জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
রেলসেবা সহজ করতে ও বিড়ম্বনা কমাতে শুরু হয় অনলাইনে টিকিট বিক্রি। সরকারি এ পরিবহনে বছরে টিকিট বরাদ্দ থাকে ৫ কোটি। বিক্রি হয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। এর মধ্যে অনলাইনে টিকিট বিক্রি বছরে দেড় কোটি। অনলাইনে প্রতিটির জন্য সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত ২০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। সে হিসাবে গ্রাহকের কাছ থেকে কেটে নেওয়া টাকার পরিমাণ বছরে ৩০ কোটি। এই টাকার কোনো অংশই পায় না রেলওয়ে। পুরোটাই চলে যায় ‘সহজ’-এর পকেটে। অথচ চুক্তিপত্র অনুযায়ী প্রতিটি টিকিটের বিপরীতে ২৫ পয়সা করে নেওয়ার কথা ছিল।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহজের সঙ্গে চুক্তি করে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে দুবছর হতে চলল; কিন্তু চুক্তির বিষয়ে জানেন না কেউ। কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে নেই এ বিষয়ে কোনো তথ্য। আমার দেশ-এর এ প্রতিবেদক নানাভাবে চেষ্টা করেও রেলের সঙ্গে সহজের চুক্তিপত্রের বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি। রেলপথ মন্ত্রণালয় কিংবা সহজ প্রতিষ্ঠানের কেউ এ-সংক্রান্ত নথি দিতে রাজি হয়নি। স্বয়ং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তারাও এক বছরে কয়েকবার চিঠি দিয়েও এ চুক্তিপত্র পাননি। চুক্তিপত্রে কী আছে, সেটিও জানেন না রেল কর্মকর্তারা।
সহজের সঙ্গে রেলের চুক্তি হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বেশকিছু শর্তের বিষয়ে খোলাসা করেছিলেন। এর মধ্যে একটি হলো অনলাইনে রেলের প্রতি টিকিটের বিপরীতে ২৫ পয়সা করে সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া। কিন্তু অনুসন্ধানে ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইনে প্রতি টিকিটের বিপরীতে সার্ভিস চার্জের নামে ২০ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিবেদক নিজেও টিকিট কেটে ২০ টাকা চার্জ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার একটি স্নিগ্ধা টিকিটের দাম ৭৪৩ টাকা। অনলাইনে যখন কোনো যাত্রী টিকিট কাটবেন, তখন তাকে ভ্যাটসহ গুনতে হবে ৮৫৫ টাকা। এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ নামে আরও ২০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে একটি টিকিটের দাম ৮৭৫ টাকা। একটি সূত্র জানায়, এই ২০ টাকার মধ্যে ৪ টাকা যায় সরকারি সংস্থা বিটিআরসিতে, ৪ টাকা যায় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে আর বাকি ১২ টাকা যাচ্ছে সহজ প্রতিষ্ঠানের কাছে। বছরে অনলাইনে দেড় কোটি টিকিট থেকে সার্ভিস চার্জের নামে ৩০ কোটি টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এ হিসাবেও বছরে ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত নিচ্ছে সহজ।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, রেলওয়েতে বছরে বিক্রিযোগ্য টিকিট বরাদ্দ থাকে কম-বেশি ৫ কোটি ১০ লাখ। রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালে রেলওয়ে টিকিট বিক্রি করেছে প্রায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ। আর অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়েছে দেড় কোটি। সহজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব নিয়েছে। এই দুবছরে সার্ভিস চার্জের নামে সহজ হাতিয়ে নিয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। সহজের আগে রেলের টিকিট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল সিএনএস নামে একটি সংস্থা। তারা ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে অনলাইন যুগের সূচনা করে। তাদের নিজস্ব তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে ই-টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিদিন মোট টিকিটের ৫০ শতাংশ দেওয়া হয় অনলাইনে। আর এ ৫০ শতাংশ টিকিটকে পুঁজি করে প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জের নামে তারা হাতিয়ে নিয়েছিল ৫০ লাখ টাকার মতো।
শুধু তা-ই নয়, মাসে ২০ কোটি টাকা টিকিট বিক্রি করে তারা রেলকে জমা দিত মাত্র ১০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী রেলের টিকিটের সংখ্যা ছিল এক কোটি ৯৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০টি। যে সিটের বিনিময়ে রেল বছরে আয় করেছে ৪৭৭ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৪ টাকা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী মোট টিকিটের অর্ধেক অংশ, অর্থাৎ বছরে ৯৮ লাখ ১৮ হাজার ১৬০টি টিকিট বিক্রি হয় অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে। সে অনুযায়ী বছরে অনলাইন থেকে রেলের আয় হয়েছে ২৩৮ কোটি ৯৭ লাখ ১৫ হাজার ৩২২ টাকা। মাসে অনলাইন অ্যাপসের ৮ লাখ ১৮ হাজার ১৮০টি টিকিটের বিনিময়ে আয় হয় ১৯ কোটি ৯১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৩ টাকা।
তবে অ্যাপ চালু হওয়ার পর প্রতি মাসে একই টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের কোষাগারে মাত্র ১০ কোটি টাকা করে জমা দিত সিএনএস। প্রতিটি অনলাইন টিকিট থেকেও অতিরিক্ত ২০ টাকা চলে যেত সংস্থাটির কাছে। এসব দুর্নীতির কারণে কাজ হারায় সিএনএস।
২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে সহজের সঙ্গে চুক্তি করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তখন মন্ত্রী বলেছিলেন, সিএনএস প্রতিটি টিকিট বিক্রির জন্য রেলের কাছ থেকে দুই টাকা ৯৯ পয়সা পেত। সহজ নেবে মাত্র ২৫ পয়সা; কিন্তু সহজ মাত্র ২৫ পয়সায় কীভাবে টিকিট বিক্রি করবে, তা রেলওয়ে কিংবা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
রেলসূত্রে জানা গেছে, টিকিট বিক্রির রেলের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ পাঁচ বছরে ২৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় হবে বলে প্রাক্কলন করেছে সহজ। ২০ কোটি টিকিট বিক্রির জন্য রেলের কাছ থেকে নেবে পাঁচ কোটি টাকা। এ হিসাবে টিকিটপ্রতি এক টাকা ৫১ পয়সা আয় হবে। সিএনএস পাঁচ বছরে ২০ কোটি টিকিটের জন্য ২৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রতি টিকিটের জন্য এক টাকা ২০ পয়সা চেয়েছিল। রেলের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সহজকে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত করে।
সহজের এই টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে জানতে রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের অফিসে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) এএম সালাহউদ্দীনের সঙ্গে তিন দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সহজের নির্বাহী পরিচালক সুদীপ দেবনাথ দাবি করেন, প্রতিটি অনলাইন টিকিটের সার্ভিস চার্জের ২০ টাকা থেকে তারা পান ৬ টাকা। বাকি ১৬ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো কেটে নেয়। কিন্তু কোনো মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি কীভাবে এই টাকা কেটে নেয়, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো উত্তর নেই।
জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী কাউন্টারে প্রতি টিকিটের বিপরীতে সহজ পাবে ২৫ পয়সা। অনলাইন টিকিটে সার্ভিস চার্জের অতিরিক্ত ২০ টাকা মোবাইল কোম্পানি ও সহজ পায়। কাউন্টারে টিকিট আমরা ওপেন রেখেছি। যাত্রী চাইলে অনলাইন-অফলাইন দুই জায়গা থেকেই কাটতে পারবেন।’ তবে তার কাছে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি ও সহজের ২০ টাকা কেটে নেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
রেলসেবা সহজ করতে ও বিড়ম্বনা কমাতে শুরু হয় অনলাইনে টিকিট বিক্রি। সরকারি এ পরিবহনে বছরে টিকিট বরাদ্দ থাকে ৫ কোটি। বিক্রি হয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। এর মধ্যে অনলাইনে টিকিট বিক্রি বছরে দেড় কোটি। অনলাইনে প্রতিটির জন্য সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত ২০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। সে হিসাবে গ্রাহকের কাছ থেকে কেটে নেওয়া টাকার পরিমাণ বছরে ৩০ কোটি। এই টাকার কোনো অংশই পায় না রেলওয়ে। পুরোটাই চলে যায় ‘সহজ’-এর পকেটে। অথচ চুক্তিপত্র অনুযায়ী প্রতিটি টিকিটের বিপরীতে ২৫ পয়সা করে নেওয়ার কথা ছিল।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহজের সঙ্গে চুক্তি করে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে দুবছর হতে চলল; কিন্তু চুক্তির বিষয়ে জানেন না কেউ। কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে নেই এ বিষয়ে কোনো তথ্য। আমার দেশ-এর এ প্রতিবেদক নানাভাবে চেষ্টা করেও রেলের সঙ্গে সহজের চুক্তিপত্রের বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি। রেলপথ মন্ত্রণালয় কিংবা সহজ প্রতিষ্ঠানের কেউ এ-সংক্রান্ত নথি দিতে রাজি হয়নি। স্বয়ং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তারাও এক বছরে কয়েকবার চিঠি দিয়েও এ চুক্তিপত্র পাননি। চুক্তিপত্রে কী আছে, সেটিও জানেন না রেল কর্মকর্তারা।
সহজের সঙ্গে রেলের চুক্তি হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বেশকিছু শর্তের বিষয়ে খোলাসা করেছিলেন। এর মধ্যে একটি হলো অনলাইনে রেলের প্রতি টিকিটের বিপরীতে ২৫ পয়সা করে সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া। কিন্তু অনুসন্ধানে ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইনে প্রতি টিকিটের বিপরীতে সার্ভিস চার্জের নামে ২০ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিবেদক নিজেও টিকিট কেটে ২০ টাকা চার্জ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার একটি স্নিগ্ধা টিকিটের দাম ৭৪৩ টাকা। অনলাইনে যখন কোনো যাত্রী টিকিট কাটবেন, তখন তাকে ভ্যাটসহ গুনতে হবে ৮৫৫ টাকা। এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ নামে আরও ২০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে একটি টিকিটের দাম ৮৭৫ টাকা। একটি সূত্র জানায়, এই ২০ টাকার মধ্যে ৪ টাকা যায় সরকারি সংস্থা বিটিআরসিতে, ৪ টাকা যায় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে আর বাকি ১২ টাকা যাচ্ছে সহজ প্রতিষ্ঠানের কাছে। বছরে অনলাইনে দেড় কোটি টিকিট থেকে সার্ভিস চার্জের নামে ৩০ কোটি টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এ হিসাবেও বছরে ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত নিচ্ছে সহজ।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, রেলওয়েতে বছরে বিক্রিযোগ্য টিকিট বরাদ্দ থাকে কম-বেশি ৫ কোটি ১০ লাখ। রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালে রেলওয়ে টিকিট বিক্রি করেছে প্রায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ। আর অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়েছে দেড় কোটি। সহজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব নিয়েছে। এই দুবছরে সার্ভিস চার্জের নামে সহজ হাতিয়ে নিয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। সহজের আগে রেলের টিকিট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল সিএনএস নামে একটি সংস্থা। তারা ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে অনলাইন যুগের সূচনা করে। তাদের নিজস্ব তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে ই-টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিদিন মোট টিকিটের ৫০ শতাংশ দেওয়া হয় অনলাইনে। আর এ ৫০ শতাংশ টিকিটকে পুঁজি করে প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জের নামে তারা হাতিয়ে নিয়েছিল ৫০ লাখ টাকার মতো।
শুধু তা-ই নয়, মাসে ২০ কোটি টাকা টিকিট বিক্রি করে তারা রেলকে জমা দিত মাত্র ১০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী রেলের টিকিটের সংখ্যা ছিল এক কোটি ৯৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০টি। যে সিটের বিনিময়ে রেল বছরে আয় করেছে ৪৭৭ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৪ টাকা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী মোট টিকিটের অর্ধেক অংশ, অর্থাৎ বছরে ৯৮ লাখ ১৮ হাজার ১৬০টি টিকিট বিক্রি হয় অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে। সে অনুযায়ী বছরে অনলাইন থেকে রেলের আয় হয়েছে ২৩৮ কোটি ৯৭ লাখ ১৫ হাজার ৩২২ টাকা। মাসে অনলাইন অ্যাপসের ৮ লাখ ১৮ হাজার ১৮০টি টিকিটের বিনিময়ে আয় হয় ১৯ কোটি ৯১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৩ টাকা।
তবে অ্যাপ চালু হওয়ার পর প্রতি মাসে একই টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের কোষাগারে মাত্র ১০ কোটি টাকা করে জমা দিত সিএনএস। প্রতিটি অনলাইন টিকিট থেকেও অতিরিক্ত ২০ টাকা চলে যেত সংস্থাটির কাছে। এসব দুর্নীতির কারণে কাজ হারায় সিএনএস।
২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে সহজের সঙ্গে চুক্তি করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তখন মন্ত্রী বলেছিলেন, সিএনএস প্রতিটি টিকিট বিক্রির জন্য রেলের কাছ থেকে দুই টাকা ৯৯ পয়সা পেত। সহজ নেবে মাত্র ২৫ পয়সা; কিন্তু সহজ মাত্র ২৫ পয়সায় কীভাবে টিকিট বিক্রি করবে, তা রেলওয়ে কিংবা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
রেলসূত্রে জানা গেছে, টিকিট বিক্রির রেলের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ পাঁচ বছরে ২৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় হবে বলে প্রাক্কলন করেছে সহজ। ২০ কোটি টিকিট বিক্রির জন্য রেলের কাছ থেকে নেবে পাঁচ কোটি টাকা। এ হিসাবে টিকিটপ্রতি এক টাকা ৫১ পয়সা আয় হবে। সিএনএস পাঁচ বছরে ২০ কোটি টিকিটের জন্য ২৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রতি টিকিটের জন্য এক টাকা ২০ পয়সা চেয়েছিল। রেলের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সহজকে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত করে।
সহজের এই টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে জানতে রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের অফিসে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) এএম সালাহউদ্দীনের সঙ্গে তিন দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সহজের নির্বাহী পরিচালক সুদীপ দেবনাথ দাবি করেন, প্রতিটি অনলাইন টিকিটের সার্ভিস চার্জের ২০ টাকা থেকে তারা পান ৬ টাকা। বাকি ১৬ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো কেটে নেয়। কিন্তু কোনো মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি কীভাবে এই টাকা কেটে নেয়, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো উত্তর নেই।
জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী কাউন্টারে প্রতি টিকিটের বিপরীতে সহজ পাবে ২৫ পয়সা। অনলাইন টিকিটে সার্ভিস চার্জের অতিরিক্ত ২০ টাকা মোবাইল কোম্পানি ও সহজ পায়। কাউন্টারে টিকিট আমরা ওপেন রেখেছি। যাত্রী চাইলে অনলাইন-অফলাইন দুই জায়গা থেকেই কাটতে পারবেন।’ তবে তার কাছে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি ও সহজের ২০ টাকা কেটে নেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুড়িয়ে ফেলা নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। তিনি মো: নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. শারমিন বেগম (৫০)। নিহতের মেয়েরা ছবি দেখে শনাক্ত করেছে। তাকে গলা কেটে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। তবে মাথাটি আলাদা ছিল। এ ঘটনায় শাহনেওয়াজ ভূইয়ার ছেলে ফারহান রনি (৩০)কে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ ঘণ্টা আগেচুরি যাওয়া রাজহাঁস খুঁজতে এসে যুবলীগ নেতার বাড়িতে পরিত্যক্ত টিনের ভাঙ্গা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পান। তারা ঘরের ভেতরে যেতে চাইলে ফারহান ক্ষুব্দ হয়ে তাদেরকে মারার হুমকি দেয়। এতে সন্দেহ হলে গ্রামের লোকজন গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে রনিকে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
১৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে ৬ শতাধিক বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই সময় এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে নিহত দুই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী নয় বলে দাবি করেছে নিহতদের পরিবার। একই সাথে ভারতীয় মিডিয়ার নিহতের পরিচয় নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
১৬ ঘণ্টা আগে