ইসরাইলের পশ্চিমতীর দখলের মডেল অনুসরণ করে ইউক্রেনের কিছু অংশ দখলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে রাশিয়া। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, একটি আলাদা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। দ্য টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে জেরুজালেম পোস্ট।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) সঙ্গে সম্পর্কিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র টাইমসকে জানিয়েছে, ‘ইসরাইল যেভাবে পশ্চিম তীর দখল করে নিয়েছে, এটা ঠিক তেমনি হবে।’ যেভাবে ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিমতীর দখলের পর সেখানে শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে ইসরাইল, ঠিক সেভাবে ইউক্রেনের কিছু এলাকা দখল করবে রাশিয়া।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে এক বৈঠকে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল; যিনি এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, ‘এটা হবে ঠিক যেভাবে ইসরাইল পশ্চিমতীর দখল করে রেখেছে। সেখানে একজন গভর্নর থাকবে, অর্থনীতি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে, কিন্তু নামটা থাকবে ইউক্রেন। ইউক্রেন কখনো তার সার্বভৌমত্ব ছাড়বে না অর্থাৎ তার সীমানা পরিবর্তিত হবে না, কিন্তু বাস্তবে এটি হবে দখল হয়ে যাওয়া অঞ্চল।’
মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, এই মডেলে সংবিধান অনুযায়ী ‘গণভোট’ ছাড়া ভূখণ্ড ছাড়ার সাংবিধানিক বাধা এড়িয়ে যেতে পারবে ইউক্রেন।
তবে, মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা টাইমসের এ প্রতিবেদনকে অস্বীকার করেছেন। হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট খবর। কখনো কারো সাথে এই ধরণের কোনো আলোচনা হয়নি।’
তবে, কথিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউক্রেন কখনো রাশিয়ার দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বলেছেন, রাশিয়া পুরো দনেতস্ক অঞ্চলের বিনিময়ে জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন থেকে সরে যাবে।
যদিও আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইসরাইলের পশ্চিমতীর দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই রায়কে স্বীকৃতি দেয় না এবং রাশিয়া আংশিক স্বীকৃতি দেয়।
আরএ


গাজায় ইসরাইলি হামলায় ১০০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশে নিজের বিচার নিয়ে যা বললেন টিউলিপ