Ad

পথেঘাটে চাঁদাবাজিতে বাড়ছে খাদ্যপণ্যের দাম: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪: ১৮
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ১১

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে পারছে না। অন্তবর্তী সরকার বিপ্লবের মধ্যে গঠিত হয়েছে। এই সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

নিত্যপন্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন। অনেক সময় পুলিশ খাদ্যপণ্যের গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা এটা বলি না যে সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না। মানুষকে এই পরিস্থিতি যদি আগের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারে তাহলে মানুষ হতাশ হবে। খাদ্যপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি।

যখন গণতন্ত্র ছিলো না তখন আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার লাল চক্ষু উপেক্ষা করে বিশেষ করে তার প্রশাসনের সামনে বুকে সাহস নিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছে। তাদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছে, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কৃষক দল কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছেলেরা যদি কৃষকের জন্য কাজ করে সেই কৃষির উন্নয়ন দ্রুত হবে। মানুষ যেনো অনাহারে না থাকে অন্তবর্তিকালীন সরকারকে এ দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। কেউ হুমকিতে থাকবে না। কিন্তু আপনারা যদি প্রশাসনে শেখ হাসিনার দোসরদের যদি লালনপালন করেন। আপনি নারায়নগঞ্জে এসপি যিনি যুবদলের শাওন হত্যায় জড়িত। সেই এসপিকে যদি ডিসি হেডকোয়ার্টার বানান। তাহলে আপনি সমাজ থেকে কিভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন। কিভাবে খুনাখুনি বন্ধ করবেন। কিভাবে হানাহানি বন্ধ করবেন। আপনাকে সূফী হওয়ার দরকার নেই। সাধক হওয়ার দরকার নেই। আপনি দেখুন কে অন্যায় করছে। তাকে গ্রেফতার করুন, আইনের আওতায় আনুন। যে পুলিশ আহত হয়েছিলো তাকে ভালো পোস্টিং দিলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।

রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে সম্প্রতি এক উপদেষ্টার বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, এটা একধরনের অহংবোধে অভিব্যক্তি। একাত্তর কার সৃষ্টি, যুদ্ধ সৃষ্টি, যুদ্ধে বিজয় কাদের, এরশাদ কে নামিয়ে যে গণতন্ত্রের আরেকবার বিজয় করেছিলাম এটা কি সুশীল সমাজের অবদান, তখন সুশীল সমাজ সমার্থন দিয়েছে। মাননীয় উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে আমি বলব আপনার কথাবার্তা মইনুদ্দিন ফক উদ্দিনের পুনরাজ্জীবন দেখছি। এটা হতে পারে না। বরং মইনুদ্দিন ও ফতুদিনের সেই তথাকথিত সংস্কারের ফলে হাসিনার মতো কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিস্ট, যিনি গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে একটা সম্রাজ্ঞী শাসন করেছিল। তার বিরুদ্ধে কথা বললে হয় জেল, না হলে রাস্তাঘাটে নদী নালায় লাশ পড়ে থাকত। এইটাই দেখেছি আমরা সেই সংস্থার ফল। আপনারা যদি প্রকৃতি সংস্কার করেন। তাহলে নির্বাচন, গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশগুলো, আইনের শাসন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করা এত বিলম্ব হওয়ার কথা না।

ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত