বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শহীদ জুয়েল রানা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন চিরপ্রতিবাদী যুবক জুয়েল রানা। আন্দোলনের শেষ দিনে হাসিনা সরকারের পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়ে গাজীপুরে আনসার একাডেমির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে।
স্থানীয় এস এস রোডের ইলিয়ড ব্রিজের কাছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা মিছিলে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সমুন। শহীদের কাতারে যুক্ত হয় তার নাম।
একমাত্র ছেলে সন্তানের এমন মৃত্যুতে পাগলপ্রায় সুজনের মা। তিনি বলেন, কত স্বপ্ন ছিল, আমার সুজয় পরিবারের হাল ধরবে, বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন হৃদয়বিদারক হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেন তার স্বজনরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাতের (১২) জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ শ্রেনির শিক্ষার্থী আরাফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর মধ্যেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো এই কিশোর। রাজধানীর উত্তরা জামিয়া রওজাতুল উলুম মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল আরাফাত হুসাইন।
এ তালিকায় ৮৫৮ জন শহীদের নাম এবং আহতদের তালিকায় ১১ হাজার ৫৫১ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় তার ফেসবুক একাউন্টে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে কটূক্তি করে ভিডিও পোস্ট করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।
সবাই বলে, আমার সূর্য নাকি মারা যায়নি। সে নাকি সবার মাঝে বেঁচে আছে। কিন্তু, কই কারো মাঝে তো আমার বুকের ধনকে খুঁজে পাই না। গত ৪ আগস্ট সকালে ছেলে বলল, মা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যাচ্ছি। আমি বলেছিলাম, তোমার এসব আন্দোলনে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের এসবের কি দরকার।
মায়ের মুখে বাবার স্মৃতিচারণ শুনে বাচ্চারা কাঁদতে শুরু করে। আবেগাপ্লুত হেনা বেগম বলেন, ‘বাচ্চাদের বাবার অবর্তমানে তিন সন্তানকে লালন-পালন করা একজন মায়ের জন্য কতটা যন্ত্রণার আমি আপনাকে কীভাবে তা বুঝাবো? আমি কীভাবে তাদের বাবাকে ফিরিয়ে দেবো?’