Ad

ঢাকা-খুলনা রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের’ যাত্রা শুরু

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০: ৪৬
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০: ৫৬

খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করেছে নতুন ট্রেন ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় খুলনা রেল স্টেশন থেকে ৫৫৩ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্রেনটি। নতুন এই রুটে ২১২ কিলোমিটার দূরত্ব কমার পাশাপাশি সাশ্রয় হচ্ছে সময়,কমেছে ভাড়াও। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রুটে সময় লাগছে মাত্র পৌনে ৪ ঘণ্টা। রেলওয়ের এই উদ্যোগে খুশি যাত্রীরা।

খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশিক আহমেদ বলেন, সকাল ৬টায় জাহানাবাদ ট্রেনটি প্রথমবারের মতো খুলনা রেল স্টেশন ছেড়ে গেল। এটা সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রথমদিন খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ট্রেনের সিট রয়েছে ৭৬৮টি। এই ট্রেনে ১১টি যাত্রীবাহী কোচ এবং একটি লাগেজ ভ্যান রয়েছে।

এছাড়া অন্যান্য স্টেশন থেকে যাত্রীরা উঠবে। নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া, নড়াইল, কাশিয়ানী, পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকায় যাবে। ট্রেনটি সাপ্তাহিক ছুটি সোমবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৬টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আবার ঢাকা থেকে খুলনায় রওনা দিবে রাত ৮টায়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এই ট্রেন ঢাকা-খুলনা পথে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ নামে এবং ঢাকা-বেনাপোল পথে ‘রূপসী বাংলা’ নামে নতুন রেলপথ দিয়ে চলাচল করবে। এ ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। বাকি ছয় দিন চলাচল করবে। দিনে দুইবার খুলনা–ঢাকা এবং ঢাকা–বেনাপোল পথে চলাচল করবে ট্রেনটি।

নতুন রুটের ট্রেনের নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৮৫১ টাকা ও এসি সিট ১০১৮ টাকা। রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুলনা থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় যান। তবে খুলনা প্রান্তে ছিল না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

প্রথম দিনের যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, নতুন রুটে দূরত্ব কমে যাওয়ায় এখন যাতায়াতে সময় কম লাগবে। এ ছাড়া ভাড়াও কম। তবে শীতকালে ট্রেন ছাড়ার সময়সূচি ভোর ৬টার পরিবর্তে ৭টায় করলে ভালো হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, বিদেশ থেকে ট্রেনের নতুন ইঞ্জিন ও বগি আনা হচ্ছে। ৬ মাস পর এই রুটে নতুন আরও ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে তিনটি ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে দুটি আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস। আর একটি নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। নতুন করে যুক্ত হলো জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এর মধ্যে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া হয়ে খুলনায় যাচ্ছে। এতে ৮ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।

ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত