সীমান্ত সংঘাতের জেরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তাদের দেশে সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা করা হয়। ইসলামাবাদের এমন অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে কাবুল। এবার কাবুলের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। খবর টোলো নিউজের।
বুধবার আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, সম্প্রতি শরিয়া আইন বিশেষেজ্ঞদের জারি করা ফতোয়া অনুযায়ী, ‘যদি কেউ আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে বা এই ব্যবস্থায় আক্রমণ করে, তাহলে লড়াই করা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক।’
মুত্তাকি জানান, ফতোয়ায় আরো বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা উচিত নয়। কাজেই কাউকে অন্য দেশে সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করার অনুমতি দেবে না আফগান সরকার।
তিনি আরো বলেন, ‘আলেমরা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আফগানিস্তানের নেতৃত্ব অন্য দেশে কাউকে সামরিক কার্যকলাপে জড়িত হতে দেবে না। কোনো আফগান এই নির্দেশ লঙ্ঘন করলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ফতোয়ায় মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি কাবুলে এক সভায় বেশ কয়েকজন ধর্মীয় আলেম আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার বন্ধ করা, অন্যদেশে সামরিক কার্যকলাপে আফগানদের জড়িত থাকার বিরোধিতা এবং মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের ওপর জোর দেন।
আরএ


তালেবান থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চায় পাকিস্তান
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করবে ইরান