ড. মো. খলিলুর রহমান
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারকে পরাজিত করে। সে নির্বাচনটি যে পুরোপুরি নিরপেক্ষ ছিল, তা অধিকাংশ জনগণই মনে করে না; কারণ ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনই ছিল পুরোপুরি সুষ্ঠু নির্বাচন। সে নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে, যে সত্য সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু সেই ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এদেশের ওপর এবং এদেশের জনগণের ওপর তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ববিরোধী চুক্তি ও কার্যকলাপ। ভারতীয় আধিপত্যবাদী এসব কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করেছে এদেশের নাগরিক, তাদের সহযোগী চক্র, সুবিধাবাদী, সেবাদাসমূলক মনোবৃত্তির লোক ও গোষ্ঠী। ১৯৯৬ সালের জুনের পর যে চক্রটি অতিমাত্রায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, সেই আধিপত্যবাদী চক্রান্তের ফলেই সম্পাদিত হয়েছে সন্তু লারমার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। ফলে দেশের এক-দশমাংশ জায়গা, যা অঢেল সম্পদে পরিপূর্ণ, তা চলে গেছে সন্ত্রাসী সন্তু লারমার হাতে। পার্বত্য চুক্তিটি একটি অসম গণতান্ত্রিক চুক্তি। চুক্তির ফলে সেখানে অশান্তির বিষবৃক্ষ রোপিত হয়েছে। সেখানকার পাঁচ লক্ষাধিক বাংলাভাষীর স্বার্থকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। আর এই পার্বত্য চুক্তিটি সম্পাদন করা হয়েছে দেশের জনগণকে না জানিয়ে জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে বিরোধী দলগুলোকে অন্ধকারে রেখে মন্ত্রীদের অজ্ঞাতসারে বিদেশি মদতদাতাদের অঙ্গুলিহেলনে।
তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল সাংঘাতিকভাবে উত্তপ্ত, আর দেশের সাধারণ জনগণের মন-মানসিকতাও ছিল গভীরভাবে বিক্ষুব্ধতায় পরিপূর্ণ; মনে আনন্দ নেই, কাজের ফাঁকে ফাঁকেও তারা হা-হুতাশ করছিলেন। সবার মুখে একই কথা—ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেওয়ার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার তা হলে ভারতীয় তাঁবেদারির ষোলোকলা পূর্ণ করল।
দেশের ভেতর দিয়ে ভারতকে করিডোর প্রদান করার ভয়াবহতা-সংবলিত বহু লেখা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। জনগণ ও সচেতন নাগরিকরা আশা করেছিলেন, গঙ্গার পানিচুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মতো দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থবিরোধী চুক্তি হয়তো সম্পাদনের দিকে এগোতে সরকার আর সাহস পাবে না। বিশেষ করে সরকারের দেশ চালনায় চরম ব্যর্থতা, যেমন—নারী ও শিশু নির্যাতন, সন্ত্রাস, চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, পুলিশি নিপীড়ন, ঘুষ, মন্ত্রীদের দুর্নীতি দমনে অকৃতকার্যতা, প্লট বিতরণে কেলেঙ্কারি, অজস্র অন্যায়-অনাচার প্রভৃতি পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রিয়তায় প্রচণ্ড ধস নামায় সরকার ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর দেওয়ার ফাঁদে অতি সহজে পা দেবে না বলে প্রতিভাত হচ্ছিল। কিন্তু সরকার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতকে ট্রানজিট করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এসব বড় ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলে যথোপযুক্ত ফোরামের ব্যাপারটি আলোচনা দরকার, যেমন সংসদের সদস্যদের মোট দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন নেওয়া এবং জনগণের মতামত নেওয়া; কিন্তু এসব কিছুই করা হয়নি, যেমন করা হয়নি কোনো গ্যারান্টি ক্লজবিহীন ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সময়ও। অর্থাৎ সরকার কোনো গণতান্ত্রিক পন্থাই অবলম্বন করেনি দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব-সংক্রান্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। উপরন্তু দেশের সংসদীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী বিরোধী দলকেও কোনোরকম তোয়াক্কা না করে, তাদের অবহিত না করে দেশ ও জনস্বার্থবিরোধী এসব তখাকথিত চুক্তি সম্পাদন করে গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা এবং আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তার অধিকারিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বুধবারের (২৮ জুলাই, ১৯৯৯) বৈঠকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার পরিণামে ভারতকে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আওয়ামী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতাবিরোধী। সরকারের রাষ্ট্রঘাতী এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। এরই মধ্যে আওয়ামী সরকারের ভারতপ্রেমে গদগদ হয়ে তাদের ট্রানজিটের নামে করিডোর প্রদানের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীরাও। জনগণ ক্ষুব্ধ, তারা রাগে-দুঃখে ফুঁসে উঠেছেন। অচিরেই এর বিস্ফোরণ ঘটবে, এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। ক্ষমতারোহণের পরপরই সরকার যদি দেশের-দশের কাজ ও উন্নয়ন কর্মসূচির পরিবর্তে দলীয়করণ, নামকরণ, আত্মীয়করণ, বিরোধীদলীয় সদস্যদের নির্যাতন, শিল্পকারখানার উৎপাদনের দিকে নজর না দিয়ে সেগুলো থেকে দলবাজির মাধ্যমে শোষণ, দখল, দলীয় সন্ত্রাসী ও সুবিধাভোগীদের প্রশ্রয়দান, নিজেদের ব্যাংক-ব্যালেন্স বৃদ্ধি, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার প্রভৃতি অপকর্মে লিপ্ত হয়, তবে তা জনগণ কখনোই সহজভাবে গ্রহণ করবে না। জনগণ অব্যক্ত বেদনায় জর্জর হয়। ক্রমে ক্রমে সেই সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সুযোগ-সুবিধা নিতে থাকে সরকারি অসজ্জন ও তাদের চেলা-চামুণ্ডারা। পুলিশকে জনগণের খেদমতের পরিবর্তে সরকার দলীয় কাজে নিয়োজিত করে, বিরোধীদলীয় কর্মী ও নেতাদের নির্যাতনের কাজে বেআইনিভাবে তাদের নিয়োজিত করা হয়। ফলে এর প্রতিদানে পুলিশও প্রচুর সুযোগ নিয়ে থাকে, অনেক অন্যায় কাজ করে সমাজে অশান্তি ডেকে আনে। কিন্তু সরকার নৈতিকতা হারিয়ে ফেলায় তাদের ওপর কঠোর হতে পারে না। ফলে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে আশাতীতভাবে—জনগণ হয়ে পড়ে অসহায় এবং সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ।
আমাদের স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকেই বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের খায়েশ ছিল ভারতের। সে সময়েই তারা ফারাক্কা বাঁধ তৈরি শেষ করে এবং তা চালু করে। আজ ফারাক্কা বাঁধ দেশের জন্য, জনগণের জন্য এক মরণবাঁধ হিসেবে পরিগণিত। তখন থেকেই তারা ছিল সুযোগের সন্ধানে—কীভাবে করিডোর আদায় করা যায়; কারণ করিডোর তাদের দরকার। তাদের করিডোর প্রয়োজন ছিল শুধু জনস্বার্থে নয়, বরং তার চেয়েও বেশি ছিল জনআন্দোলন ও গণরোষ প্রতিহত করতে; অস্ত্রশস্ত্র ও সমরাস্ত্র পাঠিয়ে ভারতের শাসকগোষ্ঠীর শাসনে-শোষণে অতিষ্ঠ সেভেন সিস্টার্স-খ্যাত অঞ্চলের জনগণকে দমন করতে। এটা হবে তাদের জন্য অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভজনক যাতায়াত। তা ছাড়া আছে এক ঢিলে কয়েক পাখি মারার ফন্দিফিকির। আর এজন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রোড-রেল যোগাযোগ প্রয়োজন; প্রয়োজন সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করা। এ ব্যাপারে তারা যেভাবে পারে আমাদের দেশের সরকারকে খুশি রেখে কার্যসিদ্ধি করতে চায়। তাদের প্রতি অত্যন্ত দুর্বল এদেশের সরকারকে নানা বেড়াজালে ও প্রলোভনে আটকিয়ে করিডোর আদায়ের সংকল্পে তারা ব্রতী হয়। একে একে জনগণের কাছে থলের সব বেড়াল বেরিয়ে আসছে। জনগণ স্তম্ভিত ও হতবাক এসব কাণ্ডকারখানা দেখে। জনগণ শিউরে উঠেছে দেশের স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে। আগ্রাসী চক্র কুটিল থাবা বিস্তার করে চলেছে, তারা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনামাফিক এগুচ্ছে। পারব কি আমরা তা ভেঙে তছনছ করে দিতে! আমাদের তা প্রতিরোধ করতেই হবে। রোড ও রেল ট্রানজিটের নামে যে এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স এশিয়ান রেল কনসেপ্ট আনা হয়েছে, তা একটা কৌশল ও ভাঁওতাবাজি মাত্র। কারণ এশিয়ান হাইওয়ে কনসেপ্ট মানলে সে লাইন যাবে ভারত থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ঢুকে দক্ষিণের মিয়ানমারে, সিলেটের তামাবিল দিয়ে আবার ভারতে ঢোকা নয়। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা এদেশের সরকারকে কৌশলে বোঝাতে চায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে বিশাল বাণিজ্যঘাটতি, তা বাংলাদেশের সড়ক, নৌ, ট্রানজিট ও গ্যাস বিক্রি করে বাংলাদেশ মেটাতে পারে। তাদের এ উপদেশ তাদের জন্য ভালো, আমাদের জন্য সর্বনাশা প্রস্তাব। ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর সুবিধা দিলে এদেশ বিরাট নৈতিক ঝুঁকির কবলে নিপতিত হবে। ভারতে এইডস রোগের প্রকোপ বেশি, যা আমাদের দেশেও সংক্রমিত হতে বাধ্য। এর ফলে জাতির ভাগ্যে নেমে আসবে দুর্দশা ও কালো মেঘের ঘনঘটা। আমাদের দেশ এত বড় নয় যে, তার মধ্য দিয়ে বিদেশি মালপত্র, ট্রাক ও লরি চলতে পারে বা ভাড়া দেওয়া যায়। এমনিতেই অভাবনীয় যানজট ও মানবজট রাজধানী এলাকায়, এর ওপর আর বাড়তি অত্যাচার নয়। এবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পালা। এ পথে কেউ বাধা প্রদান করলে এদেশের অতন্দ্র প্রহরী জনগণ তা রুখে দেবে। সামাজিক পরিবেশ দিন দিন নাজুক হচ্ছে। গত তিন বছরে প্রায় তিন লাখ অপরাধ পুলিশের খাতায় রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এ সংখ্যা তিনগুণের বেশি হবে। গত তিন বছরে সারা দেশে প্রায় ১০ হাজার হত্যা, দুই হাজার ৯০০টি ডাকাতি, ১৬ হাজার ৮৭৬টি নারী নির্যাতন, ৮৯০টি পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা, ৬ হাজার ১৮৮টি দস্যুতা ও ৩ হাজার ২৬০টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে ভারতীয়দের খুশি রাখায় তৎপর বলে তাদের অনেক ঘটনা ও চুক্তিতে প্রমাণিত হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল, মস্তান ও পুলিশের মধ্যে অশুভ আঁতাত-প্রবণতা লক্ষণীয়। এ সবকিছুই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। কারণ যারা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সার্বভৌত্বকে সমুন্নত রাখবে, তারাই যদি দেশের সম্পদ পাচার, লুটপাট ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকে, তা হলে বিদেশি আগ্রাসী চক্র এ সুযোগ গ্রহণ করে তাদের সুবিধামাফিক চুক্তি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবে, পরবর্তী সময়ে যা আমাদের গলায় মাছের কাঁটার মতো বিঁধে থাকবে, আর কষ্ট দেবে—সার্বিক অর্থনীতি পঙ্গু করে ফেলবে। ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর প্রদানের বিষয়টি নতুনভাবে পর্যালোচনা করতে হবে, যাতে ট্রানজিট চার্জ দুই দেশের জন্যই সমানভাবে ধার্য করা হয়। পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট ও করিডোরের সুবিধা দিতে হবে। যে পর্যন্ত নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট সুবিধা না দেওয়া হবে, সে পর্যন্ত আমাদের দেশের ট্রানজিট সুবিধাও ভারতকে দেওয়া স্থগিত রাখতে হবে।
সাবেক প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; প্রতিষ্ঠাতা, নিউরোসায়েন্স রিসার্চ সেন্টার অব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দুদিন আগে একটি সংবাদপত্রের তিন কলামে শিরোনাম ছিল ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন নিয়েও এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। আবার সামনে আমের বাম্পার ফলনের আশাবাদ নিয়েও খবর হয়।
৯ ঘণ্টা আগেপতিত ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনা অতীব জরুরি। তবে বিচার হতে হবে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। বিচারিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার জন্য ন্যূনতম সময়টুকু বিচার বিভাগকে দিতে হবে।
৯ ঘণ্টা আগেষাট দশকের মাঝামাঝি সময়ে শাহবাগে অবস্থিত ঢাকা রেডিওতে সকালে কিশোর-কিশোরীদের জন্য সংগীত শিক্ষার আসর প্রচারিত হতো। ‘এখন শুরু হচ্ছে সংগীত শিক্ষার আসর, গান শেখাবেন সংগীত পরিচালক আব্দুল আহাদ’- এমন ঘোষণার পর ওস্তাদ ইয়াসিন খান ও বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী লায়লা আর্জুমান্দ বানুর দ্বৈতকণ্ঠে সা-রে-গা-মা’র উচ্চাঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগেজনৈকা এনজিও নেত্রী ও বর্তমান সরকারের এক শক্তিশালী উপদেষ্টা সব রাজনীতিবিদের প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘গত ৫৩ বছরে আপনারা কী করেছেন?’ তার এই স্পর্ধা দেখে স্তম্ভিত হলাম! ভাবতে লাগলাম, এই প্রশ্ন করার সাহস ও সুযোগটি তারা কেন পেলেন, কীভাবে পেলেন?
১ দিন আগে