Ad T1

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে তালা ভেঙে হলে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ৩৯
খুলনা প্রকেশৗল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তালা ভেঙে বিভিন্ন হলে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরআগে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ের ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান শিক্ষার্থীরা। ঘোষণাপত্রে ভিসি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, যেহেতু ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ যেহেতু ভিসি ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছে। ভিসি নেট, পানি অফ করে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দিয়েছে। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে। আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি। এই ভিসিকে অপসারণ আমাদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
ঘোষণাপত্র পাঠ করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তারা মিছিল নিয়ে খান জাহান আলী হলের দিকে যান। সেখানকার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন। এভাবে এক একে ৬টি আবাসিক হলের তালা ভাঙেন তারা।
আন্দোলনরত রাহাতুল ইসলাম দৈনিক আমার দেশকে বলেন, আমরা এক দফা ঘোষণা করে ভিসির পদত্যাগ চেয়েছি। তিনি সবক্ষেত্রে ব্যর্থ। যাদের শাস্তি পাওয়া উচিৎ ছিল, তাদের কিছু হয়নি। উপরন্ত আন্দোলনকারীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দুই রাত খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য করেছে। আজ আমরা ছেলেদের ৬টি হলের তালা ভেঙেছি। মেয়েদের একটি হল এখনও তালাবদ্ধ। মেয়েরা আসলেই ওই হলের তালা ভাঙা হবে। হলগুলোতে বিদ্যুৎ, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হচ্ছে।
এর আগে ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে বেলা একটার দিকে সমাবেশ করে ‘মেক কুয়েট, ফ্রি এগেইন’ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হন। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এর প্রতিবাদে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবি করলে বিচারের নামে নাটক করে দুইমাস পর ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এরপর গতকাল সোমবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তেও বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরও বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্য্যের সীমা পার হয়ে গেছে। আজ তিনদিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।
এর আগে সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আগামী ২ মে থেকে সব আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া ও ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত