Ad

গাজায় জাতিহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: অ্যামনেস্টি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ১৬
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ২৪
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি এলাকা, ৪ ডিসেম্বরছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিহত্যা (জেনোসাইড) চালাচ্ছে ইসরায়েল। আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। যদিও ইসরায়েলি নেতারা বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

অ্যামনেস্টি বলেছে, কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ঘটনা ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা এমন উপসংহারে পৌঁছেছে।

১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে উল্লিখিত জেনোসাইডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘একটি জাতি, জাতিগত গোষ্ঠী, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে করা কর্মকাণ্ড।’

ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে জাতিহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশটি আরও বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের আন্তসীমান্ত হামলার পর তাদের নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি রয়টার্স।

১৪ মাস আগে ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। হামলার জবাবে একই দিন থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

ফিলিস্তিনি ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা উপত্যকায় আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কাউকে কাউকে ১০ বারও বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড দ্য হেগে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, উপসংহারটি ‘হালকাভাবে, রাজনৈতিকভাবে বা অগ্রাধিকারমূলকভাবে’ নেওয়া হয়নি।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর ক্যালামার্ড সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। ছয় মাস ধরে গভীর অনুসন্ধান ও মনোযোগের সঙ্গে গবেষণাটি করার পর আমাদের মনে কোনো ধরনের, এমনকি বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই।’

অ্যামনেস্টি বলেছে, ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে নিষিদ্ধ হওয়া পাঁচটি কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্তত তিনটি করেছে ইসরায়েল ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিহত্যার অভিযোগ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।

বিষয়:

ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত