স্টাফ রিপোর্টার
আমার দেশ অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবে। একই সঙ্গে দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার দেশ কোনো দল বা গোষ্ঠীকে সমর্থন করবে না। ট্যাগের প্রশ্নই আসে না। সবসময়ই অগণতান্ত্রিক শক্তি ও নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার লেখনী অব্যাহত থাকবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ও তার পুত্র জয়ের দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের খবর প্রথম আমার দেশ প্রকাশ করেছিল। ওই দুর্নীতি অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় সে সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো লাভবান হয়েছিল।
২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশে সকল পত্রিকা যখন শাহবাগ জ্বরে আক্রান্ত ছিলো তখন আমার দেশই ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পেয়েছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও পার্শ্ববর্তী দেশের চক্রান্তের কেন্দ্র ছিলো শাহবাগ। যেটা আমার দেশ বুঝতে পেরেছিল, অন্যরা সেটা পারেনি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল আমার দেশ তার ধারাবাহিকতায় চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডিসেম্বর মাসের মহান স্বাধীনতার বীর শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দুই দফায় পাঁচবছর জেল এবং তৃতীয় দফায় বর্তমান সরকারের সময় জেল থেকে বের হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম, দুই মাসের মধ্যে আমার দেশ পত্রিকা পাঠকের হাতে পৌঁছাবে। আল্লাহর রহমতে সে কাজটি সম্পন্ন করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ পাঠকের হাতে হাতে পৌঁছে যাবে। আমরা জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমদিনই আমরা একটা মানসম্মত পত্রিকা উপহার দিতে চাই।
ইতোমধ্যে আমার দেশের ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে হাজার হাজার কমেন্টস পেয়েছি। আমরা সেই কমেন্টের মর্যাদা রক্ষা করব। ছাপা পত্রিকার আলাদা কদর আছে। আমরা সেটা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। পাঠকদের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য একমাস আমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
তিনি আরও বলেন, এখন অনলাইনের যুগ। আমরা ছাপা পত্রিকার গুরুত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি অনলাইন, ইউটিউবসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠক ও দর্শকদের চাহিদা পূরণে কাজ করে যাব।
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস। এ খেলাটা আমি মিডিয়ার ফিল্ডেই খেলতে চাই।’
তিনি বলেন, আমার দেশ একটি ব্র্যান্ড, যারা পত্রিকাটি পছন্দ করেন তাদের কাছে এবং যারা পছন্দ করেন না তারাও মানেন আমার দেশ একটি ব্র্যান্ডের নাম। একপেশে নয় একটি খবরের যারা সূত্র এবং সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষের বক্তব্য তুলে ধরাই হবে আমাদের সম্পাদকীয় নীতি।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ‘ইসলামী জঙ্গি’ নাম দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যা বলে দেওয়া হতো সেই একপক্ষের বক্তব্য পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াতে প্রকাশ করা হতো। ‘উইথ আউট চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ কোনো নিউজ আমার দেশ প্রকাশ করবে না বলেও নিশ্চয়তা দেন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়াতে ইসলামোফাবিয়া বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। বিশেষ করে গাজায় যে গণহত্যা হচ্ছে সেটা বিশ্ব মিডিয়াসহ বাংলাদেশের মিডিয়াতেও সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, গাজা, কাশ্মীর, উইঘুর, রোহিঙ্গাসহ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের নির্যাতনের সংবাদ সঠিকভাবে তুলে ধরবে আমার দেশ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ২২ ডিসেম্বর উদ্বোধনী সংখ্যা থেকে চারদিন আমার দেশ এ ডান-বাম, মধ্যপন্থী বিভিন্ন লেখকদের লেখা ছাপা হবে। যা ঐতিহাসিক সংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত ১৫ বছরে দেশে তেলবাজী এবং দলবাজীর সাংবাদিকতা হয়েছে। তাই পত্রিকার উপর মানুষের আস্থা কমে গেছে এমন মন্তব্য করে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, পত্রিকার উপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমার দেশ শুরু থেকেই সচেষ্ট থাকবে। কেননা আমার দেশের স্লোগান হচ্ছে ‘আমার দেশ স্বাধীনতার কথা বলে’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, ফিচার এডিটর আব্দুল হাই শিকদার, বিজনেস এডিটর সৈয়দ মিজানুর রহমান, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ।
আমার দেশ অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবে। একই সঙ্গে দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার দেশ কোনো দল বা গোষ্ঠীকে সমর্থন করবে না। ট্যাগের প্রশ্নই আসে না। সবসময়ই অগণতান্ত্রিক শক্তি ও নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার লেখনী অব্যাহত থাকবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ও তার পুত্র জয়ের দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের খবর প্রথম আমার দেশ প্রকাশ করেছিল। ওই দুর্নীতি অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় সে সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো লাভবান হয়েছিল।
২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশে সকল পত্রিকা যখন শাহবাগ জ্বরে আক্রান্ত ছিলো তখন আমার দেশই ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পেয়েছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও পার্শ্ববর্তী দেশের চক্রান্তের কেন্দ্র ছিলো শাহবাগ। যেটা আমার দেশ বুঝতে পেরেছিল, অন্যরা সেটা পারেনি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল আমার দেশ তার ধারাবাহিকতায় চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডিসেম্বর মাসের মহান স্বাধীনতার বীর শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দুই দফায় পাঁচবছর জেল এবং তৃতীয় দফায় বর্তমান সরকারের সময় জেল থেকে বের হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম, দুই মাসের মধ্যে আমার দেশ পত্রিকা পাঠকের হাতে পৌঁছাবে। আল্লাহর রহমতে সে কাজটি সম্পন্ন করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ পাঠকের হাতে হাতে পৌঁছে যাবে। আমরা জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমদিনই আমরা একটা মানসম্মত পত্রিকা উপহার দিতে চাই।
ইতোমধ্যে আমার দেশের ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে হাজার হাজার কমেন্টস পেয়েছি। আমরা সেই কমেন্টের মর্যাদা রক্ষা করব। ছাপা পত্রিকার আলাদা কদর আছে। আমরা সেটা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। পাঠকদের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য একমাস আমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
তিনি আরও বলেন, এখন অনলাইনের যুগ। আমরা ছাপা পত্রিকার গুরুত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি অনলাইন, ইউটিউবসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠক ও দর্শকদের চাহিদা পূরণে কাজ করে যাব।
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস। এ খেলাটা আমি মিডিয়ার ফিল্ডেই খেলতে চাই।’
তিনি বলেন, আমার দেশ একটি ব্র্যান্ড, যারা পত্রিকাটি পছন্দ করেন তাদের কাছে এবং যারা পছন্দ করেন না তারাও মানেন আমার দেশ একটি ব্র্যান্ডের নাম। একপেশে নয় একটি খবরের যারা সূত্র এবং সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষের বক্তব্য তুলে ধরাই হবে আমাদের সম্পাদকীয় নীতি।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ‘ইসলামী জঙ্গি’ নাম দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যা বলে দেওয়া হতো সেই একপক্ষের বক্তব্য পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াতে প্রকাশ করা হতো। ‘উইথ আউট চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ কোনো নিউজ আমার দেশ প্রকাশ করবে না বলেও নিশ্চয়তা দেন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়াতে ইসলামোফাবিয়া বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। বিশেষ করে গাজায় যে গণহত্যা হচ্ছে সেটা বিশ্ব মিডিয়াসহ বাংলাদেশের মিডিয়াতেও সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, গাজা, কাশ্মীর, উইঘুর, রোহিঙ্গাসহ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের নির্যাতনের সংবাদ সঠিকভাবে তুলে ধরবে আমার দেশ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ২২ ডিসেম্বর উদ্বোধনী সংখ্যা থেকে চারদিন আমার দেশ এ ডান-বাম, মধ্যপন্থী বিভিন্ন লেখকদের লেখা ছাপা হবে। যা ঐতিহাসিক সংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত ১৫ বছরে দেশে তেলবাজী এবং দলবাজীর সাংবাদিকতা হয়েছে। তাই পত্রিকার উপর মানুষের আস্থা কমে গেছে এমন মন্তব্য করে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, পত্রিকার উপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমার দেশ শুরু থেকেই সচেষ্ট থাকবে। কেননা আমার দেশের স্লোগান হচ্ছে ‘আমার দেশ স্বাধীনতার কথা বলে’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, ফিচার এডিটর আব্দুল হাই শিকদার, বিজনেস এডিটর সৈয়দ মিজানুর রহমান, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ।
নিখোঁজের চারদিন পর সুস্থ অবস্থায় হলে ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় তাকে ফিরে পেতে হল প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে হলের শিক্ষার্থীরা।মিছিল শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে হলে ফেরেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেতিনি আরো বলেন, আমরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা সেই সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা আন্দোলনের সময় হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেউপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসনের ৫০ শতাংশ কোটা ইস্যুতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ্ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন -বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও বাসা মহাসচিব মাহবুবুর রহমান।
৭ ঘণ্টা আগে