Ad T1

স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে হত্যা, যশোরে স্বামীর যাবজ্জীবন

যশোর অফিস
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ২১
ছবি সংগৃহীত

যশোরে স্ত্রীকে ভারতে পাচারের পর হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ রায় ঘোষণা করেন। ওই সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত কামরুল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি আব্দুল লতিফ লতা।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার বানিয়ারগাতি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। নিহত সালমা খাতুন যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোল্লাপাড়ার ইশারত আলী মোল্লার মেয়ে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের সালমার সঙ্গে কামরুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সালমাকে ভরণপোষণ না দিয়ে ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে স্বামী কামরুল।

একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলা হলে কামরুল তার স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে দু’জনে চাকরি করে সংসার চালাবে বলে জানিয়ে আপসরফা করে। ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল দুপুরে

সালমাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনার কথা জানায় কামরুল। এরপর থেকে দুইজনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সালমার পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস মেলাতে পারেনি।

২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল সালমা ভারত থেকে ফোনে জানান, তাকে ঢাকায় না নিয়ে ভারতের গুজরাট রাজ্যের আনন্দ জেলায় নিয়ে গেছে কামরুল। সেখানে তাকে একটি ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে সালমা তাকে উদ্ধারের আকুতি জানান। ওই বছরের ৬ মে ফের সালমা পরিবারের কাছে ফোন করে জানান, কামরুল তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই ব্যক্তি তার ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।

একই দিন রাতে কামরুল তার শ্বশুরকে জানায়, তিনি সালমাকে ফেলে দেশে চলে এসেছেন। একপর্যায়ে শহিদুল যশোর কোতয়ালি থানায় কামরুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত কুমার দাস ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তদন্তে উঠে আসে, ভারতে অবস্থানকালে সালমাকে হত্যা করে তার পাসপোর্ট নিয়ে দেশে চলে আসে কামরুল। পরে ভারতের পুলিশ লাশ উদ্ধার ও গুজরাটের ভালেজ থানায় ঘটনার ব্যাপারে মামলা করে।

মঙ্গলবার যশোরে মামলার রায়ে একমাত্র আসামি কামরুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত