ইসলাম ডেস্ক
মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। আল্লাহপাক অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন মানুষকে। মানুষের ওপর আল্লাহ প্রদত্ত সেসব নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো- জবান। মানুষের উচিত আল্লাহর দেওয়া এই নেয়ামতকে সৃষ্টির কল্যাণে কাজে লাগানো। অর্থাৎ জবান পেয়েছি বলেই তা দিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলা যাবে না; জবানের হেফাজত জরুরি। কোনো কিছু শুনেই বলতে শুরু করে দেওয়া ঠিক নয়। বরং আগে যাচাই-বাছাই করা উচিত। ‘নিজস্ব কিছু মতবাদ জনসম্মুখে ছড়িয়ে দেওয়া’ মনগড়া আশ্চর্য–কথা প্রকাশ করা এ জাতীয় কাজ লোক দেখানো কথামালা ছাড়া আর কিছু হবে না।
কুরআন ও হাদিসের নামে এমন কিছু বলে দেওয়া কখনো শোভনীয় নয়। আর এসব বক্তা ও শ্রোতাকে ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়া আর কিছুই করবে না।
এ বিষয়টি হাদিসে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। আমরা দুটি বর্ণনা উল্লেখ করছি। এক. সাহাবি হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শুনে (বিনা বিচারে) তাই বর্ণনা করে।’ (সহি মুসলিম ও সুনানে আবু দাউদ)
দুই. সাহাবি হজরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত–রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করলো, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
উপর্যুক্ত বর্ণনা দুটি থেকে স্পষ্ট বুঝে আসে যে, যাচাই-বাছাই করা ছাড়া কোনো কথা বলে দেওয়াই; মিথ্যাবাদী হওয়ার নামান্তর।
দ্বিতীয়ত ইচ্ছাকৃত কোনো বক্তব্যকে হাদিস নামে চালিয়ে দেওয়াও ভয়াবহ শাস্তির কারণ। এজন্য বক্তা আলোচক ও দাঈদের দাওয়াতি কাজেও জবান হেফাজত করা জরুরি। ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য বলে চালিয়ে দেওয়া কখনো উচিত নয়।
কোরআনে পাপিষ্ঠদের বক্তব্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাদেরকে যাচাই করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! কোনো পাপাচারী যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে। তবে তোমরা তার সত্যতা যাচাই করো। তা না হলে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে বসবে। এরপর তোমরা যা করেছ, সেজন্য তোমাদেরকেই অনুতপ্ত হতে হবে। (সুরা হুজুরাত ৬)
এজন্য যে কোনো কথা শুনেই তার ওপর আমল না করা চাই। আগে যাচাই-বাছাই করা জরুরি। আর হ্যাঁ, যে কোনো মানুষের ভালো মন্দ নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও, তার সব কথা দ্বিধাহীনভাবে মেনে নেওয়া উচিত নয়। হতে পারে, তার কোনো বক্তব্য দ্বারা তিনি বিশেষ উদ্দেশ্য উদ্ধার করতে সচেষ্ট হচ্ছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা এমন এক যুগে অবস্থান করছো। যে যুগে আলেম বেশি কিন্তু বক্তা ও আলোচক কম। দান গ্রহণকারী কম, দাতা বেশি। এ যুগে আমল হচ্ছে নফসের পরিচালক।
কিন্তু তোমাদের পরে এমন এক যুগ অচিরেই আসবে। যখন ফকিহ কম হবে আর বক্তা বা ওয়ায়েজ বেশি হবে। দাতা কমে যাবে, দান গ্রহণকারী বেড়ে যাবে। সে সময় মানুষের নফস হবে তার কাজের নিয়ন্ত্রক। (সহিহ বুখারি)
এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে পথ চলতে হবে। ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে। দীনি বিষয়ে জানার জন্য অবশ্যই মুহাক্কিক–প্রাজ্ঞ ও বিজ্ঞ আলেমের সাথে কথা বলতে হবে। একজন ভালো বক্তা মানেই তিনি মুহাক্কিক আলেম নাও হতে পারেন। হতে পারে, তিনি নাম জশ ঠিক রাখার জন্য মনগড়া কিছু বলে দিলেন। ভুল মাসআলা বললেন। এজন্য আলেমদেরও উচিত, ভুল মাসআলা না বলা। এক্ষেত্রেও জবানের হেফাজত করা।
মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। আল্লাহপাক অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন মানুষকে। মানুষের ওপর আল্লাহ প্রদত্ত সেসব নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো- জবান। মানুষের উচিত আল্লাহর দেওয়া এই নেয়ামতকে সৃষ্টির কল্যাণে কাজে লাগানো। অর্থাৎ জবান পেয়েছি বলেই তা দিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলা যাবে না; জবানের হেফাজত জরুরি। কোনো কিছু শুনেই বলতে শুরু করে দেওয়া ঠিক নয়। বরং আগে যাচাই-বাছাই করা উচিত। ‘নিজস্ব কিছু মতবাদ জনসম্মুখে ছড়িয়ে দেওয়া’ মনগড়া আশ্চর্য–কথা প্রকাশ করা এ জাতীয় কাজ লোক দেখানো কথামালা ছাড়া আর কিছু হবে না।
কুরআন ও হাদিসের নামে এমন কিছু বলে দেওয়া কখনো শোভনীয় নয়। আর এসব বক্তা ও শ্রোতাকে ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়া আর কিছুই করবে না।
এ বিষয়টি হাদিসে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। আমরা দুটি বর্ণনা উল্লেখ করছি। এক. সাহাবি হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শুনে (বিনা বিচারে) তাই বর্ণনা করে।’ (সহি মুসলিম ও সুনানে আবু দাউদ)
দুই. সাহাবি হজরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত–রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করলো, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
উপর্যুক্ত বর্ণনা দুটি থেকে স্পষ্ট বুঝে আসে যে, যাচাই-বাছাই করা ছাড়া কোনো কথা বলে দেওয়াই; মিথ্যাবাদী হওয়ার নামান্তর।
দ্বিতীয়ত ইচ্ছাকৃত কোনো বক্তব্যকে হাদিস নামে চালিয়ে দেওয়াও ভয়াবহ শাস্তির কারণ। এজন্য বক্তা আলোচক ও দাঈদের দাওয়াতি কাজেও জবান হেফাজত করা জরুরি। ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য বলে চালিয়ে দেওয়া কখনো উচিত নয়।
কোরআনে পাপিষ্ঠদের বক্তব্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাদেরকে যাচাই করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! কোনো পাপাচারী যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে। তবে তোমরা তার সত্যতা যাচাই করো। তা না হলে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে বসবে। এরপর তোমরা যা করেছ, সেজন্য তোমাদেরকেই অনুতপ্ত হতে হবে। (সুরা হুজুরাত ৬)
এজন্য যে কোনো কথা শুনেই তার ওপর আমল না করা চাই। আগে যাচাই-বাছাই করা জরুরি। আর হ্যাঁ, যে কোনো মানুষের ভালো মন্দ নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও, তার সব কথা দ্বিধাহীনভাবে মেনে নেওয়া উচিত নয়। হতে পারে, তার কোনো বক্তব্য দ্বারা তিনি বিশেষ উদ্দেশ্য উদ্ধার করতে সচেষ্ট হচ্ছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা এমন এক যুগে অবস্থান করছো। যে যুগে আলেম বেশি কিন্তু বক্তা ও আলোচক কম। দান গ্রহণকারী কম, দাতা বেশি। এ যুগে আমল হচ্ছে নফসের পরিচালক।
কিন্তু তোমাদের পরে এমন এক যুগ অচিরেই আসবে। যখন ফকিহ কম হবে আর বক্তা বা ওয়ায়েজ বেশি হবে। দাতা কমে যাবে, দান গ্রহণকারী বেড়ে যাবে। সে সময় মানুষের নফস হবে তার কাজের নিয়ন্ত্রক। (সহিহ বুখারি)
এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে পথ চলতে হবে। ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে। দীনি বিষয়ে জানার জন্য অবশ্যই মুহাক্কিক–প্রাজ্ঞ ও বিজ্ঞ আলেমের সাথে কথা বলতে হবে। একজন ভালো বক্তা মানেই তিনি মুহাক্কিক আলেম নাও হতে পারেন। হতে পারে, তিনি নাম জশ ঠিক রাখার জন্য মনগড়া কিছু বলে দিলেন। ভুল মাসআলা বললেন। এজন্য আলেমদেরও উচিত, ভুল মাসআলা না বলা। এক্ষেত্রেও জবানের হেফাজত করা।
২০২৩ সালে প্রকাশিত ফোরাম সদস্যদের পাঠানো প্রায় পঞ্চাশ বইয়ের ওপর মূল্যায়ন করে সেরা ১০ জনকে গ্রন্থ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ৩ জনকে দেওয়া হয় মিডিয়ায় সেরা প্রতিবেদন তৈরির জন্য ফিচার সম্মাননা।
৪ দিন আগেটঙ্গীতে তাবলীগের ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ–প্রাণহানির ঘটনায় সাদপন্থিদের দুঃখপ্রকাশ।
৭ দিন আগেহাফেজ হুমাইরা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২ লাখ মিসরীয় পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ টাকা। এই গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জনকারী নাইজেরিয়ান তরুণী ফাতেমা আবু বকর পেয়েছেন ৬ লাখ মিসরীয় পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ টাকা।
১৩ দিন আগে