবে চেনা যায় দুর্বল সদস্যদের প্রতি তাদের ব্যবহার দেখে।’ সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর বৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ভারতের প্রশংসা করেছে। কিন্তু এখন তাদের বাঁক ঘুরছে।
১ দিন আগে