Ad

পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজার, হোটেল ভাড়া বেশি রাখার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ১৩
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ২০

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বিজয় দিবস শুক্র-শনিবার মিলিয়ে ছুটির আমেজে মেতে উঠেছে সমুদ্র নগরী। শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের পর্যটন স্পট পাথুরে বিচ ইনানিতেও মানুষের ভিড়। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনেও ভরপুর পর্যটকে। তবে অভিযোগ হোটেল-মোটেলে রাখা হচ্ছে বেশি ভাড়া।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও দেশীয় পর্যটকরা ছুটছেন ইনানী সৈকত, হিমছড়ি ঝর্ণা, পাটুয়ারটেক, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে। এই সুযোগে পর্যটন ব্যবসায়ীরা কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখেও ফুটেছে শান্তির হাসি।

ছুটি তিন দিন হলেও পর্যটকদের ভিড় থাকবে পুরো ডিসেম্বর মাসজুড়েই। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮-১০ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন শাহ আলম। তিনি বলেন, কক্সবাজারে আসলেই আমি চলে যাই উখিয়ার ইনানী ও পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, পাথুরে সী-বীচের সৌন্দর্য আমাকে বেশ টানে। তাছাড়াও মেরিন ড্রাইভের একপাশে সমুদ্র আর অন্যপাশে বিশাল আকৃতির পাহাড় আমাকে দারুণ মুগ্ধ করে।

রাজশাহী থেকে আসা সানজিদা খানম জানান, ছুটি পেলেই আমরা সপরিবারে কক্সবাজারে চলে আসি। এবারও ছুটি পেয়ে সমুদ্র দেখতে কক্সবাজার এসেছি। তার অনুভূতি হলো, বইয়ের পাতার বর্ণনার চেয়েও সুন্দর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলাম বলেন, দেশে ফিরলে আমি বারবারই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসি। এখানকার বিশাল সমুদ্র আমার হৃদয়কে শান্ত করে দেয়। সমুদ্রের হিমেল হাওয়া, একটু একটু শীতের ভাব চমৎকার লাগে।

কক্সবাজার ও ইনানীর ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, যেভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসা শুরু করেছে তাতে এবারের পর্যটন মৌসুম বেশ ভালো যাবে। সব হোটেল এখন পর্যটকে ভরপুর। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ এবং বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকদের ভিড় ভাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হোটেল-মোটেলের ভাড়াও বেড়েছে কয়েক গুণ। তবুও পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের প্রায় সব রুমই বুকিং হয়ে আছে।

তবে পর্যটকদের অভিযোগও কম নেই। রাজধানী থেকে আসা সাইফুল ইসলাম ও তমালিকা দম্পতির অভিযোগ, দুই হাজার টাকার রুম ভাড়া তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে রাখা হয়েছে। বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন ময়মনসিংহের রাহাদ, আরমান, শহিদ আর মামুন। তারা মনে করেন, এক সাথে বন্ধুরা ঘুরতে এসেছি। রুম ভাড়া একটু বেশি মনে হলেও সমুদ্রে গোসলে এসে তা ভুলে গেছি। তবে এখানকার সার্বিক অবস্থা অত্যন্ত সুন্দর বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারেন তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের নারী-পুরুষ সদস্যদের মোতায়েন করেছে।

ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত