Ad

সিরিয়ার আরেক বড় শহর হামার আরও কাছে বিদ্রোহীরা

আতিকুর রহমান, চবি
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ০৬

সিরিয়ায় ক্ষমতাসীন বাশার আল–আসাদ সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীরা গতকাল মঙ্গলবার দেশটির আরেক বড় শহর হামার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে। একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীও এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে কাঁপিয়ে দিয়ে গত সপ্তাহে হঠাৎ আলেপ্পো দখল করে নেয় সিরিয়ার বিদ্রোহীরা।

বিদ্রোহী পক্ষ ও সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা নগরী থেকে কয়েক মাইল উত্তরের কয়েকটি গ্রাম দখল করে নিয়েছেন। মার শাহুর গ্রামও তাঁদের দখলে চলে গেছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ওই এলাকায় নতুন করে সেনা পাঠানোর খবর দিয়েছে।
হামায় বিদ্রোহীদের হামলা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ওপর চাপ আরও বাড়াতে পারে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামা সরকারি বাহিনীর দখলে আছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি আরবি ভাষায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দামেস্ক চাইলে তেহরান সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়ায় ‘সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন’ বন্ধ করার তাগাদা দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদ সংস্থা আরআইএ।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানি বলেন, বাগদাদ সিরিয়ায় শুধু ‘একজন নীরব দর্শক’ হয়ে থাকবে না। তিনি বিদ্রোহীদের পুনর্জাগরণের জন্য সিরিয়া সরকারের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলাকে দায়ী করেছেন।

গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার বৃহৎ নগরী আলেপ্পো দখল করে। গৃহযুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। কয়েক বছর রক্তক্ষয়ী লড়াই চলার পর মিত্রদেশ রাশিয়া, ইরান এবং ওই অঞ্চলের কয়েকটি শিয়া–মিলিশিয়া দলের সহায়তায় প্রেসিডেন্ট আসাদ বিদ্রোহীদের হটিয়ে সিরিয়ার বেশির ভাগ এলাকার দখল আবার নিজের হাতে নেন। তারপর ২০২০ সাল থেকে দেশটিতে যুদ্ধ বন্ধ ছিল।

এখন রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে। অন্যদিকে তিন মাস ধরে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব ধ্বংস হয়ে গেছে। ইরানের সমর্থনপুষ্ট এই সশস্ত্র গোষ্ঠী সিরিয়ায় যুদ্ধ করেছিল।

এবারও লড়াইয়ে আসাদ বাহিনীকে সমর্থন করতে ইরানের মদদপুষ্ট কয়েক শ ইরাকি মিলিশিয়া যোদ্ধা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছেন। গত সোমবার তাঁরা সিরিয়া প্রবেশ করেন বলে ইরাকি ও সিরিয়ার কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর এবার যোদ্ধা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই।

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের একটি সূত্র বলেছে, হামার বাইরে তাদের যে লড়াই চলছে, সেখানে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া যোদ্ধারাও লড়াইয়ের ময়দানে আছেন।

গত কয়েক দিনে রাশিয়া ও সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা জোরদার করেছে। উভয় পক্ষ থেকেই এ খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা আলেপ্পো ও ইদলিবে হাসপাতালে প্রাণঘাতী হামলার কথা জানিয়েছেন।

বিষয়:

ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত