Ad

এক বছর পর উদ্ধার রহমত উল্লাহ

ধামরাই প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০: ১২
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ০৭

ঢাকার ধামরাইয়ে এক বছর চার মাস আগে র‌্যাব পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় রহমত উল্লাহকে (২০)। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে কোথায়ও পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তার কোনো হদিস দিতে পারেনি। অবশেষে গতকাল রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে বড় ভাই ওবায়দুল্লাহ ও ভগ্নিপতি মশিউর রহমান গ্রহণ করেছেন তাকে।

ওবায়দুল্লাহ জানান, রহনপুর তদন্তকেন্দ্র থেকে ফোন দিয়েছিল, ‘আপনার ভাই রহমত উল্লাহ এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। তাকে আপনারা নিয়ে যান। এরপর সেখানে গিয়ে পাওয়া যায় তাকে।’

এদিকে গোমস্তাপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার গতকাল রাতে এ প্রতিবেদককে জানান, রহমত উল্লাহ শনিবার দুপুরের পর রহনপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে এসে আশ্রয় নেন। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে এক বছর চার মাস আগে গুম হওয়ার বিষয়টি জানান। ‘তাকে এক বছর আগে র‌্যাব পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

এরপর ঘুম থেকে ওঠে দেখেন ভারতের কোনো এক জায়গায় অবস্থান করছেন। বিনা পাসপোর্টে ভারতে যাওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে জেলে পাঠায়। গতকাল তাকে একটি নদী পার করে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’। পরে সাত কিলোমিটার হেঁটে রহনপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে এসে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে রহমত উল্লাহর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। বড় ভাই ও ভগ্নিপতির কাছে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে রাতে। এখন তিনি সুস্থ আছেন।

রহমত উল্লাহ ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বড় নালাই গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে রহমত উল্লাহ সবার ছোট। বড় ভাই সৌদি প্রবাসী। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। মা ও ভাবির সঙ্গে বাড়িতেই থাকতেন তিনি। ইলেকট্রিকের কাজ শিখছিলেন।

রহমত উল্লাহর ভাবি জানান, গত বছরের ২৯ আগস্ট রাত ১২টায় র‌্যাবের পোশাক ও সাদা পোশাক পরা ২৫-৩০ জন লোক আমাদের বাড়িতে আসেন। পরে রহমতকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তারা।

এক বছর ধরে স্বজনরা পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে বারবার গিয়েও তার কোনো সন্ধান পায়নি। তাদের ভাষায়, ‘সর্বশেষ দেশ স্বাধীন (৫ আগস্ট) হওয়ার পর মানিকগঞ্জ ও নবীনগর ক্যাম্পসহ র‌্যাবের হেডকোয়ার্টার্সে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সন্ধান দিতে পারেননি।’

তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে জিডি পর্যন্ত নিতে চায়নি। অনেক ঘোরাঘুরির করে ঘটনার ১ মাস নয়দিন পর জিডি নিয়েছে (নং-৩২৪)। র‌্যাবের হেডকোয়ার্টার্স নিখোঁজের বিষয়ে আবেদন নিয়েছে গত ২৮ আগস্ট। এরপরও কোনো খোঁজ পায়নি তার।

কয়েক দিন আগে র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩-এর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই এলাকা আমাদের আওতাধীন না। এ ধরনের কোনো অভিযান পরিচালনা করিনি। সেখানে আমাদের টিমও যায়নি।

তবে ওই কার্যালয়ের অফিসিয়াল মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে র‌্যাবের আরেক সদস্য রহমত উল্লাহকে র‌্যাব নিয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, তাকে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার নিয়ে গেছে।

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, তার বিষয়টি গোমস্তাপুর থানার ওসির মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়। আমি যোগদানের পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়া হয়েছে।

বিষয়:

উদ্ধার
ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত