Ad T1

যে কারণে শাস্তি বাড়ল হৃদয়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ১৬
মিরপুরে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে বোলিং ইনিংসে বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। মাঠে দায়িত্ব পালন করা দুই আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত ও তানভীর আহমেদের সিদ্ধান্ত না মেনে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান। সে কারণে প্রথম দফায় ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন হৃদয়। শাস্তি পাওয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে এসে ফের বাজে মন্তব্য করেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। তাতে বেড়েছে তার শাস্তির মেয়াদ। সঙ্গে যোগ করা হয়েছে জরিমানা। বিষয়টি আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
গত পরশু মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাওহিদ হৃদয় বেশ কয়েকবারই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান। যা নিয়ে তৈরি হয় সমালোচনা। ম্যাচ শেষে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে শুনানিতেও আম্পায়ারদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের অভিযোগ ছিল হৃদয়ের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে ম্যাচের ঘটনার জন্য এক ম্যাচের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু শাস্তির পর গণমাধ্যমের সামনে এসে সাংবাদিকদের একহাত নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে আচরণবিধি অনুযায়ী আম্পায়ার কিংবা ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করার সুযোগ নেই কোনো ক্রিকেটারের সামনে। এমন কী ম্যাচ শেষে এমন কোনো ঘটনা ঘটালে ম্যাচ রেফারি ম্যাচ শেষের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
সেই অনুযায়ী গতকাল নতুন করে হৃদয়কে শাস্তি দিয়েছে। ম্যাচের ঘটনার জন্য ৪ ডিমেরিট পয়েন্টের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে আম্পায়ারদের সমালোচনা করায় আরও তিন ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। নিয়মানুযায়ী কোনো ক্রিকেটারের নামের পাশে ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হলে সেই ক্রিকেটার দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন। এরই অংশ হিসেবে হৃদয়কে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৭ ডিমেরিট পয়েন্টের পাশাপাশি তাকে ৮০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। ফলে সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হৃদয়কে পাবে না মোহামেডান।
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে বোলিং ইনিংসের ৭ম ওভারে মোহাম্মদ মিঠুনের প্যাডে লাগলে আউটের আবেদন করে মোহামেডানের বোলাররা। আম্পায়ার তানভীর আহমেদ তাতে সাড়া না দিলে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একই ঘটনায় পরে আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এর পরেই তাকে ম্যাচের ঘটনার জন্য তাকে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। পরে সেই ঘটনার সূত্র ধরে গণমাধ্যমের সামনে আম্পায়ারদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন হৃদয়। সে কারণেই তার নামের পাশে ফের তিন ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাওহীদ হৃদয়ের এমন আচরণ অত্যন্ত হতাশাজনক। তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়, তার কাছ থেকে শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ প্রত্যাশিত। আইসিসি প্যানেল ও এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের সঙ্গে এমন অসংলগ্ন আচরণ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন আচরণ না করে, দৃষ্টান্ত তৈরি করতে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে সব আইন মেনেই দেওয়া হয়েছে।’
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত