সিরাজুল আই. ভুঁইয়া
আজকের বিশ্বে অনেক বড় বড় সমস্যা রয়েছে। বৈষম্য দ্রুত বাড়ছে। প্রতি বছর জলবায়ুর অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। বহু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে একা হয়ে পড়ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের দুঃসাহসী আইডিয়া দরকার। এমন সমাধান দরকার যেটা সবার উপকার করবে। নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে সবার জন্য শক্তিশালী বার্তা নিয়ে এসেছেন। তার কথা হলো, ‘বিশ্বকে বদলানোর জন্য বড় করে কল্পনা করতে হবে।’ চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি বা পিকেইউতে এই ধারণা তিনি সবার সামনে তুলে ধরেছেন।
এই কথার মাধ্যমে ইউনূস কী বোঝাতে চেয়েছেন, আসুন সেটা বোঝা যাক। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও জানতে পারব আমরা, যেটা বাংলাদেশে নতুন যাত্রা শুরু করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্যগুলোর মতো নয়। তারা শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন দেখানো শেখাতে চায়। এই বিশ্ববিদ্যালয় চায় তারা দরদের সঙ্গে নেতৃত্ব দেবে, তারা জীবন ও কমিউনিটিকে বদলে দেবে। ইউনূস ব্যবসার সঙ্গে মানুষকে সাহায্য করার ধারণা মিলিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা নিয়ে আমাদের যে ভাবনা, এই বিশ্ববিদ্যালয় সেটা বদলে দিতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বাইরের বিশ্বকেও হয়তো তারা বদলে দেবে।
পিকেইউতে ইউনূসের বক্তৃতা দেওয়ার বেশি দিন হয়নি। তার কথা অনেকের হৃদয়কেই স্পর্শ করেছে। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কল্পনাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সমাজ যেভাবে কাজ করে, এই কল্পনা তা বদলে দিতে পারে, সবার জন্য অর্থনীতিকে আরো উন্নত করে তুলতে পারে। যারা মনে করছেন, তাদের সবাই ভুলে গেছে, এই কল্পনাশক্তি তাদের মর্যাদা দিতে পারে। বাংলাদেশে মেধাবী মানুষের অভাব নেই। কিন্তু এখানে বড় চ্যালেঞ্জও কম নেই। দারিদ্র্য আর কাজের অভাবের কারণে তারা আটকে পড়ে যায়। অধ্যাপক ইউনূসের চিন্তা তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তার এই ভাবনা গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো বিকশিত হতে শুরু করেছে।
তার বক্তৃতা শুধু ভালো ভালো কথার সমষ্টি নয়। এটা পরিবর্তনের একটা নির্দেশনা। তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলেছেন তিনি। বড় স্বপ্ন দেখার জন্য তাদের মেধাকে ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন, এটা পুরো জাতিকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে। তার বার্তা বাংলাদেশের জন্য খুবই উপযোগী। এই দেশটা এখন নতুন ধ্যান-ধারণা গ্রহণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় এখন এই বীজ বপন করতে শুরু করেছে।
ড. ইউনূসের একটা বিশেষ বিশ্বাস আছে। তিনি মনে করেন প্রতিটি মানুষের ভেতরে বিশাল সম্ভাবনা আছে। পিকেইউতে তিনি বলেছেন, আমাদের যা কিছু নির্মাণ, কল্পনাশক্তি সেগুলোকে হারিয়ে দিতে পারে। এটা শুধু অলীক কল্পনা নয়, নিজের কাজ দিয়েই সেটা তিনি প্রমাণ করেছেন। বহু বছর আগে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এই ব্যাংক গরিব মানুষদের অল্প পরিমাণে ঋণ দিত। এটা দিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করতে পারত। তিনি সামাজিক ব্যবসার ধারণাও সামনে এনেছেন। এই ব্যবসার উদ্দেশ্য হলো সমস্যার সমাধান করা। এরপর তিনি বললেন, তার ‘থ্রি জিরো’ বা তিন শূন্য তত্ত্বের কথা। এগুলো হলো শূন্য দারিদ্র, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ।
এগুলো কোনো অস্পষ্ট ঘোলাটে স্বপ্ন নয়। এগুলো ঝকঝকে পরিষ্কার ও বাস্তব। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এই ধারণাগুলো কাজ করবে। তিনি দেখিয়েছেন, প্রত্যেকেই চাইলে পরিবর্তন আনতে পারে, সে দরিদ্র না ধনী সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রত্যেকেরই সৃষ্টির একটা ক্ষমতা আছে। তুমি অন্যকে সাহায্য করতে পার। তুমি বড় পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পার। ড. ইউনূস এমন একটা ব্যবস্থা চান, যেটা মানুষকে মুক্ত করে দেবে। মানুষকে যেটা আটকে রাখে, সেই ব্যবস্থা তিনি চান না।
এই ধারণাটাকেই প্রাণ দিতে চাচ্ছে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়। এটা শুধু অধ্যয়নের একটা জায়গা মাত্র নয়। এটা বড় বড় ধারণা প্রসবের জায়গা। বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের কৌশল শিখবে এখানে শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায় মনোযোগ দেবে তারা, যেটা মানুষকে সাহায্য করবে। পৃথিবী নামক গ্রহটিকে নিয়েও তাদের ভাবনা রয়েছে। ড. ইউনূস চান, তারা সাহসী স্বপ্ন দেখুক। তিনি চান, তারা হৃদয় দিয়ে কাজ করুক। তিনি চান, সাহস নিয়ে তারা পরিবর্তন নিয়ে আসুক।
ড. ইউনূস নতুন ধরনের চিন্তা করতে পারেন। তিনি বলেছেন, মানুষ শুধু চাকরি খোঁজার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি, এই সমাজ আমাদের এভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। এটাই একমাত্র সত্য নয়। বরং তিনি মনে করেন, আমরা সবাই জন্ম নিই উদ্যোক্তা হিসেবে। আমরা নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে পারি। কঠিন সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমাদের মধ্যে শক্তি আর নতুন আইডিয়া আছে। কিন্তু সমাজব্যবস্থা আমাদের থামিয়ে দেয়। আমাদের কর্মক্ষমতাকে তারা সীমিত করে দেয়। আমাদের সুযোগকে তারা আটকে দেয়।
তার সামাজিক ব্যবসার ধারণা এই বিশ্বাসকে আঘাত করেছে। এই ব্যবসার উদ্দেশ্য নিজের জন্য অর্থ অর্জন নয়। এর উদ্দেশ্য হলো বড় বড় সমস্যার সমাধান। সমাজকে সাহায্য করার জন্য এখানে ব্যবসায়িক দক্ষতাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দারিদ্র্য ও দূষণের মতো সমস্যা সমাধানের উপায় দেখাচ্ছে এই ব্যবসা। এগুলো সাধারণ ব্যবসা থেকে আলাদা। সাধারণ ব্যবসার লক্ষ্য হলো মুনাফা বানানো। সামাজিক ব্যবসার লক্ষ্য হলো মানুষ। এটা এক নতুন ধরনের ক্ষমতায়ন নিয়ে আসবে।
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় এই পথেই হাঁটছে। এটা গতানুগতিক কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। শুধু তথ্যের বিস্তার এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নয়। শিক্ষার্থীদের লুকানো প্রতিভা জাগিয়ে তুলবে এই প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের চাকরির জন্য তৈরি করে। এই প্রতিষ্ঠান তাদের নেতা বানাবে। শিক্ষার সঙ্গে এটা সংবেদনশীলতা শেখাবে। এই প্রতিষ্ঠান সবুজায়নের ধারণাও নিয়ে আসবে। শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের সমস্যা সমাধান করতে শিখবে। টেকসই কমিউনিটি গড়তে শিখবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ উপায়ে দারিদ্র্য মোকাবিলা করবে। শিক্ষার্থীদের তারা চাকরির পেছনে দৌড়ানো শিখাবে না। এটা বরং কর্মসংস্থান তৈরি করা শেখাবে। ঝরে পড়া মানুষেরা এতে উপকৃত হবে। এটা তাদের আশা দেবে। ড. ইউনূস চান, শিক্ষা আরো বড় হয়ে উঠুক। তিনি এই শিক্ষার সত্যিকারের প্রভাব দেখতে চান। রঙবেরঙের পদবি তার কাছে বড় নয়। তিনি চান সত্যিকারের পরিবর্তন।
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় বড় চিন্তাকে স্বাগত জানায়। বিশ্ব আজ দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রতিদিন প্রযুক্তির ব্যাপ্তি বাড়ছে। বৈষম্যও আরো ব্যাপক হচ্ছে। এই গ্রহ এখন সমস্যায় ডুবে আছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নতুন আইডিয়া নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে। ড. ইউনূসের ভিশনকে তারা গভীরভাবে ধারণের চেষ্টা করছে। এটা কর্মসংস্থান খোঁজার বিষয় নয়। এটা আরো সুন্দর একটা পৃথিবী নির্মাণের বিষয়।
শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন বিষয়কে মিলিয়ে অধ্যয়ন করবে। বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হবে সংবেদনশীলতা, ব্যবসার সঙ্গে সৎ নৈতিকতা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি এখানে সবাইকে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সঙ্গে শুধু খাপ খাইয়েই নেবে না, তারা এই বিশ্বকে নতুন রূপ দেবে। তারা এটাকে আরো সুন্দর করে তুলবে।
ড. ইউনূস একটা বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। সেটা হলো, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী? তার উত্তরটা সহজ। এর উদ্দেশ্য হলো আমাদের সৃজনশীলতাকে মুক্ত করে দেওয়া। আমাদের বিশ্বকে নতুন করে গড়তে এটা আমাদের সাহায্য করবে। গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি এই আইডিয়াকে ধারণ করছে। প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বড় চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তারা শুধু তথ্য মুখস্থ করছে না, তারা সত্যিকারের সমস্যা সমাধান করছে। তারা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করছে। তারা কোনো শঙ্কা ছাড়াই নতুন জিনিসের চেষ্টা করছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু ধনী মানুষ বা বড় কোম্পানিগুলোর জন্য নয়। শিক্ষার্থীরা কল্যাণের জন্য এর ব্যবহার শিখবে। এটা স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। এটা স্কুলগুলোকে উন্নত করতে পারে। এটা এই গ্রহকে রক্ষা করতে পারে। এটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সবাইকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। তারা এটাকে ন্যায়ভিত্তিক করে তুলবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবনের একটা লক্ষ থাকবে। অর্থ বা খ্যাতির জন্য এটা করা হবে না। এর উদ্দেশ্য হবে অন্যকে সাহায্য করা। এটা হবে দয়ালু কাজ। শিক্ষার্থীরা অসম্ভবকে সম্ভব করবে। যারা কথা বলতে পারে না, তাদের হয়ে এরা কথা বলবে। সত্যিকারের কাজের মাধ্যমে তারা শিখবে। যে পরিবর্তন তারা দেখতে চায়, সেই পরিবর্তনের ধারক হয়ে উঠবে তারা।
ড. ইউনূসের তিন শূন্যের ধারণাটাও ধারণ করছে গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি। এগুলো হলো, শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, আর শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এগুলো সুদূরপ্রসারী কোনো অলীক ইচ্ছা নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছুই এই নীতি দ্বারা চালিত হবে।
প্রথম বিষয়টি হলো শূন্য দারিদ্র্য। শিক্ষার উচিত মানুষকে মুক্ত করা। এই বিশ্ববিদ্যালয় গরিব শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে। তাদের ব্যবসা শুরু করতে শেখাবে। তারা এখানে উপায়গুলো শিখবে। আবার শিক্ষকরাও তাদের সাহায্য করবে। পরিবারগুলো দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসবে। শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে তাদের কমিউনিটিগুলোকেও উচ্চকিত করবে।
দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো শূন্য বেকারত্ব। চাকরির জন্য অপেক্ষা করো না, নিজেই চাকরি সৃষ্টি করো। সমাজের কী প্রয়োজন, শিক্ষার্থীরা সেগুলো খুঁজে বের করবে। তারা সমস্যার স্মার্ট সমাধান বের করবে। গ্রামীণ এলাকার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এভাবে শিক্ষা শক্তি হয়ে উঠবে। এটা শুধু ডিগ্রি থাকবে না।
তৃতীয় লক্ষ্য হলো শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এই গ্রহটাই এখানে লক্ষ্য। এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ সবুজ প্রযুক্তি দিয়ে চালিত হবে। এখানে পরিষ্কার জ্বালানি ব্যবহার করা হবে। শ্রেণিকক্ষে পরিবেশবান্ধব পরিবেশ থাকবে। শিক্ষার্থীরা এখানে পরিবেশের যত্ন করা শিখবে।
এই লক্ষ্যগুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য করে তুলবে। এখানে সেই নেতা তৈরি হবে, যারা মানুষের কথা ভাববে। একটা ন্যায্য ও সবুজ ভবিষ্যৎকে বাস্তব করে তুলবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
পিকেইউতে ড. ইউনূসের কথায় স্ফুলিঙ্গ ছিল। তিনি বলেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারলেই কেবল সমৃদ্ধি আসবে। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই সেটা দেখাতে হবে। এখানে বড় স্বপ্নের লালন হবে। এখানে সংবেদনশীলতা শেখানো হবে। এটা সত্যের পক্ষে দাঁড়াবে।
এই প্রতিষ্ঠান কোনো গতানুগতিক ধারা অনুসরণ করবে না। একটা উদ্দেশ্য নিয়ে তারা নেতৃত্ব দেবে। এটা কমিউনিটির সঙ্গে জড়িত থাকবে। এটা চলতি ব্যবস্থাকে পাল্টে দেবে। ড. ইউনূস বলেন, ‘অন্যের জন্য কাজ করতে মানুষের জন্ম হয়নি। তাদের জন্ম হয়েছে সৃষ্টির জন্য, পৃথিবী বদলে দেওয়ার জন্য।’ এটাই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেতনা।
ড. ইউনূসের উত্তরাধিকার শুধু ব্যাংক বা অর্থ নয়। তিনি সবার জন্য আশা দেখিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে উঁচুতে তুলে ধরতে পারবে, তাদের অনুপ্রাণিত করতে পারবে। অসম্ভবকে তারা তাড়া করবে। সেটাকে তারা জিতে নেবে।
লেখক : যুক্তরাষ্ট্রের সাভানা, জর্জিয়ার সাভানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ব্যবসা, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভারত, জাপান ও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে লিখে থাকেন।
sibhuiyan@yahoo.com
সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড পামার স্টোন (Lord Palmer Stone, 1784-1865 পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন, ‘Great Britain doesn’t have permanent friend or foe, but has got permanent interest.’ পররাষ্ট্রনীতি-বিশারদরা এ উক্তিকে রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক বিন্যাসের নিয়ামক মনে করেন।
১৬ ঘণ্টা আগেসংকটকালে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারায় আমাদের জাতীয় জীবনে যেমন অনেক বিপর্যয় নেমে এসেছে, তেমনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষাও পেয়েছি। আবার শক্তির মদমত্ততা, রাগ ও প্রতিশোধের স্পৃহা থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো কতটা ভুল হতে পারে, তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১৬ ঘণ্টা আগেএকদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী মত দমন, প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করাই হয়ে উঠেছিল শাসনব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য। অথচ গণতন্ত্রের প্রকৃত অর্থ হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও জনস্বার্থে নীতিনির্ধার
১৬ ঘণ্টা আগেযেকোনো জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে গণিকাবৃত্তিকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। গণমানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে এমন প্রস্তাব উত্থা
১৭ ঘণ্টা আগে