ইন্দোনেশিয়ায় গত সপ্তাহে স্কুল ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১৩ জন। কয়েকদিনের চেষ্টায় বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে উদ্ধারকারীরা। এটি ছিল দেশটিতে এই বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ার্জো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ভবন ধসের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে শতাধিক কিশোর বয়সী ছাত্র।
দুর্যোগ সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংসাবশেষের অধিকাংশ সরানো সম্ভব হয়েছে এবং এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা ন্যাশনাল এজেন্সি ফর ডিজাস্টার কাউন্টারমেজার্স (বিএনপিবি) এর ডিজাস্টার ডেটা ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের প্রধান আবদুল মুহারি জানিয়েছেন, স্কুলভবন ধসের পর ৪৫ জনের লাশ এবং আহত ১০৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। আহতদের মধ্যে ৮৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয় হয়েছে, বাকি ১৫ জন এখনো চিকিৎসাধীন আছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুল ভবনের ওপরের তলায় চলমান নির্মাণকাজের কারণে এর মূলভিত্তি বা ফাউন্ডেশন বাড়তি চাপ সহ্য করতে পারেনি, ফলে পুরো কাঠামো ধসে পড়ে। এতে মুহূর্তেই শতাধিক ছাত্র ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যায়।
আরএ


অস্ত্র সমর্পণে সম্মত হওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমের খবর বানোয়াট: হামাস