ঘরোয়া ফুটবলে বাজে একটা মৌসুম কাটাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার ১৫ নম্বরে থেকে শেষ করতে যাচ্ছে এবারের মৌসুম। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড। তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলে কিন্তু তাদের অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। মৌসুমের শেষ থেকে এসে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠে গেছে কোচ রুবেন আমোরিমের দল। ফাইনালে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম হটস্পার। ২১ মে রাতে বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেসে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব টুর্নামেন্টটির ফাইনালে মঞ্চস্থ হবে ইংলিশ ডার্বি। যারা শিরোপা জিতবে তারা লিগের পয়েন্ট তালিকার নিচে থেকেও নাম লিখবে চ্যাম্পিয়নস লিগে।

নিজেদের মাঠে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের প্রথমার্ধে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিল ইউনাইটেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় রেড ডেভিলরা। প্রতিপক্ষ অ্যাথলেতিক বিলবাওকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে তারা। প্রথম লেগে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতে ইউরোপার ফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়েছিল ওল্ড ট্রাফোর্ড শিবির। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ গোলে জিতে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নাম লিখেছে ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল করেন ম্যাসন মাউন্ট। বাকি একটি করে গোল করেন কাসেমিরো ও রাসমুস হয়লুন্দ।

অ্যাসপিরা স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বৃহস্পতিবার রাতে নরওয়ের স্বাগতিক ক্লাব বোডো/গ্লিমটকে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্পার শিবির। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে অবশ্য ৩-১ গোলের জয়ে ইউনাইটেডের মতো ফাইনালে এক পা আগেই দিয়ে রেখেছিল টটেনহ্যাম। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে ফাইনালে পৌঁছে গেছে কোচ আঙ্গে পোস্তেকোগলুর শিষ্যরা। বিরতির পর টটেনহ্যামের হয়ে গোল এনে দেন দমিনিক সোলাঙ্কে ও পেদ্রো পোরো।